৪৫৩৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৩৯-[২৬] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হারাম ও নাপাক জিনিস দ্বারা চিকিৎসা করতে নিষেধ করেছেন। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الدَّوَاءِ الْخَبِيثِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن ابي هريرة قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الدواء الخبيث رواه احمد وابو داود والترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যাঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) অথবা অন্য একজন সাহাবী খবীস-এর ব্যাখ্যায় বলেন, অপবিত্র অথবা হারাম অথবা বিষ জাতীয় বস্তু। ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ঔষধের নাপাকি দু’ভাবে হয়ে থাকে, প্রথমটি হলো : নাজাসাত বা অপবিত্রের নাপাকী। তা হলো কোন হারাম বস্তু প্রবেশ করানো। যেমন- মদ ও যে সমস্ত প্রাণীর গোশত খাওয়া হয় না এমন প্রাণীর গোশত ইত্যাদি। ডাক্তারগণ কখনও কোন কোন রোগের কারণে আপত্তিকর কিছু অপবিত্র যা গ্রহণ করা হারাম সেগুলোকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করার কথা বলেছেন কিন্তু সবগুলোই অপবিত্রতা গ্রহণ করা হারাম তবে হাদীস দ্বারা যেগুলোর অনুমতি আছে, যেমন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উরায়নাহ্ ও ‘উকল গোত্রের কতক লোককে উটের পেশাব পান করার আদেশ দিয়েছিলেন সেটির কথা ভিন্ন। সুন্নতী পন্থা হলো প্রত্যেকটি জিনিস আপন আপন স্থানে রাখা, একটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক না করা। দ্বিতীয় হলো : ঔষধের নাপাকী কখনও খাবার ও স্বাদ আস্বাদন করার দিক থেকে হয়ে থাকে। কোন ঔষধ যদি না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে হালাল ঔষধের অভাবে জীবন রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে নাপাকী ঔষধ ব্যবহার করা অপছন্দনীয় নয়। মাওয়ারদী ও অন্যান্যরা বলেন, বিষ চার প্রকারের :

১. যা বেশি বা কম খেলে মানুষ মারা যায়। এ জাতীয় বিষ ঔষধ বা অন্য কোন কিছুর জন্য সেবন করা হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ‘‘...আর তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না...’’- (সূরাহ্ আল বাকারাহ্ ২ : ১৯৫)।

২. যা খুব বেশি পরিমাণ পান করলে মারা যাবে। সুতরাং সেই বেশি পরিমাণ পান করা চিকিৎসার জন্য বা অন্য কোন কারণে যাতে মৃত্যু ঘটে তা হারাম। আর অল্প পান করলে যদি উপকার পাওয়া যায় তবে চিকিৎসার জন্য ঔষধ হিসেবে তা পান করা বৈধ।

৩. যা পান করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ মারা যায়, এরূপ পান করা বৈধ নয়, তবে যদি অল্প পান করলে সাধারণত মানুষ না মরে তবে তা পান করা বৈধ।

৪. বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পান করলে মানুষ মরে না, এরূপ পান করা বৈধ।

(তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড হাঃ ২০৪৫; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)