৪৪২৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪২৬-[৮] নাফি’ (রহিমাহুল্লাহ) ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কাযা’ হতে নিষেধ করতে শুনেছি। নাফি’-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কাযা’ কি? তিনি বললেনঃ বালকদের মাথার কিছু চুল মুড়িয়ে ফেলা এবং কিছু চুল রেখে দেয়া। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

কেউ কেউ কাযা’-এর ব্যাখ্যাটি মূল হাদীসের সাথেই সংযোগ বা সংযুক্ত করেছেন।

بَابُ التَّرَجُّلِ

وَعَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنِ الْقَزَعِ. قِيلَ لِنَافِعٍ: مَا الْقَزَعُ؟ قَالَ: يُحْلَقُ بعضُ رَأس الصبيِّ وَيتْرك البعضُ
وَألْحق بَعضهم التَّفْسِير بِالْحَدِيثِ

وعن نافع عن ابن عمر قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم ينهى عن القزع قيل لنافع ما القزع قال يحلق بعض راس الصبي ويترك البعضوالحق بعضهم التفسير بالحديث

ব্যাখ্যাঃ (القزع) কাযা‘ অর্থাৎ মাথার চুলের কিছু অংশ কামানো আর কিছু অংশ রেখে দেয়া। কেউ কেউ বলেন, মাথার বিভিন্ন অংশ থেকে কামিয়ে নেয়া হচ্ছে কাযা‘। ইমাম নাবাবী বলেনঃ প্রথম অর্থটিই এখানে উদ্দেশ্য; কেননা প্রথম অর্থটি হাদীসের বর্ণনাকারীর ব্যাখ্যা। বর্ণনাকারীর ব্যাখ্যা হাদীসের বাহ্যিক অর্থের বিরোধ নয়। তাই এই অর্থ নেয়া আবশ্যক।

কাযা' অর্থাৎ মাথার কিছু চুল কামানো ও কিছু রেখে দেয়া। এক অংশের চুল কামানো এবং অন্য অংশ রেখে দেয়া মাকরূহ হওয়ার বেলায় উলামারা একমত। তবে মাথার চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য হলে মাকরূহ নয়। আর এখানে মাকরূহ বলতে মাকরূহ তানযীহি। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) এ আলোচনার পর বলেনঃ আমাদের মাযহাব মোতাবেক পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই কাযা’ মাকরূহ; কেননা হাদীসটি ব্যাপক। ‘উলামায়ে কিরাম বলেনঃ কাযা‘ মাকরূহ হওয়া বা নিষেধের রহস্য হলো, এতে আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টিকে কদাকার করে দেয়া হয়। কেউ কেউ বলেন, এটা ইতর শয়তানের কষ্ট দেয়ার কারণ। আবার কেউ কেউ বলেন, এটা ইয়াহূদীদের বেশ; তাই মাকরূহ। (শারহুন নাবাবী পৃঃ ৯১/৯২৭, লিবাস অধ্যায়, কাযা‘ মাকরূহ অনুচ্ছেদ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )