পরিচ্ছেদঃ
১৮৪৫। আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আলীর সাথে ফাতেমার বিয়ে দিই। অতঃপর আমি তাই করি। আমাকে জিবরীল বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা এক জান্নাত বানিয়েছেন বেতের মুক্তা দিয়ে। প্রতিটি বেত হতে অন্য বেত পর্যন্ত ইয়াকূত পাথরের মতি রয়েছে যেগুলোকে স্বর্ণ দ্বারা বাধা হয়েছে। আর তার ছাদ বানিয়েছেন সবুজ যাবারযাদ পাথর দিয়ে। আল্লাহ্ তা’য়ালা সেগুলোর মধ্যে ইয়াকূত পাথর দ্বারা পরিবেষ্ঠিত মুক্তার শক্তি প্রদান করেছেন।
হাদীসটি বানোয়াট।
এটিকে ওকাইলী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (২৬৭) মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ দব্বী হতে, তিনি ইসমাইল ইবনু মূসা ফাযারী হতে, তিনি বিশর ইবনুল অলীদ হাশেমী হতে, তিনি আব্দুন নূর মিসমাঈ হতে, তিনি শু’বা ইবনুল হাজ্জাজ হতে, তিনি আমর ইবনু মুররার হতে, তিনি ইবরাহীম হতে, তিনি মাসরূক হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি হাদীসটিকে আব্দুন নূর ইবনু আব্দুল্লাহ মিসমাঈর জীবনীর মধ্যে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি রাফেযী হিসেবে অতিরঞ্জন ছিলেন, হাদীসের ব্যাপারে সঠিক করতেন না এবং তিনি আহলেহাদীসদের অন্তর্ভুক্ত নন।
অতঃপর তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করে তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ তিনি এক দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করেছেন যার ভিত্তি নেই সেটিকে আব্দুন নূর বানিয়েছেন।
হাফিয যাহাবী ওকাইলীর কথাকে সংক্ষেপ করে বলেছেনঃ তিনি (আব্দুন নূর) মিথ্যুক ... তিনি শু’বার উদ্ধৃতিতে এটিকে বানিয়েছেন।
আর ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এ ছাড়া অন্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য বিশর ইবনুল অলীদ হাশেমী ছাড়া। কারণ তিনি হচ্ছেন আবু ইউসুফের সাথী কিন্দী ফাকীহ। তিনি তারই সমসাময়িক। তিনি তার হেফযের দিক দিয়ে দুর্বল। কিন্তু পাচ্ছি না কে তাকে হাশেমী হিসেবে উদ্ধৃত করেছেন।
হাদীসটিকে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/৭২/১, ১৬/২৬১) উল্লেখ করেছেন ইসমাঈল ইবনু মূসা সুদী সূত্রে বিশর ইবনুল অলীদ হাশেমী হতে।
হাইসামী (৯/২০৪) বলেনঃ তার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মানবী তার দুগ্রন্থেই ধোঁকায় পড়েছেন ইবনু হিব্বানের নির্ভরযোগ্য বলার দ্বারা। তারা উভয়েই ওকাইলী এবং হাফিয যাহাবী কর্তৃক হাদীসটি বানোয়াট আখ্যা দেয়ার ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপই করেননি। তাদের পূর্বে ইবনুল জাওষীও হাদীসটিকে ওকাইলীর সূত্রে “আলমাওয়ূয়াত” গ্রন্থে (১/৪১৫-৪১৬) উল্লেখ করেছেন। আর সুয়ুতী “আললাআলী” গ্রন্থে (১/৩৯৬) তা স্বীকার করে হাদীসটির কোন সমালোচনা না করে শুধুমাত্র বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী বর্ণনা করেছেন।
এ আব্দুর নূরের আরেকটি হাদীস রয়েছে যিনি নির্ভরযোগ্যদের বিরোধিতা করে বেশ কিছু বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেছেন। সেটি সম্পর্কে আলোচনা আসবে।
إن الله أمرني أن أزوج فاطمة من علي، ففعلت، فقال لي جبريل: إن الله قد بنى جنة من لؤلؤ قصب، بين كل قصبة إلى قصبة لؤلؤة من ياقوت مشددة بالذهب، وجعل سقوفها من زبرجد أخضر، وجعل فيها طاقات من لؤلؤ مكللة بالياقوت
موضوع
-
رواه العقيلي في " الضعفاء " (267) : حدثنا محمد بن يوسف الضبي
قال: حدثنا إسماعيل بن موسى الفزاري قال: حدثنا بشر بن الوليد الهاشمي قال
حدثنا عبد النور المسمعي عن شعبة بن الحجاج عن عمرو بن مرة عن إبراهيم قال
: حدثني مسروق عن عبد الله بن مسعود مرفوعا. ذكره في ترجمة عبد النور بن
عبد الله المسمعي، وقال: " كان ممن يغلوفي الرفض، لا يقيم الحديث، وليس
من أهله ". ثم ساق له هذا الحديث، ثم عقبه بقوله: " وذكر حديثا طويلا لا
أصل له وضعه عبد النور ". ولخص الذهبي كلام العقيلي هذا بقوله: " كذاب،
وقال العقيلي: كان يغلوفي الرفض، ووضع هذا عن شعبة ... ". وتعقبه الحافظ
في " اللسان " فقال: " ولفظ العقيلي: " لا يقيم الحديث، وليس من أهله
والحديث موضوع لا أصل له ". وقد ذكره ابن حبان في " الثقات " ... وكأنه ما
اطلع على هذا الحديث الذي له عن شعبة فإنه موضوع، ورجاله من شعبة فصاعدا رجال
الصحيح، فينظر من دون عبد النور، وأما جزم الذهبي بأنه هو الذي وضع هذا
موهما أنه كلام العقيلي ففيه ما فيه ". قلت: ليس فيه أي شيء، فإن كلام
العقيلي الذي نقلته من كتابه صريح في جزم العقيلي أنه - المسمعي هذا - هو الذي
وضع الحديث، واللفظ الذي حكاه الحافظ عن العقيلي، مغاير بعض الشيء لما في
نسختنا من الكتاب، فلعل ذلك من اختلاف النسخ، فإن المطبوعة بتحقيق القلعجي لم
يرد الحديث فيها، ولا كلام العقيلي المتقدم. ثم إن رجال الإسناد كلهم ثقات
معروفون من رجال " التهذيب "، غير بشر بن الوليد الهاشمي، فلعله الكندي
الفقيه صاحب أبي يوسف، فإنه من طبقته وهو ضعيف من قبل حفظه، ولكني لم أجد
من نسبه هاشميا. والله أعلم. والحديث أخرج الطبراني في " الكبير " (3 / 72
/ 1) طرفه الأول من طريق إسماعيل بن موسى السدي: أخبرنا بشر بن الوليد
الهاشمي به. وقال الهيثمي في " المجمع " (9 / 204) : " ورجاله ثقات
قلت: وأقره المناوي في " كتابيه " اغترارا بتوثيق ابن حبان، وغفلة منهما عن
حكم العقيلي والذهبي بوضعه، وسبقه ابن الجوزي أيضا، فأورده في " الموضوعات
" (1 / 415 - 416) من طريق العقيلي، وأقره السيوطي في " اللآلىء " (1 /
396) ، فلم يتعقبه بشيء سوى قوله: " أخرجه الطبراني وهذا ليس بشيء كما ترى، فقد أساء بذكره إياه في " الجامع الصغير "! ولعبد النور هذا حديث آخر زاد فيه أشياء خلافا للثقات، وسيأتي إن شاء الله تعالى