পরিচ্ছেদঃ
১৭৯৫। আমাকে আমার প্রতিপালক মু’য়াহাদ (নিরাপত্তা প্রদানকৃত ব্যক্তি) এবং অন্যদের প্রতি যুলুম করতে নিষেধ করেছেন।
হাদীসটি বানোয়াট।
এটিকে ইমাম সুয়ূতী “আলজামে” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেনঃ হাকিম আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি সহীহ হওয়ার চিহ্ন ব্যবহার করেছেন। আর মানবী এ ব্যাপারে কোন সমালোচনাই করেননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি “মুসতাদরাকুল হাকিম” গ্রন্থে (২/৬২২) মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল আশয়াস কূফী সূত্রে আবুল হাসান মূসা ইবনু ইসমাঈল ইবনু মূসা ইবনু জা’ফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি উবাই হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আলী হতে। তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হুসাইন (রাঃ) হতে, তিনি তার পিতা আলী ইবনু আবী তালেব (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন।
এক ইয়াহুদীকে বলা হতো, জুরাইজারাহ। তার কয়েকটি দীনার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ঋণ হিসেবে পাওনা ছিল। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পরিশোধের জন্য বলল। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ হে ইয়াহুদী! আমার নিকট তো এমন কিছু নেই যে তোমাকে দিব। সে বললঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি না দেয়া পর্যন্ত আমি আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হব না। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে তোমার সাথে বসব। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে বসলেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে স্থানেই যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও সকালের সালাত আদায় করলেন। তাকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ ভীতি প্রদর্শন করছিলেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিচক্ষণতার সাথে বললেনঃ তোমরা তার সাথে কি করতে চাও? তারা বললঃ হে আল্লাহর রসূল! ইয়াহুদী আপনাকে বন্দি করে রেখেছে? তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকে আমার প্রতিপালক মুয়াহিদ (নিরাপত্তা প্রদানকৃত ব্যক্তি) এবং অন্যদের প্রতি যুলুম করতে নিষেধ করেছেন।
দিন যখন পার হয়ে গেল তখন ইয়াহুদী বললঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবূদ নাই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি তার বান্দা ও তার রসূল। এরপর সে বললঃ আমার অর্ধেক সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দিলাম। আমি আপনার সাথে যা করেছি তা এ জন্য করেছি যে, তাওরাতের মধ্যে আপনার যে গুণাবলী রয়েছে তা দেখতে চেয়েছি মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ, তার জন্ম হবে মক্কায় আর তুইবাতে (মদীনাতে) তিনি হিজরতকারী হবেন। তার বাদশাহী হবে শামে। তিনি অভদ্র হবেন না, কঠোর প্রকৃতির হবেন না, বাজারগুলোতে চিৎকারকারী হবেন না, তিনি অশোভন কর্মকারী হবেন না এবং তিনি মন্দ কথা বলবেন না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা’বুদ নেই আর আপনি আল্লাহর রসূল। এ হচ্ছে আমার সম্পদ এ ব্যাপারে আল্লাহ আপনাকে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা দ্বারা ফয়সালা করুন। ইয়াহুদী ব্যক্তি অনেক সম্পদের অধিকারী ছিল।
হাকিম কোন হুকুম না লাগিয়ে চুপ থেকেছেন। আর হাফিয যাহাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি একেবারে মুনকার। এর সমস্যা মূসা হতে অথবা তার পরে যারা আছেন তাদের থেকে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি যদি মূসা ইবনু জা’ফার হন তাহলে অবশ্যই সমস্যা হচ্ছে তার পরের বর্ণনাকারী হতে। কারণ ইবনু জা’ফার নির্ভরযোগ্য ইমাম যেমনটি আবু হাতিম বলেছেন। আর হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে তাকে আরো শক্তিশালী করেছেন। তিনি তাকে “আলমীযান” গ্রন্থে উল্লেখ করায় ওজর পেশ করে বলেছেনঃ আমি তাকে এ কারণে উল্লেখ করেছি যে, ওকাইলী তাকে তার কিতাবে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তার হাদীস নিরাপদ নয়। অর্থাৎ ঈমানের ক্ষেত্রে। আর তিনি যদি মূসা ইবনু ইসমাঈল ইবনু মূসা হন তাহলে আমি পাচ্ছি না কে তার জীবনী আলোচনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী ইবনুল আশয়াস হতে। কারণ তার একটি পাণ্ডলিপি রয়েছে যাতে বহু বানোয়াট হাদীস রয়েছে। হাফিয যাহাবী প্রমুখের নিকট সে জাল হাদীসগুলোর ব্যাপারে তিনিই (ইবনুল আশ’আসই) দোষী। তিনি এ সনদেই সেগুলোকে কিতাবের মধ্যে একত্রিত করেন।
হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ দারাকুতনী বলেনঃ আয়াতুল্লাহর এক আয়াত সে কিতাবকে জাল করেছে। অর্থাৎ আলী (রাঃ)-এর অনুসারী দাবীকার ওলাবীদের এক ’ওলাবী’ সেগুলো জাল করেছে।
منعني ربي أن أظلم معاهدا ولا غيره
موضوع
-
قال في " الجامع ": رواه الحاكم عن علي ورمز لصحته، ولم يتكلم عليه المناوي بشيء. قلت: وهو في مستدرك الحاكم (2 / 622) من طريق محمد بن محمد [بن] الأشعث الكوفي: حدثني أبو الحسن موسى بن إسماعيل بن موسى بن جعفر بن محمد حدثني أبي عن أبيه عن أبيه عن جده عن أبيه محمد بن علي عن أبيه عن جده الحسين عن أبيه علي بن أبي طالب رضي الله عنه. " أن يهو ديا كان يقال له: جريجرة كان له على رسول الله صلى الله عليه وسلم دنانير فتقاضى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: له: يا يهو دي! ما عندي ما أعطيك، قال: فإني لا أفارقك يا محمد! حتى تعطيني، فقال صلى الله عليه وسلم: إذا أجلس معك، فجلس معه، فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في ذلك الموضع الظهر والعصر والمغرب والعشاء الآخرة والغداة، وكان أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يتهددونه ويتوعدونه، ففطن رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ما الذي تصنعون به؟ فقالوا: يا رسول الله! يهو دي يحبسك! فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: منعني ربي أن أظلم معاهدا ولا غيره، فلما رحل النهار قال اليهو دي: أشهد أن لا إله إلا الله، وأشهد أن محمدا عبده ورسوله. وقال: شطر مالي في سبيل الله، أما والله ما فعلت الذي فعلت بك إلا لأنظر إلى نعتك في التوراة " محمد بن عبد الله مولده بمكة، ومهاجره بطيبة، وملكه بالشام، ليس بفظ ولا غليظ ولا سخاب في الأسواق، ولا متزي بالفحش ولا قول الخنا " أشهد أن لا إله إلا الله، وأنك رسول الله، هذا مالي فاحكم فيه بما أراك الله، وكان اليهودي كثير المال ". سكت عليه الحاكم، وتعقبه الذهبي بقوله: " حديث منكر بمرة وآفته من موسى أوممن بعده ".
قلت: إن كان يعني موسى بن جعفر فآفته ممن بعده حتما، لأن ابن جعفر ثقة إمام كما قال أبو حاتم، وقد قواه الذهبي في " الميزان "، واعتذر عن إيراده فيه بقوله: " وإنما أوردته لأن العقيلي ذكره في كتابه وقال: " حديثه غير محفوظ "، يعني في الإيمان. قال: الحمل فيه على أبي الصلت الهروي. قلت: فإذا كان الحمل فيه على أبي الصلت فما ذنب موسى تذكره؟! ". وإن كان يعني موسى بن إسماعيل بن موسى فإني لم أجد من ترجمه. قلت: وإنما آفته من الراوي عن ابن الأشعث، فإن له نسخة فيها أحاديث موضوعة، هو المتهم بها عند الذهبي وغيره، كان جمعها في كتاب بهذا الإسناد العلوي، قال الذهبي في " الميزان ": " قال الدارقطني: آية من آيات الله، وضع ذاك الكتاب يعني: " العلويات