পরিচ্ছেদঃ
১৭৩৩। আমার নিকট যে বস্তুর ব্যাপারে অহী করা হয়নি আমি সেগুলোর ব্যাপারে তোমাদের মতই।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটিকে ইবনু শাহীন "আসসুন্নাহ" গ্রন্থে "ফাযাইলুল আশারাহ" এর মধ্যে (নং ৩২) ও ইসমাঈলী "আলমু’জাম" (১-২/৯৪) আবূ ইয়াহইয়া হুমানী সূত্রে আবুল কাতূফ জাররাহ ইবনুল মিনহাল হতে, তিনি অযীন ইবনু আতা হতে, তিনি উবাদাহ ইবনু নাসী হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু গানাম হতে, তিনি মু’য়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকে ইয়ামেনের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করতে চাইলেন আর এ সময় আবূ বকর, উমার, উসমান, আলী, ত্বলহা, যুবায়ের, আব্দুর রহমান ও সা’দ (রাঃ) সেখানে ছিলেন। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কথা বল, আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি যদি আমাদেরকে কথা বলার অনুমতি দেন তাহলে আপনার সামনে আমাদের কথা বলা ঠিক হবে না। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ... (উক্ত হাদীস) অতএব তোমরা কথা বল। এরপর আবু বাকর (রাঃ) কথা বললেন এবং নরম আচরণ করার নির্দেশ দিলেন। এ সময় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায (রাঃ)-কে বললেনঃ তোমার মত কি? তিনি আবু বাকর (রাঃ) যা বলেছিলেন তার বিপরীত কথা বললেন। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ্ তা’য়ালা আসমানের উপর হতে আবু বাকর (রাঃ) কর্তৃক ভুল করাকে অপছন্দ করেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি একেবারেই দুর্বল। বর্ণনাকারী এ জাররাহ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও মুসলিম বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। নাসাঈ ও দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি হাদীসের ব্যাপারে মিথ্যা বলতেন এবং মদ পান করতেন।
হাদিসটিকে হাইসামী (৯/৪৬) উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী বর্ণনা করেছেন আর আবুল কাতূফকে আমি চিনি না। এ ছাড়া অপর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে তাদের কারো কারো ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যেন ত্ববারানীর মধ্যে জাররাহ ইবনু মিনহালের নাম (জাররাহ) উল্লেখ করা হয়নি যেমনটি দেখছেন। আর কোন কোন বর্ণনাকারীর ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে, সম্ভবত এর দ্বারা তিনি আবু ইয়াহইয়া আলহামানীকে বুঝিয়েছেন। কারণ কেউ কেউ হেফযের দিক থেকে তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার শাইখ জাররাহ হতে।
এরপর আমি হাদীসটিকে ত্ববারানীর মধ্যে (২০/৬৭/১২৪) উক্ত সূত্রে (নাম না নিয়ে) আবুল কাতূফ হতে বর্ণনা করা অবস্থায় দেখেছি। যাকে হাইসামী চিনতে সক্ষম হননি। আর মানবী “আলফাইয” গ্রন্থে তার কথাকে নকল করেছেন এবং তাকে সমর্থন করেছেন যা হাদীসটি দুর্বল হওয়াকে অপরিহার্য করে। আর তিনি “আততাইসীর” গ্রন্থে সনদটিকে হাসান আখ্যা দিয়েছেন। অথচ কিভাবে এটি হাসান যেখানে বর্ণনাকারী জাররাহ মাতরূক।
إني فيما لم يوح إلي كأحدكم
موضوع
-
أخرجه ابن شاهين في " فضائل العشرة " من " السنة " رقم (32 - نسختي) والإسماعيلي في " المعجم " (94 / 1 - 2) من طريق أبي يحيى الحماني عن أبي القطوف جراح بن المنهال عن الوضين بن عطاء عن عبادة بن نسي عن عبد الرحمن بن غنم عن معاذ بن جبل قال: " لما أراد النبي صلى الله عليه وسلم أن يوجهه إلى اليمن، وثم أبو بكر وعمر وعثمان وعلي وطلحة والزبير وعبد الرحمن وسعد، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تكلموا، فقال أبو بكر: يا رسول الله! لوأنك أذنت لنا بالكلام ما كان لنا أن نتكلم معك، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (فذكره، وزاد): فتكلموا، فتكلم أبو بكر، وأمر بالرفق، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لمعاذ: ما ترى؟ فقال بخلاف ما قال أبو بكر، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " إن الله من فوق سمائه يكره أن يخطأ أبو بكر ". قلت: وهذا إسناد واه بمرة، الجراح هذا، قال البخاري ومسلم: " منكر الحديث ". وقال النسائي والدارقطني: " متروك ". وقال ابن حبان: كان يكذب في الحديث ويشرب الخمر ". والحديث قال الهيثمي (9 / 46) : " رواه الطبراني، وأبو القطوف لم أعرفه، وبقية رجاله ثقات، وفي بعضهم خلاف
قلت: كأنه لم يقع في الطبراني مسمى وهو الجراح بن المنهال كما رأيت، والخلاف الذي ذكره في بعض رواته كأنه يعني به أبا يحيى الحماني، فقد تكلم فيه بعضهم من قبل حفظه، لكن الآفة من شيخه الجراح! ثم رأيت الحديث في " الطبراني " (20 / 67 / 124) من الوجه المذكور عن أبي القطوف غير مسمى، فلذلك لم يعرفه الهيثمي كما تقدم، ومع أن المناوي نقل كلامه في " الفيض "، وأقره، وذلك يستلزم ضعفه، عاد في " التيسير "، فحسن إسناده! فكيف وقد عرف
أنه الجراح المتروك