পরিচ্ছেদঃ
১৬৭০। ব্যক্তির মন্দের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তার দ্বীন এবং দুনিয়ার ব্যাপারে তার দিকে ইঙ্গিত প্রদান করা হবে। তবে আল্লাহ্ যাকে বঁচিয়ে রাখবেন (তার ব্যাপারটি ভিন্ন)।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু আদী (২/২৭৭) কুলসূম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবী সানদারাহ হালাবী হতে, তিনি আতা ইবনু আবী মুসলিম খুরাসানী হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আদী বলেনঃ এ বর্ণনাকারী কুলসূম আতা খুরাসানী প্রমুখ হতে এমন সব মুরসাল বর্ণনা করেন যার মুতাবায়াত করা হয়নি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু হাতিম বলেনঃ তারা (মুহাদ্দিসগণ) তার সমালোচনা করেছেন।
আতা খুরাসানী সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, বহু সন্দেহ পোষণকারী, মুরসাল বর্ণনাকারী এবং তাদলীসকারী।
হাদীসটিকে বাইহাকী “আশশুয়াব” গ্রন্থে (২/৩৩৭/১) দু’টি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এটি সে দু’টির একটি, আর দ্বিতীয়টিকে মুয়াল্লাক হিসেবে আব্দুল আযীয ইবনু হুসায়েন হতে বর্ণনা করেছেন, যাকে ইয়াহইয়া প্রমুখ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর বাইহাকী বলেছেনঃ সনদটি দুর্বল।
এ কারণেই হাফিয ইরাকী হাদীসটিকে দৃঢ়তার সাথে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। দেখুন “তাখরাজুল ইয়াহইয়া” (৩/২৭৬)।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে (৭০৩৩) আব্দুল আযীয সূত্রে, আব্দুল কারীম আবু উমাইয়্যাহ হতে, তিনি হাসান হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মওসূল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর হাইসামী “মাজমাউয যাওয়াইদ” গ্রন্থে (১০/২৯৭) এ বলে সমস্যা বর্ণনা করেছেন যে, এর সনদে আবদুল আযীয ইবনু হুসায়েন রয়েছেন যিনি দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আব্দুল কারীমও দুর্বল। আর হাসান মুদাল্লিস। আনাস (রাঃ)-এর হাদীস হতে এটির একটি শাহেদ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ নেই। এ শাহেদটিকে বাইহাকীই বর্ণনা করেছেন। মানবী বলেনঃ এর সনদে ইউসুফ ইবনু ইয়াকুব রয়েছেন, তিনি যদি নাইসাবুরী হন তাহলে তার সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তাকে ছাড়া নাইসাবুরে মিথ্যা বর্ণনাকারী অন্য কাউকে দেখি না। আর তিনি যদি ইয়ামানের কাযী হন তাহলে তিনি মাজহুল (অপরিচিত)। আর আরেক বর্ণনাকারী ইবনু লাহীয়াহ দুর্বল।
ইমরানের হাদীস হতে এর আরেকটি শাহেদ রয়েছে। কিন্তু এর সনদেও মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী বর্ণনাকারী রয়েছেন। এ শাহেদটি সম্পর্কে (২৪৩০) নম্বরে ব্যাখ্যা আসবে।
ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ৭৮) বলেনঃ আমাকে সেই ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করে শুনিয়েছেন যিনি ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীরের উদ্ধৃতিতে আওযাঈকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এতোটুকুই যথেষ্ট যে, লোকেরা তার দিকে (তার) দ্বীন অথবা দুনিয়ার ব্যাপারে আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করবে। বলা হলোঃ যদিও ভালো ক্ষেত্রে হয়? তিনি বললেনঃ যদিও ভালো ক্ষেত্রে হয়। এটি হচ্ছে পদস্খলন, তবে আল্লাহ যাকে রক্ষা করবেন (তার বিষয়টি ভিন্ন)। আর যদি মন্দ ক্ষেত্রে হয় তাহলে মন্দ।"
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি মু’যাল (পরপর দু’জন বর্ণনাকারী উল্লেখিত না) হওয়া সত্ত্বেও ইবনু ওয়াহাবের শাইখের নাম নেয়া হয়নি।
بحسب امرىء من الشر أن يشار إليه في دينه ودنياه، إلا من عصمه الله
ضعيف
-
رواه ابن عدي (277 / 2) عن كلثوم بن محمد بن أبي سندرة الحلبي: حدثنا عطاء بن أبي مسلم الخراساني عن أبي هريرة مرفوعا. وقال: " كلثوم هذا يحدث عن عطاء الخراساني بمراسيل، وغيره، بما لا يتابع عليه
قلت: وقال أبو حاتم: " يتكلمون فيه ". وعطاء الخراساني، قال الحافظ: " صدوق يهم كثيرا، ويرسل، ويدلس ". والحديث رواه البيهقي في " الشعب " (2 / 337 / 1) من طريقين، هذا أحدهما، والطريق الآخر علقه عن عبد العزيز بن حصين، وضعفه يحيى والناس، وقال البيهقي: " والإسناد ضعيف ". ومن ثم جزم الحافظ العراقي بضعف الحديث، (انظر تخريج الإحياء: 3 / 276)
قلت: وصله الطبراني في " الأوسط " (7033 - بترقيمي) عن عبد العزيز عن عبد الكريم أبي أمية عن الحسن عن أبي هريرة، وأعله الهيثمي بقوله في " مجمع الزوائد " (10 / 297) : " وفيه عبد العزيز بن حصين، وهو ضعيف قلت: وعبد الكريم ضعيف أيضا، والحسن مدلس. وله شاهد من حديث أنس، ولكنه لا يغني فتيلا، أخرجه البيهقي أيضا، قال المناوي: " وفيه يوسف بن يعقوب، فإن كان النيسابوري، قال أبو علي الحافظ: ما رأيت بنيسابور من يكذب غيره، وإن كان القاضي باليمن فمجهول، وابن لهيعة ضعيف ". وله شاهد آخر من حديث عمران، ولكن فيه متهم أيضا كما سيأتي بيانه برقم (2430) . وقال ابن وهب في " الجامع " (ص 78) : وأخبرني من سمع الأوزاعي يحدث عن يحيى بن أبي كثير أن رسول الله عليه السلام قال: " كفى بالمرء من الشر أن يشير الناس إليه بالأصابع في دين أودنيا، فقيل: وإن يك خيرا؟ فقال: وإن يك خيرا، فهو مزلة إلا ما عصم الله، وإن يك شر فهو شر ". قلت: وهذا مع إعضاله فيه شيخ ابن وهب الذي لم يسم