পরিচ্ছেদঃ
১৬৬২। যমীনের মধ্যে সুলতান (বাদশা) হচ্ছে আল্লাহর ছায়া (যিল্লুল্লাহ)। যে তাকে সম্মান করবে আল্লাহ্ তাকে সম্মান করবেন আর যে তাকে অপমানিত করবে আল্লাহ্ তাকে অপমানিত করবেন।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু আবী আসেম "আসসুন্নাহ" গ্রন্থে (২/৯৯) সালাম ইবনু সা’ঈদ খাওলানী হতে, তিনি হুমায়েদ ইবনু মিহরান হতে, তিনি সা’দ ইবনু আউস হতে, তিনি যিয়াদ ইবনু কুসায়েব হতে, তিনি আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। যিয়াদ ইবনু কুসায়েব মাজহুলুল হাল (তার অবস্থা অজ্ঞাত) যেমনটি (১৪৬৫) নম্বরে তার সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
আর সালাম ইবনু সাঈদ খাওলানীর জীবনী কে আলোচনা করেছেন পাচ্ছি না। একদল বর্ণনাকারীর পক্ষ হতে হাদীসটির প্রথম অংশ ছাড়া মুতাবায়াত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে ইঙ্গিতকৃত স্থানে আলোচনা করা হয়েছে।
সুয়ূতী হাদীসটিকে ত্ববারানীর "আলকাবীর" এবং বাইহাকীর "আশশু’য়াব" গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে উল্লেখ করেছেন। আর মানবী বলেছেনঃ এর সনদে সা’দ ইবনু আউস রয়েছেন। তিনি যদি আবাসী হন তাহলে তাকে আযদী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর তিনি যদি বাসরী হন তাহলে তাকে ইবনু মাঈন দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তাদের উভয়কেই হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দৃঢ়ভাবে বলা যায় তিনি বাসরীই। কারণ আবাদীর কোন কোন সূত্রে তাকে বাসরী হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি সত্যবাদী তবে তার বহু ভুল রয়েছে যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। ধারণা করা হয় যে, হাদীসটির সমস্যার ব্যাপারে তার কোন ভূমিকা নেই। বরং হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে তার শাইখ যিয়াদ ইবনু কুসায়েব হতে যেমনটি আলোচনা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় বাক্যের ব্যাপারে মুতাবায়াত আসার কারণে সেটিকে আমি “সিলসিলাহ্ সহীহাহ” গ্রন্থে (২২৯৭) উল্লেখ করেছি এবং "আযযিলাল" গ্রন্থে (১০১৭-১০১৮) হাসান আখ্যা দিয়েছি।
السلطان ظل الله في الأرض، فمن أكرمه أكرمه الله، ومن أهانه أهانه الله
ضعيف
-
رواه ابن أبي عاصم في " السنة " (99 / 2) عن سلم بن سعيد الخولاني: حدثنا حميد بن مهران عن سعد بن أوس عن زياد بن كسيب عن أبي بكرة مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف، زياد بن كسيب مجهول الحال كما تقدم (1465)
وسلم بن سعيد الخولاني لم أجد من ترجمه، وقد توبع من جماعة على رواية الحديث دون طرفه الأول، وقد مضى في المكان المشار إليه. والحديث عزاه السيوطي للطبراني في " الكبير "، والبيهقي في " الشعب " عن أبي بكرة، وقال المناوي: " وفيه سعد بن أوس فإن كان هو العبسي، فقد ضعفه الأزدي، وإن كان البصري، فضعفه ابن معين. ذكرهما الذهبي في " الضعفاء " ". قلت: هو البصري قطعا، فقد جاء منسوبا في بعض الطرق العبدي، وهو البصري، وهو صدوق له أغاليط كما قال الحافظ، والظن أنه لا دخل له في الحديث وإنما علته من شيخه زياد بن كسيب كما سبق. وقد توبع في الجملة الثانية، فأوردتها في " الصحيحة " (2297) وحسنته في " الظلال " (1017 - 1018)