পরিচ্ছেদঃ
১৬৪৩। তোমরা কুরাইশদের আনুগত্যের উপর অটল থাক যে পর্যন্ত তারা তোমাদের জন্য দ্বীন কায়েম করে। তারা যদি তা না করে তাহলে তোমরা তোমাদের কাঁধে তোমাদের তরবারীগুলো রেখে তাদের অধিক সংখ্যককে হত্যা করে বিছিন্ন করে ফেলো।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ (৫/২৭৭), খাল্লাল “মাসাইলুল ইমাম আহমাদ” গ্রন্থে (১/৭/২), আবূ সাঈদ ইবনুল আ’রাবী তার "মু’জাম" গ্রন্থে (২/১২৫), আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (১/১২৪), ত্ববারানী “আলমুজামুস সাগীর” গ্রন্থে (পৃঃ ৩৯), খাতীব (১২/১৪৭) ও খাত্তাবী “আলগারীব” গ্রন্থে (১/৭১) সালেম ইবনু আবিল জা’দ হতে, তিনি সাওবান হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ত্ববারানী ও ইবনু হিব্বান "রাওযাতুল ওকালা" গ্রন্থে (পৃঃ ১৫৯) কিছু বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ “যদি তোমরা তা না কর, তাহলে তোমরা বদনাসীব চাষীতে পরিণত হবে, ভক্ষণ করবে তোমাদের হাতের কষ্টার্জিত উপার্জন হতে।”
খাত্তাবী বলেনঃ খাওয়ারিজ এবং তাদের সাথে যারা ঐকমত্য পোষণ করে তারা এ হাদীস দ্বারা ইমামদের বিপক্ষে বের হওয়া জায়েয মর্মে দলীল গ্রহণ করে থাকে ...।
আমি (আলবানী) বলছি সাওবানের এ হাদীসটি সনদের দিক থেকে সহীহ নয়। কারণ ইবনু আবিল জা’দ সাওবান হতে শ্রবণ করেননি। অতএব সনদটি মুনকাতি বিচ্ছিন্ন। যখন হাদীসটির দুর্বলতা সাব্যস্ত হচ্ছে তখন এর ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ তা করলে এটি সহীহ্ এরূপ সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে।
খাল্লাল বলেনঃ হাম্বাল বলেনঃ আমি আবু আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছিঃ (সহীহ) হাদীসগুলো এ (আলোচ্য) হাদীস বিরোধী। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তুমি শুনো এবং আনুগত্য কর যদিও সে নাক ও কান কাটা দাস হয়।” ... সাওবানের আলোচ্য এ হাদীস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত উক্ত হাদীসসহ অন্যান্য সহীহ হাদীস বিরোধী।
খাল্লাল মাহনা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি আহমাদকে এ হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেনঃ এটি সহীহ নয়। কারণ সালেম ইবনু আবুল জা’দের সাওবানের সাথে সাক্ষাৎ ঘটেনি। আর আমি তাকে আলী ইবনু আবেসের হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম যার থেকে হামানী বর্ণনা করেছেন, আর তিনি আবূ ফাযারাহ হতে, তিনি উম্মু হানীর দাস আবু সালেহ্ হতে, তিনি উম্মু হানী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ... সাওবানের হাদীসের ন্যায়। উত্তরে তিনি বলেনঃ হাদীসটি সহীহ নয় বরং মুনকার।
ইবনু কুদামা আলমাকদেসীর "আলমুন্তাখাব" গ্রন্থে (১০/২০০/২) এরূপই উল্লেখ করা হয়েছে।
استقيموا لقريش ما استقاموا لكم، فإن لم يفعلوا فضعوا سيوفكم عن عواتقكم، فأبيدوا خضراءهم
ضعيف
-
رواه أحمد (5 / 277) والخلال في " مسائل الإمام أحمد " (1 / 7 / 2 نسخة المتحف البريطاني) وأبو سعيد بن الأعرابي في " معجمه " (125 / 2) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 124) والطبراني في " المعجم الصغير " (ص 39) والخطيب (12 / 147) والخطابي في " الغريب " (71 / 1) عن سالم بن أبي الجعد عن ثوبان مرفوعا، وزاد الطبراني وابن حبان في " روضة العقلاء " (ص 159) : " فإن لم تفعلوا، فكونوا حينئذ زراعين أشقياء، تأكلون من كد أيديكم
وقال الخطابي. " الخوارج ومن يرى رأيهم، يتأولونه في الخروج على الأئمة، ويحملون قوله: " ما استقاموا لكم " على العدل في السيرة، وإنما الاستقامة هاهنا، الإقامة على الإسلام، يقال: أقام واستقام بمعنى واحد، كما يقال: أجاب واستجاب، قال الله تعالى: " ادعوني أستجب لكم "، والمعنى استقيموا لهم ما أقاموا على الشريعة ولم يبدلوها ". ثم أيد هذا المعنى بأحاديث أخرى، منها قولهم: " ... قالوا: يا رسول الله! أفلا نقاتلهم؟ قال: لا ما أقاموا الصلاة ".
قلت: حديث ثوبان هذا، لا يصح من قبل إسناده، وابن أبي الجعد لم يسمع من ثوبان، فهو منقطع، فإذا ثبت ضعف الحديث، فلا حاجة إلى تكلف تأويله، لأنه يوهم صحته. وقال الخلال: " قال حنبل: سمعت أبا عبد الله قال: الأحاديث خلاف هذا، قال النبي صلى الله عليه وسلم: " اسمع وأطع، ولولعبد مجدع "، وقال: " السمع والطاعة في عسرك ويسرك وأثرة عليك "، فالذي يروى عن النبي صلى الله عليه وسلم من الأحاديث خلاف حديث ثوبان، وما أدري ما وجهه؟ ". ثم روى الخلال: " عن مهنا قال: سألت أحمد عن هذا الحديث؟ فقال: ليس يصح، سالم بن أبي الجعد لم يلق ثوبان. وسألته عن علي بن عابس يحدث عنه الحماني عن أبي فزارة عن أبي صالح مولى أم هانىء عن أم هانىء قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: مثل حديث ثوبان.. فقال: ليس يصح، هو منكر ". وكذا في " المنتخب " لابن قدامة المقدسي (10 / 200 / 2)