পরিচ্ছেদঃ
১৬৩৭। মুসলিমদের সর্বোত্তম বাড়ি হচ্ছে সেই বাড়ি যে বাড়িতে ইয়াতীমের সাথে ভালো আচরণ করা হয়। আর মুসলিমদের সর্বনিকৃষ্ট বাড়ি সেটি যে বাড়িতে ইয়াতীমের সাথে মন্দ আচরণ করা হয়।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক “আযযুহুদ” গ্রন্থে (নং ৬৫৪), তার থেকে ইবনু মাজাহ (৩৬৭৯) ও বুখারী “আলআদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (১৩৭) ইয়াহইয়া ইবনু আবূ সুলাইমান সূত্রে যায়েদ ইবনু আবূ আত্তাব হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল, যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। এ কারণে মুনযেরী “আততারগীব” গ্রন্থে (৩/২৩০) হাদীসটি দুর্বল হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইয়াহইয়া” গ্রন্থে (২/১৮৪) বলেনঃ তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। বূসয়রী "আযযাওয়াইদ" গ্রন্থে বলেনঃ তার সনদে বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া ইবনু আবূ সুলাইমান রয়েছেন যার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মুযতারিবুল হাদীস। তাকে ইবনু হিব্বান “আসসিকাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর ইবনু খুযাইমাহ তার হাদীসকে “সহীহাহ” গ্রন্থে তাখরীজ করে এ হাদীস সম্পর্কে বলেছেনঃ অন্তরে এ হাদীসের ব্যাপারে কিছু (সমস্যা) রয়েছে। কারণ আমি ইয়াহইয়া সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই জানি না। আমি তার হাদীসকে তাখরীজ করেছি, কারণ আলেমগণ তার সম্পর্কে মতভেদ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম বুখারী ও আবু হাতিমের নিকট যে সমস্যা প্রকাশিত হয়েছে ইবনু খুযাইমার নিকট তা লুক্কায়িত রয়ে গেছে। অতএব বর্ণনাকারী সম্পর্কে তাদের দু’জনের সমালোচনা অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ইবনু খুযাইমা কর্তৃক দোষারোপ না করার চেয়ে।
এটাই হচ্ছে হক কথা। বিশেষ করে ইবনু হিব্বান তাকে যে “আসসিকাত” গ্রন্থে (৩/৬০৪, ৬১০) উল্লেখ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তিনি নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শনকারীদের অন্তর্ভুক্ত। যেমনটি ইবনু হাজার “আললিসান” গ্রন্থের ভূমিকাতে এ মর্মে সতর্ক করেছেন।
আর আমি (আলবানী) কতিপয় অপরিচিত বর্ণনাকারীদের ইবনু হিব্বান কর্তৃক নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার উদাহরণ উল্লেখ করেছি “আররাদ্দ আলাশ শাইখ হাবাশী” গ্রন্থে। কেউ চাইলে গ্রন্থটি পড়তে পারেন।
সতর্কবাণীঃ এ হাদীসটিকে ইবনু কাসীর তার তাফসীর গ্রন্থে ইবনুল মুবারাকের বর্ণনায় তার পূর্বোক্ত সনদে উল্লেখ করে কোন হুকুম দেয়া হতে চুপ থেকেছেন। আর এ কারণেই দু’হালাবী আলেম সন্দেহপোষণ করে তার চুপ থাকাকে সহীহ হিসেবে ধরে নিয়ে তারা উভয়ে হাদীসটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন এবং তারা দু’জনেই “মুখতাসার ইবনু কাসীর” গ্রন্থে হাদীসটিকে উল্লেখ করেছেন। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এর বিপরীত। যেমনটি এ সম্পর্কে বারবার সতর্ক করা হয়েছে।
خير بيت في المسلمين، بيت فيه يتيم يحسن إليه، وشر بيت في المسلمين، بيت فيه يتيم يساء إليه
ضعيف
-
أخرجه عبد الله بن المبارك في " الزهد " (رقم 654 - طبع الهند) وعنه ابن ماجة (3679) والبخاري في " الأدب المفرد " (137) من طريق يحيى بن أبي سليمان عن زيد بن أبي عتاب عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم به. قلت: وهذا إسناد ضعيف، يحيى هذا لين الحديث، كما في " التقريب "، ولذا أشار المنذري في " الترغيب " (3 / 230) إلى تضعيف الحديث، وقال الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (2 / 184) : " وفيه ضعف ". وقال البوصيري في " الزوائد ": " في إسناده يحيى بن أبي سليمان، قال فيه البخاري: منكر الحديث
. وقال أبو حاتم: مضطرب الحديث. وذكره ابن حبان في " الثقات "، وأخرج ابن خزيمة حديثه في " صحيحه "، وقال: في النفس من هذا الحديث شيء، فإني لا أعرف يحيى بعدالة ولا جرح، وإنما خرجت خبره، لأنه يختلف العلماء فيه ". قلت: قد ظهر للبخاري وأبي حاتم ما خفي على ابن خزيمة، فجرحهما مقدم على من عدله ". قلت: وهذا هو الحق، ولاسيما أن ابن حبان - الذي ذكره في " الثقات " (3 / 604 و610) - معروف بتساهله في التوثيق، كما نبه عليه الحافظ في مقدمة " اللسان
وذكرت نماذج من المجهولين الذين وثقهم في " الرد على الشيخ الحبشي "، فليراجعها من شاء
(تنبيه) : هذا الحديث أورده الحافظ ابن كثير في " تفسيره - الفجر " من رواية ابن المبارك بسنده المتقدم، وسكت عنه، فتوهم الحلبيان من سكوته أنه صحيح عنده، ولذلك صححاه! فأورده كل منهما في " مختصره
"، والأمر بخلاف ذلك، كما سبق التنبيه عليه مرة أوأكثر. والله المستعان