পরিচ্ছেদঃ
১৫৫১। যে ব্যক্তি আমার উম্মাতের উপর একরাত মূল্যবৃদ্ধি কামনা করবে, আল্লাহ্ তা’য়ালা তার চল্লিশ বছরের আমলকে বাতিল করে দিবেন।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটিকে ইবনু আদী (১/১৬১) ও তার ও অন্যদের থেকে খাতীব বাগদাদী (৪/৬০) সুলাইমান ইবনু ঈসা সাজয়ী হতে, তিনি আব্দুল আযীয ইবনু আবী রাওয়াদ হতে, তিনি নাফে হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আদী বলেনঃ সুলাইমান ইবনু ঈসা জালকারী। তার সব হাদীস অথবা অধিকাংশ হাদীস বানোয়াট।
খাতীব বলেনঃ তিনি খুবই মুনকার। সুলাইমান ইবনু ঈসা সাজয়ী ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমি জানি না। তিনি মিথ্যুক ছিলেন, হাদীস জাল করতেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ খাতীবের সূত্রে ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে “আলমওযুয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর সুয়ূতী “আললাআলী” গ্রন্থে (২/১৪৫) এবং ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২/১৮৮) তাকে সমর্থন করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটিকে সাজয়ী হতে তার ন্যায় কোন মিথ্যুক চুরি করেছেন। এটিকে ইবনু আসাকির (১৬/১২২/২) মামূন ইবনু আহমাদ সুলামী হতে, তিনি আহমাদ ইবনু আব্দিল্লাহ শাইবানী হতে, তিনি বিশর ইবনু সারিউ হতে, তিনি আব্দুল আযীয ইবনু আবী রাওয়াদ হতে, তিনি নাফে হতে, তিনি ইবনু উমার হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটিও বানোয়াট। এটিকে ইবনু আসাকির এ মামূনের জীবনীতে উল্লেখ করে তার সম্পর্কে বলেছেনঃ হাদীস জাল করার ব্যাপারে তিনি এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি। কোন কোন বিদ্বান তাকে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি ... মিথ্যুক।
আমি (আলবানী) বলছি তার শাইখ আহমাদ ইবনু আবদিল্লাহ শাইবানী তার থেকেও বেশী বড় মিথ্যুক। তিনি হচ্ছেন জুওয়াইবারী। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি দাজ্জালদের এক দাজ্জাল। তিনি ইমামদের উদ্ধৃতিতে হাজার হাজার হাদীস বর্ণনা করেছেন অথচ তারা সেগুলোর কিছুই বর্ণনা করেননি। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাকে মিথ্যুকের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এতো কিছু সত্ত্বেও সুয়ূতী হাদীসটিকে “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে গ্রন্থটিকে কালিমালিপ্ত করেছেন। তিনি তাতে ইবনু আসাকিরের বর্ণনার উল্লেখ করেছেন অথচ তিনি নিজে “আললাআলী” গ্রন্থে (২/১৪৫) হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ মামূন ও তার শাইখ তারা উভয়েই মিথ্যুক।
من تمنى الغلاء على أمتي ليلة أحبط الله عمله أربعين سنة
موضوع
-
رواه ابن عدي (161 / 1) وعنه الخطيب (4 / 60) وعن غيره عن سليمان بن عيسى السجزي: حدثنا عبد العزيز بن أبي رواد عن نافع عن ابن عمر مرفوعا وقال ابن عدي: " سليمان بن عيسى يضع الحديث، وأحاديثه كلها أو عامتها موضوعة ". وقال الخطيب: " منكر جدا، لا أعلم رواه غير سليمان بن عيسى السجزي، وكان كذابا يضع الحديث ". قلت: ومن طريق الخطيب أورده ابن الجوزي في " الموضوعات "، وأقره السيوطي في " اللآليء " (2 / 145) وابن عراق في " تنزيه الشريعة " (2 / 188)
قلت: وقد سرقه من السجزي بعض الكذابين من أمثاله، فقد رواه ابن عساكر (16 / 122 / 2) عن مأمون بن أحمد السلمي: أخبرنا أحمد بن عبد الله الشيباني أخبرنا بشر بن السري عن عبد العزيز بن أبي رواد عن نافع عن ابن عمر مرفوعا
قلت: وهذا موضوع أيضا، أورده ابن عساكر في ترجمة مأمون هذا، وقال فيه: " أحد المشهورين بوضع الحديث، وذكره بعض أهل العلم فقال: هروي كذاب ". قلت: وشيخه أحمد بن عبد الله الشيباني أكذب منه، وهو الجويباري. قال ابن حبان: " دجال من الدجاجلة، روى عن الأئمة ألوف حديث ما حدثوا بشيء منها ". وقال الذهبي: " هو ممن يضرب المثل بكذبه
قلت: ومع هذا كله فقد سود السيوطي بهذا الحديث " الجامع الصغير "، فأورده فيه من رواية ابن عساكر هذه مع أنه قال في " اللآلي " (2 / 145) بعد
أن ساقه: " مأمون وشيخه كذابان ". فليت شعري كيف أورده مع علمه بحال الراويين؟! فهل نسي ذلك أم ماذا؟ والعجب من المناوي أنه انتقد السيوطي في عدوله في " الجامع " عن عزوالحديث إلى ابن عدي. وفي سنده كذاب واحد! إلى عزوه إلى ابن عساكر وفيه الكذابان. ثم نسي المناوي ذلك، فقال في " التيسير " في سند ابن عساكر: " وفيه وضاع