পরিচ্ছেদঃ
১৫৩৩। যমীনের মধ্যে আল্লাহর সর্বাধিক সৈন্য হচ্ছে ফড়িং, আমি তাকে খাবো না আর তাকে হারাম আখ্যাও দেব না।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে আবু মুসলিম কাজ্জী "জুযউল আনসারী" গ্রন্থে (২/২) এবং তার থেকে বাইহাকী (৯/২৫৭) আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ আনসারী হতে, তিনি সুলাইমান তাইমী হতে, তিনি আবূ উসমান নাহদী হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি সহীহ যদি মুরসাল না হতো। মওসূল হিসেবেও মুহাম্মাদ ইবনু যাবারকান হতে, তিনি সুলাইমান তাইমী হতে, তিনি আবূ উসমান নাহদী হতে, তিনি সালমান (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ফড়িং সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি বলেন....। তিনি “যমীনের মধ্যে” অংশটুকু বাদ দিয়ে উল্লেখ করেছেন।
এটিকে আবু দাউদ (৩৮১৩), মুখাল্লেস "আলফাওয়াইদুল মুনতাকাত" গ্রন্থে (৯/২/১) বাইহাকী ও ইবনু আসাকির (৭/১৯৪/১) বর্ণনা করেছেন।
আবু দাউদ বলেনঃ এটিকে মু’তামের তার পিতা হতে, তিনি আবূ উসমান হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি সালমানকে উল্লেখ করেননি।
আবুল আওয়াম জাযযার সূত্রে আবূ উসমান নাহদী হতে, তিনি সালমান হতে বর্ণনা করেন। এটিকে আবু দাউদ (৩৮১৪) ও ইবনু মাজাহ্ (৩২১৯) বর্ণনা করেছেন। আর আবু দাউদ বলেনঃ এটিকে হাম্মাদ ইবনু সালামাহ আবুল আওয়াম হতে, তিনি আবূ উসমান হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি সালমানকে উল্লেখ করেননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ আবুল আওয়ামের নাম হচ্ছে ফায়েদ ইবনু কাইসান। তিনি প্রসিদ্ধ নন। হাফিয যাহাবী বলেনঃ আমি তার ব্যাপারে মন্দ কিছু জানি না। বরং তাকে ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন।
মোটকথাঃ হাদীসটি মুরসাল আর মওসূল হওয়ার ব্যাপারে আবু উসমানের উপর মতভেদ করা হয়েছে। তার থেকে সুলাইমান তাইমী মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন, আর এ মুরসাল বর্ণনাটিকে সুলাইমান তাইমী হতে দু’জন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী আনসারী এবং মু’তামের ইবনু সুলাইমান বর্ণনা করেছেন। আর এ দু’জন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর বিরোধিতা করে মুহাম্মাদ ইবনু যাবারকান তার থেকে মওসূল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ইবনু যাবারকানের বর্ণনা অগ্রহণযোগ্য। কারণ তিনি মওসূল হিসেবে এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বিশেষভাবে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তিনি কখনও কখনও ভুল করতেন। এ থেকে ফলাফল দাঁড়াচ্ছে এই যে, হাদীসটি সুলাইমান তাইমী হতে মুরসাল হিসেবে নিরাপদ।
তাইনীর বিরোধিতা করে আবুল আওয়ামও মওসূল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার এ বর্ণনাও অগ্রাধিকারযোগ্য নয়। কারণ তিনি প্রসিদ্ধ নন যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি। তিনি তাইমীর সমকক্ষ নন।
সারসংক্ষেপঃ হাদীসটি মুরসাল হওয়ার কারণে দুর্বল। আর বাইহাকী হাদিসটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন নিম্নোক্ত কথা দারাঃ
যদি এটি সহীহ হয়, তাহলেও এর মধ্যে ফড়িং হালাল হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। কারণ তিনি হারাম আখ্যা দেননি বরং হালাল আখ্যা দিয়েছেন। তিনি শুধুমাত্র অপছন্দ করে খাননি। (আল্লাহই বেশী জানেন)।
أكثر جنود الله في الأرض الجراد، لا آكله ولا أحرمه
ضعيف
-
أخرجه أبو مسلم الكجي في " جزء الأنصاري " (2 / 2) وعنه البيهقي (9 / 257) : حدثنا أبو عبد الله محمد بن عبد الله الأنصاري قال: حدثنا سليمان التيمي عن أبي عثمان النهدي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال
: فذكره
قلت: هذا إسناد صحيح لولا أنه مرسل، وقد روي موصولا، من طريق محمد بن الزبرقان: حدثنا سليمان التيمي عن أبي عثمان النهدي عن سلمان قال: " سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الجراد، فقال "، فذكره دون قوله: " في الأرض ". أخرجه أبو داود (3813) والمخلص في " الفوائد المنتقاة " (9 / 2 / 1) والبيهقي وابن عساكر (7 / 194 / 1) وقال أبو داود: " رواه المعتمر عن أبيه عن أبي عثمان عن النبي صلى الله عليه وسلم، لم يذكر سلمان ". ومن طريق أبي العوام الجزار عن أبي عثمان النهدي عن سلمان. أخرجه أبو داود (3814) وابن ماجة (3219) وقال أبو داود: " رواه حماد بن سلمة عن أبي العوام عن أبي عثمان عن النبي صلى الله عليه وسلم، لم يذكر سلمان قلت: وأبو العوام هذا اسمه فائد بن كيسان، ليس بالمشهور، قال الذهبي: " ما علمت فيه جرحا، بل وثقه ابن حبان
وجملة القول أن الحديث اختلف في وصله وإرساله على أبي عثمان، فأرسله سليمان التيمي عنه في رواية ثقتين عنه هما الأنصاري والمعتمر بن سليمان، وخالفهما محمد بن الزبرقان فرواه عنه موصولا
ومما لا ريب فيه أن روايته مرجوحة، لأنه فرد، ولاسيما وقد قيل فيه: إنه قد يخطىء، فينتج من ذلك أن المحفوظ عن سليمان التيمي مرسل. وخالف التيمي أبو العوام فوصله. وروايته مرجوحة أيضا، لأنه غير مشهور كما ذكرنا، فلا يقرن مع التيمي ليفاضل بينهما! والخلاصة أن الحديث ضعيف لإرساله. والله أعلم
وقد أشار البيهقي إلى تضعيفه بقوله. " إن صح هذا ففيه أيضا دلالة على الإباحة فإنه إذا لم يحرم فقد أحله، وإنما لم يأكله تقذرا. والله أعلم