১৫৩২

পরিচ্ছেদঃ

১৫৩২। ইঁদুর যদি ঘিতে পড়ে যায় আর তা যদি জমাট বাধা হয় তাহলে তোমরা ইদুরকে এবং তার আশপাশের ঘিকে ফেলে দাও। আর যদি তরল ঘি হয় তাহলে তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না।

হাদীসটি শায।

হাদীসটিকে আবু দাউদ (৩৮৪২), নাসাঈ (২/১৯২), ইবনু হিব্বান (১৩৬৪), বাইহাকী (৯/৩৫৩) ও আহমাদ (২/২৩২-২৩৩, ২৬৫, ৪৯০) মা’মার সূত্রে যুহরী হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।

ইমাম আহমাদের অন্য বর্ণনায় মামার হতে, তিনি আইউব হতে, তিনি ইবনু সীরীন হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বাহ্যিকভাবে সহীহ। কিন্তু আসলে সহীহ নয়। কারণ, মামার নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হলেও তার সনদ ও ভাষার বিরোধিতা করা হয়েছে।

সনদের বিরোধিতাঃ

একদল বর্ণনাকারী হাদীসটিকে যুহরী হতে, তিনি ওবাইদুল্লাহ্ ইবনু আবদুল্লাহ হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, তিনি মাইমূনাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে,

أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن الفأرة تقع في السمن؟ فقال: انزعوها وما حولها فاطرحوه

"রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সেই ইদুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যেটি ঘির মধ্যে পড়েছে? তিনি বলেনঃ তাকে এবং তার আশপাশের অংশগুলোকে (ঘিকে) বের করে তা ফেলে দাও।"

এ হাদীসকে ইমাম মালেক “আলমুওয়াত্তা” গ্রন্থে (২/২৭১/২০) ইবনু শিহাব হতে বর্ণনা করেছেন।

তার সূত্র হতে এটিকে ইমাম বুখারী (১/৭০, ৪/১৯), নাসাঈ (২/১৯২), বাইহাকী (৯/৩৫৩), আহমাদ (৬/৩৩৫) এরা সকলেই বিভিন্ন সূত্রে মালেক হতে বর্ণনা করেছেন।

আর সুফইয়ান ইবনু ওয়াইনাহ তার মুতাবা’য়াত করে যুহরী হতে বর্ণনা করেছেন।

এটিকে ইমাম আহমাদ (৬/৩২৯), হুমাইদী তার "মুসনাদ" গ্রন্থে (৩১২) সুফইয়ান হতে বর্ণনা করেছেন। আর হুমাইদীর সূত্র হতে হাদীসটিকে বুখারী (৪/১৮) বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে বাইহাকী বর্ণনা করেছেন। আর এটিকে আবু দাউদ (৩৮৪১), নাসাঈ, তিরমিয়ী (১/৩৩২), দারেমী (২/১৮৮) বিভিন্ন সূত্রে সুফইয়ান হতে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের দু’জনের যুহরী হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে আওযাঈ মুতাবায়াত করেছেন।

এটিকে ইমাম আহমাদ (৬/৩৩০) মুহাম্মাদ ইবনু মুসায়াব হতে, তিনি আওযা’ঈ হতে বর্ণনা করেছেন। আর মামারও তাদের মুতাবা’য়াত করেছেন তার থেকে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে।

ইমাম নাসাঈ খুশায়েব ইবনু আসরাম হতে, তিনি আব্দুর রাযযাক হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু বুযবিয়্যাহ হতে বর্ণনা করেছেন যে, মামার হাদীসটিকে যুহরী হতে উল্লেখ করেছেন। এটিকে আবু দাউদ (৩৮৪৩) আহমাদ ইবনু সালেহ হতে, তিনি আব্দুর রাযযাক হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি মামার পর্যন্ত সহীহ। যার নিকট হাদীসের সমস্যাগুলো সম্পর্কে জ্ঞান এবং সেগুলো জানা আছে তার নিকট এর ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। মামারের এ বর্ণনাটি পূর্বের বর্ণনা থেকে বেশী সহীহ। ইমাম মালেক এবং তার সাথে মিলে যারা এটিকে বর্ণনা করেছেন তাদের সাথে মিলে যাওয়ার কারণে। কিন্তু এখানে মামার কর্তৃক বর্ণিত আলোচ্য হাদীসটি সেই সব উল্লেখকৃত বর্ণনাকারীগণের বর্ণনা বিরোধী হওয়ার কারণে শায।

হুমাইদী সুফইয়ান হতে তার বর্ণনার মধ্যে সেদিকে ইঙ্গিত করে বলেছেনঃ সুফইয়ানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, মামার হাদীসটিকে যুহরী হতে, তিনি সাঈদ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন? তখন সুফইয়ান বলেনঃ আমি যুহরীকে একমাত্র ওবাইদুল্লাহ হতে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি ইবনু আব্বাস হতে, তিনি মাইমূনাহ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। আর আমি তার থেকে হাদীসটি বারবার শুনেছি।

আমি (আলবানী) বলছি সম্ভবত তিনি তার এ কথার দ্বারা মামার কর্তৃক ভুল সংঘটিত হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করছেন। অন্তর এর দ্বারাই প্রশান্তি লাভ করছে। ইমাম বুখারী এবং তিরমিযী দৃঢ়তার সাথে এ ভুলের কথা উল্লেখ করেছেন।

এ গেলো সনদের মধ্যে বিরোধিতার বিবরণ।

আর ভাষার মধ্যে বিরোধিতাঃ

একদল বর্ণনাকার যুহরী হতে বর্ণনা করেছেন যে, পূর্বে উল্লেখকৃত انزعوها وما حولها فاطرحوه "তাকে এবং তার আশেপাশের অংশগুলোকে (ঘিকে) বের করে তা ফেলে দাও" এর মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি সেরূপ যেরূপ মামার কর্তৃক বর্ণনার মধ্যে ব্যাখ্যা সহকারে বর্ণনা করা হয়েছেঃ “... তা যদি জমাট বাধা হয় তাহলে তোমরা ইদুরকে এবং তার আশপাশের ঘিকে ফেলে দাও। আর যদি তরল ঘি হয় তাহলে তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না"।

মামার থেকে বর্ণিত অন্য বর্ণনা যেটিকে ইবনু আবী শাইবাহ- আব্দুল আ’লা সূত্রে তার থেকে বর্ণনা করেছেন। সেটি ব্যাখ্যা ছাড়া সম্মিলিতভাবে একদল বর্ণনাকারীর বর্ণনার মতই এবং এটিই সঠিক। সম্ভবত এ কারণেই ইমাম তিরমিযী হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ হাদীসটি নিরাপদ নয়। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বুখারীকে বলতে শুনেছি মামার সূত্রে যুহরী হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত মামারের হাদীস যার মধ্যে বলা হয়েছেঃ "... তা যদি জমাট বাধা হয় তাহলে তোমরা ইদুরকে এবং তার আশপাশের ঘিকে ফেলে দাও। আর যদি তরল ঘি হয় তাহলে তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না" এটি ভুল, এ ব্যাপারে মামার ভুল করেছেন।

সঠিক হচ্ছে যুহরীর হাদীস তিনি যা ওবাইদুল্লাহ হতে, তিনি ইবনু আব্বাস হতে, তিনি মাইমূনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ ব্যাখ্যা ছাড়া বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। ইমাম বুখারী তার সহীহ বুখারীর মধ্যেও ইঙ্গিত করেছেন যে, ব্যাখ্যা ছাড়া যুহরীর এ হাদীসটিই নিরাপদ। কারণ তিনি পরক্ষণে সহীহ সনদে ইউনুস হতে, তিনি যুহরী হতে সেই পশু সম্পর্কে হাদিস বর্ণনা করেছেন যেটি তেল ও ঘির মধ্যে মারা যাবে এমতাবস্থায় যে, তা জমে আছে অথবা জমে নাই, ইঁদুর হোক কিংবা অন্য কিছু হোক? তিনি বলেনঃ আমাদের নিকট পৌঁছেছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘির মধ্যে মরে যাওয়া ইদুরের ব্যাপারে (তাকে সহ) তার নিকটের ঘিগুলোকে নিক্ষেপ করার নির্দেশ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তা ভক্ষণ করেন। এটি ওবাইদিল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত হাদীস।

আমি (আলবানী) বলছিঃ যুহরী জমাট বাঁধা আর তরল ঘির মধ্যে পার্থক্য করেননি। তার হাদীসে যদি পার্থক্য করার বিষয়টি থাকত তাহলে তিনি এর বিরোধিতা করতেন না। এটা কি প্রমাণ করছে না যে, মামার কর্তৃক ভুল সংঘটিত হয়েছে? এ কারণেই হাফিয ইবনু হাজার “আলফাতহ” গ্রন্থে (৯/৫৭৭) বলেছেনঃ এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, যুহরী এ ব্যাপারে ঘি আর অন্য কিছুর মধ্যে এবং জমাট আর তরলের মধ্যে পার্থক্য করেননি ...।

জেনে রাখুন! নাসাঈর নিকট আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী সূত্রে মালেক হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ঘির ব্যাখ্যা করেছেন “জমাট বাধার” দ্বারা। এ বর্ণনাটিও শায মালেক হতে একদল বর্ণনাকারীর বিরোধী হওয়ার কারণে এবং যুহরী হতে জামহুরের বর্ণনা বিরোধী হওয়ার কারণে। বরং এ বর্ণনাটি আহমাদের বর্ণনায় আব্দুর রহমান ইবনু মাহদীর নিজের বর্ণনারও বিরোধী। কিন্তু এ বর্ণনাটি হাফিয ইবনু হাজারের নিকট লুক্কায়িতই রয়ে গেছে। কারণ তিনি আব্দুর রহমান হতে নাসাঈর বর্ণনা উল্লেখ করেছেন কিন্তু তিনি আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত ইমাম আহমাদের বর্ণনাটি উল্লেখ করেননি।

এ নাসাঈর বর্ণনাটি আওযাঈর বর্ণনা হতেও বর্ণিত হয়েছে কিন্তু তার থেকে এর বর্ণনাকারী দুর্বল। আর তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনু মুস’য়াব কারাকসানী। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী কিন্তু বহুভুলকারী। হাফিয ইবনু হাজার এ দুর্বল বর্ণনার ব্যাপারে “আলফাতহ” গ্রন্থে কোন সতর্ক করেননি এবং কোন প্রকার ইঙ্গিতও করেননি।

ফিকহুল হাদীসঃ

হাফিয ইবনু হাজার উল্লেখিত ব্যাখ্যা ছাড়া নিরাপদ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেনঃ এ হাদীসের দ্বারা ইমাম আহমাদ (তার এক বর্ণনায়) দলীল গ্রহণ করেছেন যে, তরল বস্তুর মধ্যে যদি অপবিত্র কিছু পড়ে যায় তাহলে তা পরিবর্তিত না হয়ে গেলে না-পাক হবে না। ইমাম বুখারীও এ মতকে পছন্দ করেছেন। মালেকী মাযহাবের ইবনু নাফেরও মত এটিই। ইমাম মালেক হতেও বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আহমাদ ইসমাঈল ইবনু ওলাইয়্যাহ হতে, তিনি আম্মারাহ ইবনু আবু হাফসাহ হতে, তিনি ইকরিমাহ হতে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে ঘির মধ্যে মরে যাওয়া ইঁদুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল? তিনি বলেনঃ ইদুর এবং তার আশপাশের ঘিগুলো উঠিয়ে (ফেলতে হবে)। আমি বললামঃ তার ক্রিয়া তো সম্পূর্ণ ঘির মধ্যে ছেয়ে গেছে? তিনি বললেনঃ এ অবস্থা ছিলো যখন সে জীবিত ছিলো তখন। আর সে মারা গেছে যেখানে তাকে পাওয়া গেছে। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ বর্ণনাকারী।

এটিকে ইমাম আহমাদ অন্য সূত্রেও বর্ণনা করেছেন ....। আর জামহুর ওলামা তরল আর জমাট বাঁধার মধ্যে পার্থক্য করেছেন ব্যাখ্যামূলক হাদীসের কারণে ...।

إذا وقعت الفأرة في السمن، فإن كان جامدا فألقوها وما حولها، وإن كان مائعا فلا تقربوه
شاذ

-

أخرجه أبو داود (3842) والنسائي (2 / 192) وابن حبان (1364) والبيهقي (9 / 353) وأحمد (2 / 232 - 233 و265 و490) من طريق معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. وفي رواية لأحمد عن معمر عن أيوب عن ابن سيرين عن أبي هريرة
قلت: وهذا إسناد ظاهره الصحة، وليس كذلك، لأن معمرا - وإن كان ثقة - فقد خولف في إسناده ومتنه
أما الإسناد فرواه جماعة عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس عن ميمونة رضي الله عنها: " أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن الفأرة تقع في السمن؟ فقال: انزعوها وما حولها فاطرحوه
أخرجه مالك في " الموطأ " (2 / 971 / 20) عن ابن شهاب به. ومن طريقه أخرجه البخاري (1 / 70 و4 / 19) والنسائي (2 / 192) والبيهقي (9 / 353) وأحمد (6 / 335) كلهم من طرق عن مالك به. وتابعه سفيان بن عيينة قال: حدثنا الزهري به. أخرجه أحمد (6 / 329) والحميدي في " مسنده " (312) قالا: حدثنا سفيان به. ومن طريق الحميدي أخرجه البخاري (4 / 18) وكذا البيهقي
وأخرجه هذا وأبو داود (3841) والنسائي والترمذي (1 / 332) والدارمي (2 / 188) من طرق أخرى عن سفيان به. وتابعهما الأوزاعي عن الزهري به. أخرجه أحمد (6 / 330) : حدثنا محمد بن مصعب قال: حدثنا الأوزاعي ... وتابعهم معمر أيضا في رواية عنه، فقال النسائي: أخبرنا خشيش بن أصرم قال حدثنا عبد الرزاق قال: أخبرني عبد الرحمن بن بوذويه أن معمرا ذكره عن الزهري به. وأخرجه أبو داود (3843) : حدثنا أحمد بن صالح حدثنا عبد الرزاق به. قلت: وهذا إسناد صحيح إلى معمر بذلك. ولا يشك من كان عنده علم ومعرفة بعلل الحديث، أن رواية معمر هذه أصح من روايته الأولى لموافقتها لرواية مالك ومن تابعه ممن ذكرنا وغيرهم، ممن لم نذكر، وأن روايته تلك شاذة لمخالفتها لرواياتهم. وقد أشار إلى ذلك الحميدي في روايته عن سفيان، فقال: " فقيل لسفيان، فإن معمرا يحدثه عن الزهري عن سعيد عن أبي هريرة؟ قال سفيان: ما سمعت الزهري يحدثه إلا عن عبيد الله عن ابن عباس عن ميمونة عن النبي صلى الله عليه وسلم، ولقد سمعته
منه مرارا
قلت: كأنه يشير إلى تخطئة معمر في ذلك، وهو الذي يطمئن القلب إليه، وجزم به الإمام البخاري والترمذي كما يأتي. هذا ما يتعلق بالمخالفة في الإسناد
وأما المخالفة في المتن، فقد رواه الجماعة عن الزهري باللفظ المتقدم: " انزعوها وما حولها فاطرحوه ". ليس فيه التفصيل الذي في رواية معمر: " فإن كان جامدا فألقوها ... " إلخ. لكن في رواية أخرى عنه، أخرجها ابن أبي شيبة عن عبد الأعلى عنه مثل رواية الجماعة بغير تفصيل
وهذا هو الصواب لما سبق بيانه عند الكلام على إسناده الذي وافق فيه رواية الجماعة، وكأنه لذلك قال الترمذي بعد أن ذكر الحديث معلقا: " وهو حديث غير محفوظ، وسمعت محمد بن إسماعيل (يعني: البخاري) يقول: وحديث معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم، وذكر فيه أنه سئل عنه؟ فقال: إذا كان جامدا فألقوها وما حولها، وإن كان مائعا فلا تقربوه. هذا خطأ أخطأ فيه معمر، والصحيح حديث الزهري عن عبيد الله عن ابن عباس عن ميمونة ". يعني باللفظ الآخر المطلق
وقد أشار البخاري في " صحيحه " إلى أنه المحفوظ، بأن روى عقبه بإسناده الصحيح عن يونس عن الزهري عن الدابة تموت في الزيت والسمن وهو جامد أوغير جامد، الفأرة أوغيرها؟ قال: بلغنا أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمر بفأرة ماتت في سمن، فأمر بما قرب منها فطرح، ثم أكل، عن حديث عبيد الله بن عبد الله ". قلت: فلم يفرق الزهري بين الجامد والمائع، فلوكان في حديثه التفريق لم يخالفه إن شاء الله تعالى، أفلا يدل هذا على خطأ معمر في روايته التفريق عنه؟ ولذلك قال الحافظ في " الفتح " (9 / 577) : " هذا ظاهر في أن الزهري كان في هذا الحكم لا يفرق بين
السمن وغيره، ولا بين الجامد منه والذائب، لأنه ذكر ذلك في السؤال، ثم استدل بالحديث في السمن، فأما غير السمن، فإلحاقه به في القياس عليه واضح. وأما عدم الفرق بين الذائب والجامد، فلأنه لم يذكر في اللفظ الذي استدل به، وهذا يقدح في صحة من زاد في هذا الحديث عن الزهري التفرقة بين الجامد والذائب ... وليس الزهري ممن يقال في حقه: لعله نسي الطريق المفصلة المرفوعة، لأنه كان أحفظ الناس في عصره، فخفاء ذلك عنه في غاية البعد ". واعلم أنه وقع عند النسائي من طريق عبد الرحمن بن مهدي عن مالك وصف السمن بأنه " جامد ". وهي
رواية شاذة أيضا لمخالفتها لرواية الجماعة عن مالك، ولرواية الجمهور عن الزهري. بل هي مخالفة لرواية أحمد عن عبد الرحمن بن مهدي نفسه
وهذا مما خفي على الحافظ فإنه ذكر رواية النسائي عنه، ولم يذكر رواية أحمد هذه عنه! ووقع ذلك أيضا في رواية الأوزاعي المتقدمة. لكن الراوي لها عنه ضعيف، وهو محمد بن مصعب القرقساني، قال الحافظ في " التقريب ": " صدوق كثير الغلط ". ولم ينبه على ضعف هذه الرواية في " الفتح "، ولا أشار إلى ذلك أدنى إشارة
من فقه الحديث: قال الحافظ في شرح المتن المحفوظ من هذا الحديث: " واستدل بهذا الحديث لإحدى الروايتين عن أحمد، أن المائع إذا حلت فيه النجاسة لا ينجس إلا بالتغير، وهو اختيار البخاري، وقول ابن نافع من المالكية، وحكي عن مالك، وقد أخرج أحمد عن إسماعيل بن علية عن عمارة بن أبي حفصة عن عكرمة أن ابن عباس سئل عن فأرة ماتت في سمن؟ قال: تؤخذ الفأرة وما حولها، فقلت: إن أثرها كان في السمن كله؟ قال: إنما كان وهي: حية، وإنما ماتت حيث وجدت
ورجاله رجال الصحيح. وأخرجه أحمد من وجه آخر، وقال فيه: عن جر فيه زيت، وقع فيه جرذ. وفيه: " أليس جال في الجر كله؟ قال: إنما جال وفيه الروح، ثم استقر حيث مات ". وفرق الجمهور بين المائع والجامد، عملا بالتفصيل المتقدم ذكره. واستدل بقوله في الرواية المفصلة: " وإن مائعا فلا تقربوه "، على أنه لا يجوز الانتفاع به في شيء، فيحتاج من أجاز الانتفاع به في غير الأكل كالشافعية، وأجاز بيعه كالحنفية إلى الجواب، أعني الحديث، فإنهم احتجوا به في التفرقة بين الجامد والمائع ". انتهي كلام الحافظ رحمه الله

اذا وقعت الفارة في السمن، فان كان جامدا فالقوها وما حولها، وان كان ماىعا فلا تقربوه شاذ - اخرجه ابو داود (3842) والنساىي (2 / 192) وابن حبان (1364) والبيهقي (9 / 353) واحمد (2 / 232 - 233 و265 و490) من طريق معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. وفي رواية لاحمد عن معمر عن ايوب عن ابن سيرين عن ابي هريرة قلت: وهذا اسناد ظاهره الصحة، وليس كذلك، لان معمرا - وان كان ثقة - فقد خولف في اسناده ومتنه اما الاسناد فرواه جماعة عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس عن ميمونة رضي الله عنها: " ان رسول الله صلى الله عليه وسلم سىل عن الفارة تقع في السمن؟ فقال: انزعوها وما حولها فاطرحوه اخرجه مالك في " الموطا " (2 / 971 / 20) عن ابن شهاب به. ومن طريقه اخرجه البخاري (1 / 70 و4 / 19) والنساىي (2 / 192) والبيهقي (9 / 353) واحمد (6 / 335) كلهم من طرق عن مالك به. وتابعه سفيان بن عيينة قال: حدثنا الزهري به. اخرجه احمد (6 / 329) والحميدي في " مسنده " (312) قالا: حدثنا سفيان به. ومن طريق الحميدي اخرجه البخاري (4 / 18) وكذا البيهقي واخرجه هذا وابو داود (3841) والنساىي والترمذي (1 / 332) والدارمي (2 / 188) من طرق اخرى عن سفيان به. وتابعهما الاوزاعي عن الزهري به. اخرجه احمد (6 / 330) : حدثنا محمد بن مصعب قال: حدثنا الاوزاعي ... وتابعهم معمر ايضا في رواية عنه، فقال النساىي: اخبرنا خشيش بن اصرم قال حدثنا عبد الرزاق قال: اخبرني عبد الرحمن بن بوذويه ان معمرا ذكره عن الزهري به. واخرجه ابو داود (3843) : حدثنا احمد بن صالح حدثنا عبد الرزاق به. قلت: وهذا اسناد صحيح الى معمر بذلك. ولا يشك من كان عنده علم ومعرفة بعلل الحديث، ان رواية معمر هذه اصح من روايته الاولى لموافقتها لرواية مالك ومن تابعه ممن ذكرنا وغيرهم، ممن لم نذكر، وان روايته تلك شاذة لمخالفتها لرواياتهم. وقد اشار الى ذلك الحميدي في روايته عن سفيان، فقال: " فقيل لسفيان، فان معمرا يحدثه عن الزهري عن سعيد عن ابي هريرة؟ قال سفيان: ما سمعت الزهري يحدثه الا عن عبيد الله عن ابن عباس عن ميمونة عن النبي صلى الله عليه وسلم، ولقد سمعته منه مرارا قلت: كانه يشير الى تخطىة معمر في ذلك، وهو الذي يطمىن القلب اليه، وجزم به الامام البخاري والترمذي كما ياتي. هذا ما يتعلق بالمخالفة في الاسناد واما المخالفة في المتن، فقد رواه الجماعة عن الزهري باللفظ المتقدم: " انزعوها وما حولها فاطرحوه ". ليس فيه التفصيل الذي في رواية معمر: " فان كان جامدا فالقوها ... " الخ. لكن في رواية اخرى عنه، اخرجها ابن ابي شيبة عن عبد الاعلى عنه مثل رواية الجماعة بغير تفصيل وهذا هو الصواب لما سبق بيانه عند الكلام على اسناده الذي وافق فيه رواية الجماعة، وكانه لذلك قال الترمذي بعد ان ذكر الحديث معلقا: " وهو حديث غير محفوظ، وسمعت محمد بن اسماعيل (يعني: البخاري) يقول: وحديث معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم، وذكر فيه انه سىل عنه؟ فقال: اذا كان جامدا فالقوها وما حولها، وان كان ماىعا فلا تقربوه. هذا خطا اخطا فيه معمر، والصحيح حديث الزهري عن عبيد الله عن ابن عباس عن ميمونة ". يعني باللفظ الاخر المطلق وقد اشار البخاري في " صحيحه " الى انه المحفوظ، بان روى عقبه باسناده الصحيح عن يونس عن الزهري عن الدابة تموت في الزيت والسمن وهو جامد اوغير جامد، الفارة اوغيرها؟ قال: بلغنا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم امر بفارة ماتت في سمن، فامر بما قرب منها فطرح، ثم اكل، عن حديث عبيد الله بن عبد الله ". قلت: فلم يفرق الزهري بين الجامد والماىع، فلوكان في حديثه التفريق لم يخالفه ان شاء الله تعالى، افلا يدل هذا على خطا معمر في روايته التفريق عنه؟ ولذلك قال الحافظ في " الفتح " (9 / 577) : " هذا ظاهر في ان الزهري كان في هذا الحكم لا يفرق بين السمن وغيره، ولا بين الجامد منه والذاىب، لانه ذكر ذلك في السوال، ثم استدل بالحديث في السمن، فاما غير السمن، فالحاقه به في القياس عليه واضح. واما عدم الفرق بين الذاىب والجامد، فلانه لم يذكر في اللفظ الذي استدل به، وهذا يقدح في صحة من زاد في هذا الحديث عن الزهري التفرقة بين الجامد والذاىب ... وليس الزهري ممن يقال في حقه: لعله نسي الطريق المفصلة المرفوعة، لانه كان احفظ الناس في عصره، فخفاء ذلك عنه في غاية البعد ". واعلم انه وقع عند النساىي من طريق عبد الرحمن بن مهدي عن مالك وصف السمن بانه " جامد ". وهي رواية شاذة ايضا لمخالفتها لرواية الجماعة عن مالك، ولرواية الجمهور عن الزهري. بل هي مخالفة لرواية احمد عن عبد الرحمن بن مهدي نفسه وهذا مما خفي على الحافظ فانه ذكر رواية النساىي عنه، ولم يذكر رواية احمد هذه عنه! ووقع ذلك ايضا في رواية الاوزاعي المتقدمة. لكن الراوي لها عنه ضعيف، وهو محمد بن مصعب القرقساني، قال الحافظ في " التقريب ": " صدوق كثير الغلط ". ولم ينبه على ضعف هذه الرواية في " الفتح "، ولا اشار الى ذلك ادنى اشارة من فقه الحديث: قال الحافظ في شرح المتن المحفوظ من هذا الحديث: " واستدل بهذا الحديث لاحدى الروايتين عن احمد، ان الماىع اذا حلت فيه النجاسة لا ينجس الا بالتغير، وهو اختيار البخاري، وقول ابن نافع من المالكية، وحكي عن مالك، وقد اخرج احمد عن اسماعيل بن علية عن عمارة بن ابي حفصة عن عكرمة ان ابن عباس سىل عن فارة ماتت في سمن؟ قال: توخذ الفارة وما حولها، فقلت: ان اثرها كان في السمن كله؟ قال: انما كان وهي: حية، وانما ماتت حيث وجدت ورجاله رجال الصحيح. واخرجه احمد من وجه اخر، وقال فيه: عن جر فيه زيت، وقع فيه جرذ. وفيه: " اليس جال في الجر كله؟ قال: انما جال وفيه الروح، ثم استقر حيث مات ". وفرق الجمهور بين الماىع والجامد، عملا بالتفصيل المتقدم ذكره. واستدل بقوله في الرواية المفصلة: " وان ماىعا فلا تقربوه "، على انه لا يجوز الانتفاع به في شيء، فيحتاج من اجاز الانتفاع به في غير الاكل كالشافعية، واجاز بيعه كالحنفية الى الجواب، اعني الحديث، فانهم احتجوا به في التفرقة بين الجامد والماىع ". انتهي كلام الحافظ رحمه الله
হাদিসের মানঃ শা'জ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ