পরিচ্ছেদঃ
১৪৯৯। আশুরার দিন বানু ইসরাঈলের জন্য সমুদ্রকে দ্বিখণ্ডিত করে হয়েছিল।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটিকে ইবনু আদী "আলকামেল" গ্রন্থে (২/১৪৪, ১/১৬৩) আবু ইয়ালা প্রমুখ সূত্রে সালাম আতত্ববীল হতে, তিনি যায়েদ আলআম্মী হতে, তিনি ইয়াযীদ রুকাশী হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আদী দু’স্থানের প্রথম স্থানে যায়েদের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ সম্ভবত হাদীসটির সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বর্ণনাকারী সালাম হতে অথবা তারা দু’জন হতেই। কারণ তারা দু’জনই দুর্বল।
আর দ্বিতীয় স্থানে সালামের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ তার অধিকাংশ বর্ণনার অন্য কেউ মুতাবায়াত করেননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি মিথ্যুক। আর তার উপরের দু’জন বর্ণনাকারী হচ্ছেন দুর্বল। অতএব তিনিই (সালামই) হাদীসটির (প্রধান) সমস্যা।
“ফায়যুল কাদীর” গ্রন্থে এসেছেঃ ইবনু কাত্তান বলেনঃ এর মধ্যে দু’জন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন। হায়সামী বলেনঃ এর মধ্যে বর্ণনাকারী ইয়াযীদ রুকাশীর ব্যাপারে অনেক সমালোচনা করা হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসের ভাবাৰ্থ বুখারী এবং মুসলিমের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে। ইয়াহুদীরা এ কথা বলেছিল। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করে ইয়াহুদীদেরকে আশুরার দিনে সওম পালন করতে দেখে বললেনঃ এটা কী? তারা বললঃ এটা ভালো দিন। এ দিনে আল্লাহ্ তা’আলা বানু ইসরাঈলকে তাদের দুশমনদের থেকে বাচিয়ে ছিলেন। ইমাম মুসলিম বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ “আর ফিরআউন ও তার জাতি ডুবে গিয়েছিল।” এ হাদীসের মধ্যেই এসেছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "মূসার ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমিই বেশী হকদার। অতঃপর তিনি এ দিনে সওম পালন করেন এবং এ দিনের সওম পালন করার নির্দেশ প্রদান করেন।"
“আলমুসনাদ’ গ্রন্থে (২/৩৫৯) আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে এসেছে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতিপয় ইয়াহুদীর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন এমতাবস্থায় যে, তারা আশুরার দিন সওম পালন করছিল। তাই তিনি তাদেরকে বললেনঃ এটা কিসের সওম? তারা উত্তরে বললঃ এ দিনে আল্লাহ্ তা’আলা মূসা (আঃ) ও বানু ইসরাঈলকে ডুবে যাওয়া হতে বাঁচিয়ে ছিলেন। আর ফিরআউনকে এ দিনে ডুবিয়ে দিয়ে ছিলেন। এ দিনে নৌকা জূদী পর্বতের উপর উঠে গিয়েছিল। ফলে নূহ ও মূসা (আঃ) আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে সওম পালন করেছিলেন। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি ..."। আলহাদীস ।
কিন্তু মুসনাদু আহমাদের সনদে হাবীব ইবনু আবদিল্লাহ্ আযদী রয়েছেন। তার সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাজহুল (অপরিচিত)।
এ কারণে তার সম্পর্কে "আলফাতহ" গ্রন্থে (৪/২১৪) কিছু না বলে ভালো কাজ করেননি।
فلق البحر لبني إسرائيل يوم عاشوراء
موضوع
-
أخرجه ابن عدي في " الكامل " (144/2 و163/1) من طريق أبي يعلى وغيره عن
سلام الطويل عن زيد العمي عن يزيد الرقاشي عن أنس عن النبي صلى الله عليه
وسلم به. وقال في الموضع الأول منهما في ترجمة زيد
" ولعل البلاء فيه من سلام أومنهما جميعا، فإنهما ضعيفان "
وقال في الموضع الآخر في ترجمة سلام
" عامة ما يرويه لا يتابعه أحد عليه "
قلت: هو كذاب، ومن فوقه كلاهما ضعيف، فهو الآفة "
وفي " فيض القدير "
" قال ابن القطان: فيه ضعيفان، وقال الهيثمي: فيه يزيد الرقاشي وفيه كلام
كثير "
قلت: ومعنى هذا الحديث ثابت في " الصحيحين " أنه من كلام اليهود، قال
عبد الله بن عباس رضي الله عنهما
" قدم النبي صلى الله عليه وسلم، فرأى اليهود تصوم يوم عاشوراء، فقال: ما
هذا؟ قالوا: هذا يوم صالح، هذا يوم نجى الله بني إسرائيل من عدوهم ". زاد
مسلم: " وغرق فرعون وقومه ". الحديث وفيه قوله: " فأنا أحق بموسى منكم
فصامه، وأمر بصيامه "
وفي " المسند " (2/359) من حديث أبي هريرة قال
" مر النبي صلى الله عليه وسلم بأناس من اليهود قد صاموا يوم عاشوراء، فقال
ما هذا الصوم؟ قالوا: هذا اليوم الذي نجى الله موسى وبني إسرائيل من الغرق
وغرق فيه فرعون، وهذا يوم استوت فيه السفينة على الجودي، فصامه نوح وموسى
شكرا لله تعالى، فقال صلى الله عليه وسلم: أنا أحق.. ". الحديث
وفي إسناده حبيب بن عبد الله الأزدي قال الحافظ في " التقريب "
" مجهول "
ولذلك فلم يحسن صنعا حين سكت عليه في " الفتح " (4/214)
قلت: فمن المحتمل لدي أن يكون أحد أولئك الضعفاء، لما بلغه كلام اليهود
الوارد في حديث ابن عباس، وأن النبي صلى الله عليه وسلم سكت عليه، عد سكوته
صلى الله عليه وسلم إقرارا له، واستجاز نسبته إليه صلى الله عليه وسلم
وليس يخفى على أهل العلم؛ أن ذلك مما لا يجوز، لأنه من التقول الذي حرمه
صلى الله عليه وسلم في قوله: " من قال علي ما لم أقل فليتبوأ مقعده من النار
. والله أعلم