পরিচ্ছেদঃ
১৩৯৪। প্রতিটি বস্তুর চাবি রয়েছে আর জান্নাতের চাবি হচ্ছে মিসকীন ও ফাকীরদেরকে ভালোবাসা। তারা কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে বসবে।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটি ইবনু আদী "আলকামেল" গ্রন্থে (৬/২৩৭৫), ইবনু হিব্বান “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (১/১৪৬-১৪৭), তার থেকে ইবনুল জাওযী "আলমওযুয়াত" গ্রন্থে (৩/১৪১) আহমাদ ইবনু দাউদ ইবনে আব্দিল গাফফার সূত্রে আবু মুস’য়াব হতে, তিনি মালেক হতে, তিনি নাফে’ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু হিব্বান বলেনঃ হাদীসটি বানোয়াট। বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু দাউদ হাদীস জাল করতেন। তার অবস্থা প্রকাশ করে দেয়ার উদ্দেশ্য ব্যতীত তাকে উল্লেখ উল্লেখ করাই অবৈধ ...।
ইবনুল জাওযী অনুরূপ কথা বলে আরো বলেছেনঃ দারাকুতনী বলেছেনঃ এ হাদীসটিকে উমর ইবনু রাশেদ আলজার মালেকের উদ্ধৃতিতে বানিয়েছে। আর এ শাইখ (আহমাদ ইবনু দাউদ) তার থেকে চুরি করে আবু মুসয়াবের উদ্ধৃতিতে বানিয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু মুসয়াবের নাম হচ্ছে মুতাররাফ ইবনু আবদিল্লাহ মাদানী। তার জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে ইবনু আদী তার অন্যান্য মুনকার হাদীসের সাথে এ হাদীসটি উল্লেখ করে পরক্ষণেই বলেছেনঃ এ হাদীসটি এ সনদে খুবই মুনকার।
এ মুতাররাফকে ইবনু সাদ, ইবনু হিব্বান ও দারাকুতনী নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। ইমাম বুখারী তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর আবু হাতিম বলেছেনঃ তিনি সত্যবাদী মুযতারিবুল হাদীস।
অতএব এ হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে তার থেকে বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু দাউদ যেমনটি যাহাবী এবং আসকালানী বলেছেন। কারণ তাকে কেউ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। বরং তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। ইবনু তাহেরও অনুরূপ কথাই বলেছেন। এ কারণে হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে তার জীবনীতে এবং তার অনুসরণ করে হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে বলেছেনঃ এ হাদীসটি তার মিথ্যা বর্ণনাগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
পূর্বে তার সম্পর্কে দারাকুতনীর উক্তি আলোচিত হয়েছে যে, তিনি হাদীসটি উমার ইবনু রাশেদ আলজারী হতে চুরি করেছেন। সুয়ূতি "আললাআলী" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, আলজারী-র এ বর্ণনাটি আবুল হাসান ইবনু সাখর “আওয়ালী মালেক” গ্রন্থে আর খাতীব বাগদাদী “রুওয়াতু মালেক” গ্রন্থে তার দু’জনের সনদে তার থেকে বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতী (২/৩২৪) বলেনঃ হাদীসটি ইবনু লাল ’মাকারিমুল আখলাক” গ্রন্থে এবং ইবনু আদী বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু আদী হাদীসটি উমার ইবনু রাশেদ আলজারী-র সূত্রে বর্ণনা করেননি। বরং তিনি আহমাদ ইবনু দাউদের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর হাকিম এবং আবু নুয়াইম তার সম্পর্কে বলেছেনঃ তিনি মালেক হতে কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন।
দারাকুতনী বলেনঃ নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীস জাল করার দোষে তাকে দোষী করা হতো।
হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামোউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে গ্রন্থটিকে কালিমালিপ্ত করেছেন। মানবী "আলফায়েয" গ্রন্থে বলেনঃ ইবনুল জাওযী হাদীসটি কয়েকটি সূত্রে উল্লেখ করে বানোয়াট হিসেবে হুকুম লাগিয়েছেন।
কিন্তু তিনি যে বলেছেনঃ কয়েকটি সূত্রে, তা মযবূত কথা নয়। কারণ হাদীসটির একটি মাত্র সূত্র যেটিকে আলজারী মালেক হতে বানিয়ে অতঃপর তার থেকে এ সূত্রটি চুরি করেছেন আহমাদ ইবনু দাউদ, অতঃপর তিনি আবূ মুসায়াব হতে, তিনি মালেক হতে বর্ণনা করেছেন। এ ধরনের সনদকে কি বলা যায় কয়েকটি সূত্রে?
এর চেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, তিনি “আততায়সীর” গ্রন্থে হাদীসটিকে বানোয়াট হিসেবে স্পষ্ট করেননি। শুধুমাত্র বলেছেনঃ এর মধ্যে মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী ব্যক্তি রয়েছে।
لكل أمر مفتاح، ومفتاح الجنة حب المساكين والفقراء، وهم جلساء الله يوم القيامة
موضوع
-
أخرجه ابن عدي في " الكامل " (6/2375) وابن حبان في " الضعفاء " (1/146
147) وعنه ابن الجوزي في " الموضوعات (3/141) من طريق أحمد بن داود بن
عبد الغفار: حدثنا أبو مصعب: حدثني مالك عن نافع عن ابن عمر مرفوعا
وقال ابن حبان
" موضوع "، وأحمد بن داود كان يضع الحديث، لا يحل ذكره إلا على سبيل الإبانة
عن أمره، لينكب حديثه
وكذا قال ابن الجوزي وزاد
" وقال الدارقطني: هذا الحديث وضعه عمر بن راشد الجاري (الأصل: الحارثي)
عن مالك، وسرقه منه هذا الشيخ فوضعه على أبي مصعب
قلت: أبو مصعب هذا اسمه مطرف بن عبد الله المدني، وفي ترجمته ساق الحديث ابن
عدي مع أحاديث أخرى منكرة، وقال عقبه
" هذا منكر بهذا الإسناد جدا
فتعقبه الذهبي بقوله
" قلت: هذه أباطيل حاشا مطرفا من روايتها، وإنما البلاء من أحمد بن داود
فكيف خفي هذا على ابن عدي؟ فقد كذبه الدارقطني، ولوحولت هذه إلى ترجمته كان
أولى
وذكر نحوه الحافظ في ترجمة مطرف من " التهذيب
ومطرف هذا وثقه ابن سعد وابن حبان والدارقطني، وأخرج له البخاري، وقال
أبو حاتم
" مضطرب الحديث صدوق
فمثله لا يتحمل هذا الحديث وإنما البلاء من الراوي عنه أحمد بن داود كما قال
الذهبي والعسقلاني، فإنه لم يوثق مطلقا، بل قال فيه ابن حبان كما تقدم
" كان يضع الحديث ". وكذا قال ابن طاهر، ولذا قال الذهبي في ترجمته من
الميزان " وتبعه الحافظ في " اللسان ": " هذا الحديث من أكاذيبه
وقد تقدم في كلام الدارقطني أنه سرقه من عمر بن راشد الجاري، وقد ذكر
السيوطي في " اللآلي " أن رواية الجاري هذه رواها أبو الحسن بن صخر في " عوالي
مالك " والخطيب في " رواة مالك " بإسناديهما عنه. قال (2/324)
" وأخرجه ابن لال في " مكارم الأخلاق " وابن عدي
قلت: ابن عدي لم يخرجه من طريق الجاري، وإنما من طريق أحمد بن داود كما تقدم
، وقد قال فيه الحاكم وأبو نعيم
يروي عن مالك أحاديث موضوعة
وقال الدارقطني
كان يتهم بوضع الحديث على الثقات
والحديث مما سود به السيوطي كتابه " الجامع الصغير " فذكره فيه برواية ابن لال
فقط مع أنه أقر ابن الجوزي على وضعه كما تقدم! وكذلك أقره المناوي في " الفيض
بقوله
" وأورده ابن الجوزي من عدة طرق، وحكم عليه بالوضع
لكن قوله: " من عدة طرق " ليس بدقيق، لأنه ليس له إلا الطريق التي وضعها
الجاري عن مالك، ثم سرقها منه أحمد بن داود فرواه عن أبي مصعب عن مالك، فهل
يقال في مثل هذا
من عدة طرق
والأعجب من ذلك أنه لم يصرح بوضعه في " التيسير " وإنما اقتصر على قوله
وفيه متهم
(تنبيه) : ذكرت فيما سبق أن مطرفا أبا مصعب ثقة، فما وقع في التعليق على
ترجمته في " الكامل " معزوا للتهذيب
كذبه الدارقطني
فهو كذب مخالف للواقع في " التهذيب " وغيره، فقد تقدم ما قاله الذهبي في أن البلاء في هذا الحديث من أحمد بن داود. قال: فقد كذبه الدارقطني. وقلت ثمة
: وذكر نحوه الحافظ.. والآن أذكر نص كلامه في ذلك ليتبين القارىء كيف وقع
هذا الخطأ الفاحش! قال الحافظ في ترجمة مطرف (10/175 - 176)
" ذكره ابن عدي في " الكامل " وقال: يأتي بمناكير. ثم ساق له أحاديث بواطيل
من رواية أحمد بن داود أبي صالح الحراني عنه، وأحمد كذبه الدارقطني
والذنب له فيها لا لمطرف