পরিচ্ছেদঃ
১৩২৪। তোমরা (নির্দিষ্ট না করে) ব্যাপকভাবে সালাম প্রদান কর, অন্যকে খাদ্য খাওয়াও আর কাফেরের মাথায় আঘাত কর তাহলে জান্নাতের বাসিন্দা হয়ে যাবে।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (১৮৫৪) উসমান ইবনু আবদির রহমান জামহী হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ...।
ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ ও গারীব।
উসমান জামহীকে কেউ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। বরং ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাজহুল (অপরিচিত)। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। তার হাদীস লিখা যাবে কিন্তু তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এ কথার উপর নির্ভর করেছেন।
হাদিসটির আরেকটি সূত্র রয়েছে তৃতীয় বাক্যটি ছাড়া। সেটিকে কাতাদাহ আবূ মায়মূনাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনাকে যখন দেখি তখন আমার হৃদয় আনন্দিত হয়ে যায় আর আমার চক্ষু শীতল হয়ে যায়। আপনি আমাকে সব কিছু সম্পর্কে সংবাদ দিন। তিনি বললেনঃ প্রতিটি বস্তু পানি হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি (আবু হুরাইরাহ) বলেন আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দিন তাকে যখন আমি ধারণ করব তখন জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি বললেনঃ তুমি ব্যাপকভাবে সালাম প্রদান কর, অন্যকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখ, লোকেরা যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন রাতে জেগে ইবাদাত কর, অতঃপর শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ কর।
হাদীসটি ইবনু হিব্বান (৬৪২) ও আহমাদ বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। দারাকুতনী বলেনঃ আবু মায়মূনাহ আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আর আবু মায়মূনাহ হতে কাতাদাহ্ বর্ণনা করেছেন। তিনি মাজহুল প্রত্যাখ্যাত।
তবে হাদীসটির শেষাংশঃ ব্যাপকভাবে সালাম প্রদান কর ... এখান থেকে শেষ পর্যন্ত আব্দুল্লাহ ইবনু সালামের হাদীস হতে সহীহ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। এ শেষাংশকে আমি "সিলসিলাহ সহীহাহ" গ্রন্থে (৫৬৯) উল্লেখ করেছি। “সহীহ জামেউস সাগীর” গ্রন্থেও (১০৭৫) উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত হাদীসটিকে হাকিম “আল-মুস্তাদরাক” গ্রন্থে (৪/১২৯) বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ। হাফিয যাহাবীও তাকে সমর্থন করেছেন! অথচ মাজহুল হওয়া মন্তব্যটি উল্লেখ করেছেন এবং তাকে সমর্থন করেছেন। সম্ভবত হাকিম ধারণা করেছেন যে, এ আবু মায়মূনাহ হচ্ছেন ফারেসী, আবু মায়মূনাহ্ আল-আবার নন, অথবা তিনি উভয়কেই একই বর্ণনাকারী মনে করেছেন। সঠিক হচ্ছে এই যে, তারা দু’জন, একজন নন বরং তারা দু’জন আলাদা আলাদা বর্ণনাকারী। ইমাম বুখারী, মুসলিম, আবু হাতিম ও দারাকুতনী প্রমুখ এ সিদ্ধান্তই দিয়েছেন। আর দারাকুতনী ফারেসীকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন।
[আরো বিস্তারিত জানতে মূল গ্রন্থ দেখুন]।
أفشوا السلام، وأطعموا الطعام، واضربوا الهام، تورثوا الجنان
ضعيف
-
أخرجه الترمذي (1/340) من طريق عثمان بن عبد الرحمن الجمحي عن محمد بن زياد عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم به وقال: " حديث حسن صحيح غريب من حديث ابن زياد عن أبي هريرة ". كذا قال! والجمحي هذا، لم يوثقه أحد، بل قال البخاري: " مجهول ". وقال أبو حاتم: ليس بالقوي، يكتب حديثه ولا يحتج به ". واعتمده الحافظ في " التقريب
وللحديث طريق أخرى دون الفقرة الثالثة، يرويه قتادة عن أبي ميمونة عن أبي هريرة قال: " قلت: يا رسول الله! إذا رأيتك طابت نفسي، وقرت عيني، فأنبئني عن كل شيء، فقال: " كل شيء خلق من ماء قال: قلت: يا رسول الله! أنبئني عن أمر إذا أخذت به دخلت الجنة، قال: " أفش السلام، وأطعم الطعام، وصل الأرحام، وقم بالليل والناس نيام، ثم ادخل الجنة بسلام
أخرجه ابن حبان (642) وأحمد (2/295 و323 - 324 و493)
قلت: وهذا إسناد ضعيف، قال الدارقطني: " أبو ميمونة عن أبي هريرة، وعنه قتادة؛ مجهول يترك
لكن قوله: " أفش السلام ... " إلخ قد صح من حديث عبد الله بن سلام مرفوعا وهو مخرج في " الصحيحة " (569)
تنبيه : قد وقع للسيوطي ثم للمناوي خبط في لفظ هذا الحديث وسياقه بينته في المصدر الآنف الذكر برقم (571) . وكذلك أخطأ الغماري بإيراده في " كنزه "، ومعزوا لابن ماجه
ثم رأيت الحديث في " المستدرك " (4/129) من الوجه المذكور وقال: " صحيح الإسناد "! ووافقه الذهبي! مع أن هذا أورد أبا ميمونة في " الميزان
ونقل عن الدارقطني ما ذكرته عنه آنفا من التجهيل! وأقره! وأما الحاكم فلعله ظن أن أبا ميمونة هذا هو الفارسي وليس أبا ميمونة الأبار، أوأنه ظن أنهما واحد، والراجح التفريق، وإليه ذهب الشيخان وأبو حاتم وغيرهم كالدارقطني؛ فإنه وثق الفارسي في " كناه "، قال الحافظ في " التهذيب " عقبه: " وهذا مما يؤيد أنه غير الفارسي
ووقع في ابن حبان " هلال بن أبي ميمونة ". وهو خطأ مطبعي أومن النساخ
والله أعلم
ثم رأيت ابن كثير جرى في " التفسير " على عدم التفريق، فقال عقب الحديث وقد ساقه من رواية أحمد (3/177) : " وهذا إسناد على شرط الصحيحين، إلا أن أبا ميمونة من رجال " السنن " واسمه سليم، والترمذي يصحح له. وقد رواه سعيد بن أبي عروبة عن قتادة مرسلا.
والله أعلم
قلت: وهذه علة أخرى وهي الإرسال. والله أعلم
والحديث مما صححه الرفاعي في " مختصره " (3/40/30) فما أكثر تعديه، وظلمه
لنفسه وقرائه؟ ! وشاركه في ذلك بلديه الصابوني (2/506) وزاد عليه أنه عزا التخريج إلى نفسه حين جعله في الحاشية، وذلك من ديدنه كما كنت نبهت عليه في مقدمة المجلد الرابع من " الصحيحة، فعد إليه إن شئت أن تعرف حقيقته