পরিচ্ছেদঃ
১০২৫। বরং তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দাও আর অসৎ কাজ হতে নিষেধ কর। যখন তুমি দেখবে কৃপণতা অনুসরণযোগ্য হচ্ছে, মনোবৃত্তির অনুসরণ করা হচ্ছে, দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, সিদ্ধান্ত দানের অধিকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হচ্ছে, তখন তুমি নিজেকে ধারণ করবে আর সাধারণদেরকে পরিত্যাগ করবে। কারণ তোমার পিছনে ধৈর্যের দিনসমূহ রয়েছে, সেগুলোতে ধৈর্য ধারণ করা অগ্নি শিখা মুষ্টি করে ধরার ন্যায়। তাদের মধ্যের একজন আমলকারীর সাওয়াব তার ন্যায় আমলকারী পঞ্চাশ ব্যক্তির সাওয়াবের সমান হবে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি আবু দাউদ (২/৪৩৭), তিরমিযী (৪/৯৯ তহফাহ সহ), ইবনু মাজাহ (২/৪৮৭), ইবনু জারীর তার “তাফসীর” গ্রন্থে (১০/১৪৫, ১৪৬), তহাবী "আল-মুশকিল" (২/৬৪-৬৫) গ্রন্থে, ইবনু হিব্বান তার "সাহীহ" (১৮৫০) গ্রন্থে এবং ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাশক” (১৮/৭/২) গ্রন্থে বিভিন্ন সূত্রে উতবাহ ইবনু আবী হাকীম হতে, তিনি আমর ইবনু জারিয়্যাহ আল-লাখমী হতে, তিনি আবু উমাইয়াহ আশ-শায়াবানী হতে, তিনি আবূ সায়ালাবাহ আল-খুশানী হতে বর্ণনা করেছেন।
তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব।
তাতে আমার নিকট বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ এ আমর ইবনু জারিয়্যাহ ও আবু উমাইয়াহকে ইবনু হিব্বান ছাড়া পূর্ববতী কোন ইমাম নির্ভরযোগ্য বলেননি। তিনি নির্ভরযোগ্য আখ্যাদানের ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শনকারী হিসেবে জ্ঞানীজনদের নিকট প্রসিদ্ধ। এ কারণেই হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে তাদের দু’জনকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। বরং তাদের দু’জনের ব্যাপারেই বলেছেনঃ মুতাবা’য়াতের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য। অন্যথায় হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল।
এছাড়া উতবাহ ইবনু আবী হাকীমের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে, তার হেফযের দিক দিয়ে। তার ব্যাপারে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তবে বহু ভুল করতেন। এ কারণে এ হাদীসটির সনদ হাসান বললে তার দ্বারা হৃদয় তৃপ্ত হয় না।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ
“হে ইমানদাররা তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ধারণ কর, যদি তোমরা সঠিক পথ প্রাপ্ত হও তাহলে যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হবে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না” (সূরা মায়েদাহঃ ১০৫)।
এ আয়াতের বাহ্যিক অবস্থা প্রসিদ্ধ তাফসীরের বিপরীত। সুনান রচনাকারীগণ, ইমাম আহমাদ, ইবনু হিব্বান তার "সাহীহ" (১৮৩৭) গ্রন্থে ও অন্যান্যরা সহীহ সনদে আবু বাকর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি দাঁড়ালেন অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা করে বললেনঃ হে লোকেরা! তোমরা এ আয়াত (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ) পাঠ করছ। তোমরা আয়াতটি যে স্থানের সে স্থানের বিপরীত স্থানে রাখছ। আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ
إن الناس إذا رأوا المنكر ولا يغيرونه يوشك أن يعمهم بعقابه
’লোকেরা যখন অন্যায় দেখে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে না তখন তাদেরকে তার শাস্তি ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত (গ্রাস) করবে।
এটি "সাহীহার" মধ্যে (১৫৬৪) বর্ণনা করেছি।
তবে “ধৈর্যের দিন আসবে” এ বাক্যটির শাহেদ রয়েছে। এ মর্মে "সাহীহার" মধ্যে দু’টি হাদীস (৪৯৪ ও ৯৫৭ নম্বরে) উল্লেখ করেছি।
সতর্কবাণীঃ এ হাদীসটির ব্যাপারে এতো সব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কোন প্রকার গবেষণা না করে শাইখ আল-গুমারী তার “কানজ” গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।
بل ائتمروا بالمعروف، وتناهو اعن المنكر، حتى إذا رأيت شحا مطاعا، وهوى متبعا، وإعجاب كل ذي رأي برأيه، فعليك بنفسك ودع عنك العوام، فإن من ورائكم أيام الصبر، الصبر فيهن مثل قبض على الجمر، للعامل فيهم مثل أجر خمسين رجلا يعملون مثل عمله
ضعيف
-
أخرجه أبو داود (2/437) والترمذي (4/99 - تحفة) وابن ماجه (2/487) وابن جرير في " تفسيره " (10/145 و146) والطحاوي في " المشكل " (2/64 - 65) وابن حبان في " صحيحه " (1850) وابن عساكر في " تاريخ دمشق " (18/7/2) من طرق عن عتبة بن أبي حكيم قال: حدثني عمرو بن جارية اللخمي قال: حدثني أبو أمية الشعباني قال: سألت أبا ثعلبة الخشني فقلت: يا أبا ثعلبة كيف تقول في هذه الآية: " عليكم أنفسكم "؟ قال: أما والله لقد سألت عنها خبيرا، سألت عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: فذكره
وقال الترمذي: حديث حسن غريب
كذا قال، وفيه عندي نظر، فإن عمرو بن جارية وأبا أمية لم يوثقهما أحد من الأئمة المتقدمين، غير ابن حبان، وهو متساهل في التوثيق كما هو معروف عند أهل العلم، ولذلك لم يوثقهما الحافظ في " التقريب "، وإنما قال في كل منهما: " مقبول " يعني عند المتابعة، وإلا فلين الحديث كما نص عليه في " المقدمة " من " التقريب
ثم إن عتبة بن أبي حكيم فيه خلاف من قبل حفظه، وقال الحافظ فيه: صدوق يخطىء كثيرا، فلا تطمئن النفس لتحسين إسناد هذا الحديث، لا سيما والمعروف في تفسير الآية يخالفه في الظاهر، وهو ما أخرجه أصحاب السنن وأحمد وابن حبان في " صحيحه " (1837) وغيرهم بسند صحيح عن أبي بكر الصديق رضي الله عنه أنه قام فحمد الله، ثم قال: يا أيها الناس! إنكم تقرأون هذه الآية: " يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ "، وإنكم تضعونها على غير موضعها، وإني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: " إن الناس إذا رأوا المنكر ولا يغيرونه يوشك أن يعمهم بعقابه
وقد خرجته في " الصحيحة " (1564)
لكن لجملة " أيام الصبر " شواهد خرجتها في " الصحيحة " أيضا، فانظر تحت الحديثين (494 و957)
تنبيه: مع كل هذه العلل في هذا الحديث فقد صححه الشيخ الغماري في " كنزه " وكأنه قلد في ذلك الترمذي دون أي بحث أوتحقيق، أوأنه هواه الذي ينبئك عنه تعليقه عليه الذي يستغله المتهاونون بالأمر بالمعروف والنهي عن المنكر؛ والمخالف للآية السابقة، والله المستعان