পরিচ্ছেদঃ
৯৪৪। তিনি কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার গুপ্তাঙ্গকে সূর্য ও চন্দ্রের দিকে প্রকাশ করে পেশাব করাকে নিষিদ্ধ করেছেন।
হাদীছটি বাতিল।
এটি হাকীম আত- তিরমিযী “কিতাবুল মানাহী” গ্রন্থে আব্বাদ ইবনু কাছীর হতে তিনি উছমান আল-আ’রাজ হতে তিনি হাসান হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাতজন সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন। তারা হচ্ছেন আবু হুরাইরাহ, জাবের, আদুল্লাহ ইবনু আমর, ইমরান ইবনু হুসায়েন, মাকাল ইবনু ইয়াসার, আব্দুল্লাহ ইবনু উমার ও আনাস ইবনু মালেক (রাঃ)।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি নিষিদ্ধ বস্তুর বিষয়ে দীর্ঘ এক হাদীছ উল্লেখ করেছেন। "তানযীহুশ শারীয়াহ" (২/৩৯৭-৪০১) গ্রন্থে পাঁচ পৃষ্ঠা ব্যাপী পূর্ণ হাদীছটি উল্লেখ করা হয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তালখীস" (৩৭) গ্রন্থে তার একটি অংশ উল্লেখ করেছেন। এটি তার অংশ বিশেষ। অতঃপর বলেছেনঃ এ হাদীছটি বাতিল, এর কোন ভিত্তি নেই। বরং এটি আব্বাদ কর্তৃক জালকৃত। সুয়ূতী "যায়লুল আহাদীছিল মাওযুআহ" (পৃঃ ১৯৯) গ্রন্থে তার অনুসরণ করেছেন। হাফিয ইবনু ইরাকও তার অনুসরণ করে বলেছেনঃ ইমাম নবাবী “শারহুহু আলাল মুহাযযাব” গ্রন্থে হাদীছটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীছটি বাতিল চেনা যায় না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আজব ব্যাপার এই যে, এই বাতিল হাদীছের হুকুমটি হাম্বালী মাযহাবের কোন কোন গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ইবনু কুদামার "আল-মুগনী" (১/২৫-২৬) এবং ইবনু যূওয়ানের "মানারুল সাবীল" (১/১৯) গ্রন্থে। তিনি তার কারণ দর্শিয়ে বলেছেনঃ চন্দ্র-সূর্যের সম্মানার্থে। প্রথম গ্রন্থটির টীকায় কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছেঃ বর্ণিত হয়েছে যে, উভয়ের সাথে ফেরেশতা থাকেন এবং আল্লাহর নাম তার উপর লিখা আছে! এ সব ব্যাখ্যার সমর্থনে সুন্নাহের মধ্যে কোন ভিত্তি নেই।
এ হাদীছটি বাতিল হওয়ার আরো প্রমাণ বহন করছে আবু আইউব আনসারী হতে বর্ণিত মারফু হাদীছঃ
لا تستقبلوا القبلة ولا تستدبروها بغائط أو بول ولكنشرقوا أو غربوا
তোমরা পায়খানা বা পেশাব করার সময় কিবলাকে সম্মুখে ও পিছন দিকে করো না। বরং তোমরা পূর্ব বা পশ্চিমমুখী হও।
এটি বুখারী, মুসলিম, সুনান রচনাকারীগণ ও অন্য বিদ্বানগণ বর্ণনা করেছেন। হাদীছটিতে স্পষ্টভাবে চন্দ্র ও সূর্যকে সম্মুখে বা পিছনে করা জায়েয তা বলা হয়েছে। কারণ সূর্য ও চন্দ্র সাধারণত পশ্চিম বা পূর্ব দিকেই থাকে।
এ ছাড়া সহীহ হাদীছে (সাহীহাহ ১২৩) এসেছে, কিয়ামতের দিন চন্দ্র-সূর্যকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। উভয়টিকে আগুনে নিক্ষেপ শাস্তি দেয়ার জন্য না হলেও সম্মান দেখানোর জন্য নয়।
نهى أن يبول الرجل وفرجه باد إلى الشمس والقمر
باطل
-
رواه الحكيم الترمذي في " كتاب المناهي " عن عباد بن كثير عن عثمان الأعرج عن الحسن: حدثني سبعة رهط من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم: أبوهريرة، وجابر، وعبد الله بن عمرو وعمران بن حصين ومعقل بن يسار وعبد الله بن عمر وأنس بن مالك يزيد بعضهم على بعض في الحديث أن النبي صلى الله عليه وسلم نهى.... قلت: فذكر حديثا طويلا جدا في النواهي، ساقه في " تنزيه الشريعة " بتمامه في نحوخمس صفحات! (2 / 397 - 401) ، وذكر الحافظ ابن حجر في كتابه " التلخيص " (37) قطعة من أوله، هذا بعضه وقال: " وهو حديث باطل لا أصل له، بل هو من اختلاق عباد
وتبعه السيوطي في " ذيل الأحاديث الموضوعة " (ص 199) ، ثم ابن عراق وقال: " وذكر النووي في " شرحه على المهذب " من هذا الحديث النهي عن استقبال الشمس والقمر، وقال: حديث باطل لا يعرف ". قلت: ومن الغرائب أن يذكر هذا الحكم الوارد في هذا الحديث الباطل في بعض كتب الحنابلة مثل " المقنع " لابن قدامة (1 / 25 - 26) و" منار السبيل " لابن ضويان (1 / 19) ، وقال هذا معللا: " تكريما لهما "! وفي حاشية الأول منهما: " لأنه روي أن معهما ملائكة، وأن أسماء الله مكتوبة عليها "! قلت: وهذا التعليل مما لا أعرف له أصلا في السنة، وكم كنت أود أن لا يذكر مثل هذا
الحكم وتعليله في مثل مذهب الإمام أحمد رحمه الله الذي هو أقرب المذاهب إلى السنة، ولكن ما كل ما يتمنى المرء يدركه، فقد أصاب مذهبه من بعض أتباعه نحوما أصاب المذاهب الأخرى من الملحقات والبدعات. ولذلك كان لزاما على جميع الأتباع الرجوع إلى السنة الصحيحة، وهذا لا سبيل إليه إلا بدراسة هذا العلم الشريف، ولعلهم يفعلون.
ومما يبطل هذا الحكم حديث أبي أيوب الأنصاري مرفوعا: " لا تستقبلوا القبلة ولا تستدبروها بغائط أو بول ولكن
شرقوا أو غربوا ". أخرجه الشيخان وأصحاب السنن وغيرهم، وهو مخرج في " صحيح أبي داود " (رقم 7) ، وذلك أن قوله: " ولكن شرقوا أو غربوا " صريح في جواز استقبال القمرين واستدبارهما إذ لابد أن يكونا في الشرق أو الغرب غالبا. ويبطله أيضا قوله صلى الله عليه وسلم: الشمس والقمر ثوران مكوران في النار يوم القيامة ". أخرجه الطحاوي والبخاري مختصرا كما بينته في " الأحاديث الصحيحة " (123) . قلت: فهذا يبطل تعليل ابن ضويان، فإن إلقاءهما في النار وإن لم يكن تعذيبا لهما، فليس من باب إكرامهما كما هو ظاهر لا يخفى