৮৮১

পরিচ্ছেদঃ

৮৮১। সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি সেই বস্তুর জন্য রাসূলুল্লাহর দূতকে তাওফীক দান করেছেন যা আল্লাহর রাসূলকে সন্তুষ্ট করে।

হাদীছটি মুনকার।

এটি আবু দাউদ আত-তায়ালিসী তার “মুসনাদ’ (১/২৮৬) গ্রন্থে, অনুরূপভাবে ইমাম আহমাদ (৫/২৩০, ২/৪২), আবু দাউদ "আস-সুনান" (২/১১৬) গ্রন্থে, তিরমিযী (২/২৭৫), ইবনু সা’আদ “আত-তাবাকাত” (২/৩৪৭, ৫৮৪) গ্রন্থে, উকায়লী "আয-যোয়াফা" (৭৬-৭৭) গ্রন্থে, আল-খাতীব "আল-ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ" (১/৯৩, ১১২-১১৩) গ্রন্থে, বাইহাকী তার “সুনান” (১০/১১৪) গ্রন্থে, ইবনু আব্দিল বার "জামেউ বায়ানিল ইলম" (২/৫৫-৫৬) গ্রন্থে, ইবনু হাযম “আল-ইহকাম" (৬/২৬, ৩৫, ৭/১১১-১১২) গ্রন্থে বিভিন্ন সূত্রে শু’বাহ হতে তিনি আবুল আউন হতে তিনি হারেছ ইবনু আমর হতে তিনি মুয়ায ইবনু জাবালের সাথীদের থেকে তারা মুয়ায (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইয়ামান দেশে পাঠিয়েছিলেন, তখন তিনি তাকে বলেনঃ তোমার নিকট যখন কোন সমস্যা পেশ করা হবে তখন তুমি তার সমাধান কিভাবে করবে? তিনি উত্তরে বললেনঃ আমি কিতাবুল্লাহয় যে বিধান এসেছে তার দ্বারা মীমাংসা করবো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি কিতাবুল্লাহয় না থাকে? তিনি উত্তরে বললেনঃ আল্লাহর রাসূলের সুন্নাত দ্বারা সমাধান দিব। তিনি বললেনঃ যদি রাসূলুল্লাহর সুন্নাতে সমাধান না থাকে? তিনি বললেনঃ আমি ইজতিহাদ করে আমার মত প্রকাশ করতে কার্পণ্য করবো না। বর্ণনাকারী বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বুকের উপর আঘাত করে বললেনঃ ...।

উকায়লী বলেনঃ ইমাম বুখারী বলেছেনঃ হাদীছটি সহীহ নয়। একমাত্র মুরসাল হিসাবেই জানা যায়।

আমি (আলবানী) বলছিঃ বুখারীর ভাষ্যটি "আত-তারীখ" (২/১/২৭৫) গ্রন্থে এ ভাবে এসেছেঃ এটি সহীহ নয়, একমাত্র এভাবেই জানা যায়। এটি মুরসাল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সঠিক হচ্ছে এই যে, এটি মুয়ায (রাঃ)-এর সাথীদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। মুয়ায হতে বর্ণিত হয়নি। হাফিয যাহাবী বলেনঃ আবু আউন মুহাম্মাদ ইবনু ওবায়দুল্লাহ আছ-ছাকাফী হারেছ ইবনু আমর আছ-ছাকাফী হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আবু আউন ছাড়া হারেছ হতে অন্য কেউ বর্ণনা করেনি। তিনি মাজহুল। আর তিরমিযী বলেনঃ তার সনদটি আমার নিকট মুত্তাসিল নয়।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সে কারণেই হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে দৃঢ়তার সাথে বলেছেনঃ এই হারেছ মাজহুল।

ইমাম আহমাদ (৫/২৩৬), আবু দাউদ ও ইবনু আসাকির (১৬/৩১০/২) শু’বাহ হতে অন্য দুটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা দু’জনই বলেছেনঃ মুয়ায (রাঃ)-এর সাথীদের কতিপয় ব্যক্তি হতে বর্ণিত; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায (রাঃ)-কে ইয়ামানের দিকে প্রেরণের ইচ্ছা করলেন। (আল-হাদীছ)। তাতে "মুয়ায হতে" উল্লেখ করা হয়নি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি মুরসাল। এর দ্বারাই ইমাম বুখারী হাদীছটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন, যেমনটি পূর্বে গেছে। অনুরূপভাবে ইমাম তিরমিযী বলেছেনঃ আমরা এ হাদীছটিকে একমাত্র এ সূত্রেই চিনি। তার সনদ আমার নিকট মুত্তাসিল নয়।

হাফিয ইরাকী বাইযাবীর “তাখরাজু আহাদীছি মিনহাজিল উসূল” (কাফ ১/৭৬) গ্রন্থে তাকে সমর্থন করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীছের সমস্যা তিনটিঃ

১। এটি মুরসাল।

২। বর্ণনাকারী মুয়ায (রাঃ)-এর সাথীগণ মাজহুল।

৩। হারেছ ইবনু আমর মাজহুল।

ইবনু হাযম বলেনঃ এ হাদীছটি সাকেত (নিক্ষিপ্ত)। এ সূত্র ছাড়া হাদীছটি কেউ অন্য সূত্রে বর্ণনা করেননি। এটির নিক্ষিপ্ত হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে এই যে, এটি নামহীন মাজহুল (অজ্ঞাত) সম্প্রদায় বর্ণনা করেছে। সেই ব্যক্তি দলীল হতে পারে না যার সম্পর্কে জানা যায় না যে তিনি কে? তাতে হারেছ ইবনু আমর রয়েছেন, তিনি মাজহুল। জানা যায় না তিনি কে? এ হাদীছটি কখনই তিনি ছাড়া অন্য কারো সূত্রে আসেনি।

ইমাম বুখারী হতে হাদীছটি সহীহ নয় এ ভাষ্য নকল করার পর ইবনু হাযম অন্যত্র বলেনঃ এ হাদীছটি বাতিল, এর কোন ভিত্তি নেই।

হাফিয "আত-তালখীস" (পৃঃ ৪০১) গ্রন্থে ইমাম বুখারীর উল্লেখিত কথার পরেই বলেছেনঃ শুবাহ এ ভাবেই বর্ণনা করেছেন। ইবনু মাহদী ও একদল তার থেকে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মুরসাল হওয়ায় বেশী সহীহ। আবু দাউদ আত-তায়ালিসী বলেনঃ অধিকাংশ সময় শুবাহ মুয়ায (রাঃ)-এর সাথীদের থেকে হাদীছ বর্ণনা করতেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ..। আর একবার বলেছেনঃ মুয়ায হতে।

ইবনু হাযম বলেনঃ হাদীছটি সহীহ নয়, কারণ হারেছ মাজহুল। তার শাইখদের পরিচয় জানা যায় না। তিনি আরো বলেনঃ তাদের কেউ কেউ হাদীছটি মুতাওয়াতির বর্ণনায় সাব্যস্ত হয়েছে বলে দাবী করেছেন। এ দাবী মিথ্যা। বরং হাদীছটি সম্পূর্ণ তার উল্টা। কারণ আউন হতে হারেছ ইবনু আমর ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। অতএব কিভাবে এটি মুতাওয়াতির? আব্দুল হক বলেনঃ এটি মুসনাদ নয়। এটিকে কোন সহীহ সূত্রে পাওয়া যায় না। ইবনুল জাওযী "আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ" গ্রন্থে বলেনঃ হাদীছটি সহীহ নয়। যদিও ফাকীহগণ তাদের গ্রন্থসমূহে উল্লেখ করে তার উপর নির্ভর করেছেন। যদিও তার অর্থটি সহীহ। ইবনু তাহের এ হাদীছটির উপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ জেনে রাখুন! আমি এ হাদীছটি ছোট বড় মুসনাদ গ্রন্থগুলোতে খুজেছি, বর্ণনার ক্ষেত্রে জ্ঞানের অধিকারী যার সাথে মিলিত হয়েছি তাকেই হাদীছটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। কিন্তু তার দু’টি সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্র পায়নিঃ

১। শু’বার সূত্র।
২। হাদীছটি মুহাম্মাদ ইবনু জাবের হতে তিনি আশয়াছ ইবনু আবিশ শায়াছা হতে তিনি ছাকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি হতে তিনি মুয়ায (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

এ দু’টোর একটিও সহীহ নয়। তিনি আরো বলেনঃ সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট যা পেয়েছি তা হচ্ছে ইমামুল হারামায়েনের “উসূলুল ফিকহ” গ্রন্থে। তিনি বলেনঃ ’এ অধ্যায়ে সর্বোত্তম হচ্ছে মুয়ায (রাঃ)-এর হাদীছ। এটি তার থেকে একটি পদস্থলন। তিনি যদি হাদীছ বর্ণনার ক্ষেত্রের আলেম হতেন, তাহলে এরূপ অজ্ঞতার সাথে জড়িত হতেন না। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ ইবনু তাহের ইমামুল হারামায়েন সম্পর্কে শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেছেন। তিনি সহজ, ভাষায় প্রতিবাদ করতে পারতেন।

অথচ ইমামুল হারামায়েনের কথা তিনি যা নকল করেছেন তার চেয়েও আরো কঠোর কারণ তিনি বলেছেনঃ ’হাদীছটি সহীহ গ্রন্থগুলোর মধ্যে লিপিবদ্ধ আছে। সকলের ঐকমত্যে এটি সহীহ (!) তাতে কোন প্রকার ব্যাখ্যার সুযোগ নেই।’

হাদীছটি আল-খাতীব "আল-ফাকীহ ওয়াল-মুতাফাক্কিহ" গ্রন্থে আব্দুর রহমান ইবনু গানম হতে তিনি মুয়ায (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। যদি আব্দুর রহমান পর্যন্ত সনদটি সাব্যস্ত হতো তাহলে হাদীছটি সহীহ হওয়ার জন্য তাই যথেষ্ট ছিল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আল-খাতীব এটির তাখরীজ করেননি বরং তিনি মুয়াল্লাক হিসাবে (পৃঃ ১৮৯) উল্লেখ করে বলেছেনঃ বলা হয়ে থাকে যে, ওবাদাহ ইবনু নাসী আব্দুর রহমান ইবনু গানম হতে তিনি মুয়ায হতে বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি মুত্তাসিল তার বর্ণনাকারীগণ পরিচিত নির্ভরযোগ্য।

আমি বলছিঃ এ এক দুরবর্তী কথা। কারণ তার নিকট পর্যন্ত পৌছতে সনদে মিথ্যুক, জালকারী রয়েছেন।

ইবনুল কাইয়্যিম “তাহযীবুস সুনান” গ্রন্থে হাদীছটি উল্লেখ করে তাতে একটি টীকা দিয়ে (৫/২১৩) বলেছেনঃ

হাদীছটি ইবনু মাজাহ তার “সুনান" গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-উমুবী হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ ইবনে হাসসান হতে তিনি ওবাদাহ ইবনু নুসায় হতে তিনি আব্দুর রহমান ইবনু গানম হতে তিনি মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ... । ইবনুল জাওযী বলেনঃ এ সনদটি প্রথমটির চেয়ে বেশী ভাল। তাতে কোন রায়ের (মতের) উল্লেখ নেই।

আমি (আলবানী) বলছিঃ কিভাবে এ সনদটি প্রথমটির চেয়ে উত্তম! যাতে মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ ইবনে হাসসান আদ-দামেস্কী আল-মাসলূব রয়েছেন? হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ আহমাদ ইবনু সালেহ তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি চার হাজার হাদীছ জাল করেছেন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি যিনদীক হওয়ার কারণে তাকে মানসূর হত্যা করে সুলে দেন। ৮৪৯ নং হাদীছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

(ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি ইচ্ছাকৃত হাদীছ জাল করতেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীছ জাল করতেন...। হাকিম বলেনঃ তিনি হাদীছ জাল করতেন। এ ছাড়া আরো কথা তার সম্পর্কে সেখানে আলোচনা করা হয়েছে।)

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনুল কাইয়্যিমের নিকট মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ ইবনে হাসসান হিমসী না আল-মাসলুব তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়ায় সম্ভবত তিনি উল্লেখিত কথা বলেছেন। তিনি আসলে হিমসী নন। কারণ হিমসী ইবনু নুসায় হতে বর্ণনা করেছেন এমন কথা মুহাদ্দিছগণ উল্লেখ করেননি। তার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-উমাবিও নেই।

বুসয়রী "আয-যাওয়ায়েদ" (কাফ ৫/২) গ্রন্থে বলেনঃ এ সনদটি দুর্বল। মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ আল-মাসলূব হাদীছ জাল করার দোষে দোষী।

ইবনুল কাইয়্যিম যে বলেছেনঃ [তাতে রায়ের (নিজ মতের) উল্লেখ নেই]। তিনি ইবনু মাজার বর্ণনায় উল্লেখিত ভাষার দিকে লক্ষ্য করে তা বলেছেন। কিন্তু এই মাসলূবের বর্ণনা হতেই ইবনু আসাকির “আত-তারীখ” (১৬/৩১০/১) গ্রন্থে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন, তাতে রায়ের (নিজ মতের) কথা বলা হয়েছে।

ইবনু আসাকির হাদীছটি সুলায়মান আশ-শাযকূনীর সূত্রেও হায়ছাম ইবনু আব্দিল গাফফার হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এই হায়ছম সম্পর্কে ইবনু মাহদী বলেনঃ তিনি হাদীছ জালকারী। আর শাযকূনী মিথ্যুক।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনুল কাইয়্যিম হাদীছটির দ্বিতীয় সমস্যার (সেটি হচ্ছে মুয়ায (রাঃ)-এর সাথীগণের মাজহুল হওয়া) "ই’লামুল মুওাকেয়ীন" (১/২৪৩) গ্রন্থে নিম্নের ভাষায় জবাব দিয়েছেনঃ মুয়ায (রাঃ)-এর সাথীদের যদিও নাম নেয়া হয়নি তবুও তা কোন ক্ষতির কারণ নয়। কারণ হাদীছটি মাশহুর আর তার সাথীগণ জ্ঞানে, দ্বীনদারিত্বে, সম্মানে ও সত্যবাদিতার দিক দিয়ে প্রসিদ্ধ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ উত্তর সঠিক হতো যদি হাদীছটির শুধুমাত্র এ সমস্যাই থাকতো। এখানে আরো দুটি সমস্যা রয়েছে। হাদীছটি সর্বাবস্থায় দুর্বল। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, ইবনুল কাইয়্যিম একটি সমস্যার উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু অন্য দু’টিকে ছেড়ে দিয়েছেন।

সতর্কবাণীঃ(১) হাদীছটিকে ইবনুল আহীর "জামেউল উসূল" (১০/৫৫১) গ্রন্থে হারেছ ইবনু আমর হতে উল্লেখিত শব্দে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি অন্য ভাষায় বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার উল্লেখিত দ্বিতীয় বর্ণনাটি আবু দাউদে নেই। এমন কোন ব্যক্তিকে পায়নি যিনি আবু দাউদের উদ্ধৃতিতে বলেছেন। কোন গ্রন্থেও তার কোন ভিত্তি পায়নি। সেটি খুবই মুনকার সকল বর্ণনার বিরোধী হওয়ার কারণে।

সতর্কবাণীঃ (২) হাদীছটিকে শক্তিশালী করার জন্য শাইখ যাহেদ আলকাওসারী বহু চেষ্টা চালিয়েছেন। সেগুলোর উত্তর দেয়া সঙ্গত মনে করছি। বিধায় তার আটটি আণিত ভাষ্যের বিস্তারিত উত্তর দেয়া হলো ।

[(তার কথার উত্তরগুলো অত্যন্ত সুবিস্তৃত হওয়ায় এখানে উল্লেখ করা হতে বিরত থাকলাম। যে পরিমাণ আলোচনা হয়েছে হাদীছটি যে সহীহ নয় তাই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। (অনুবাদক)]

মোটকথাঃ হাদীছটি সহীহ নয়। তার কারণগুলো পূর্বে আলোচিত হয়েছে। এ ছাড়া যারা এ হাদীছটিকে স্পষ্টভাবে দুর্বল হিসাবে চিহ্নিত করেছেন তাদেরকে সম্মানিত পাঠকবৃন্দের সামনে একনজরে উল্লেখ করাটা ভাল মনে করছি। তারা হলেনঃ
(১) ইমাম বুখারী (২) তিরমিযী (৩) উকায়লী (৪) দারাকুতনী (৫) ইবনু হাযম (৬) ইবনু তাহের (৭) ইবনুল জাওযী (৮) যাহাবী (৯) সুবকী (১০) ইবনু হাজার।

তারা এমন একটি সম্প্রদায় যাদের ঐকমত্যের কথা কোন ব্যক্তি গ্রহণ করলে তাদের পথভ্রষ্ট হওয়ার কথা নয়।

ইবনুল জাওযী যে বলেছেনঃ তবে অর্থটি সহীহ।

এ সম্পর্কে আমি (আলবানী) বলছিঃ অর্থটি সহীহ সেই বিষয়ের ক্ষেত্রে যাতে দলীল না থাকার কারণে ইজতিহাদের প্রয়োজন। এতে কারো নিকট কোন মতভেদ নেই। কিন্তু কুরআন ও সুন্নাহকে পৃথক পৃথক করে দেখার কোন সুযোগ নেই। বরং উভয়টির দিকে একই সাথে দৃষ্টি হবে। এমনটি নয় যে, কুরআনে না পেলে তার পর সুন্নায় দেখতে হবে। কারণ সুন্নাহ হচ্ছে কুরআনের ব্যাখ্যা, মুতলাককে মুকাইয়াদকারী ও আমকে খাসকারী।

الحمد لله الذي وفق رسول رسول الله لما يرضي رسول الله
منكر

-

أخرجه أبو داود الطيالسي في " مسنده " (1 / 286 - منحة المعبود) وكذا أحمد (5 / 230، 242) وأبو داود في " السنن " (2 / 116) والترمذي (2 / 275) وابن سعد في " الطبقات " (2 / 347 و584 - طبع بيرو ت) والعقيلي في " الضعفاء " (76 - 77) والخطيب في " الفقيه والمتفقه " (93 / 1 و112 - 113 مخطوطة الظاهرية، 154 - 155 و188 - 189 - مطبوعة الرياض) والبيهقي في " سننه " (10 / 114) وابن عبد البر في " جامع بيان العلم " (2 / 55 - 56) وابن حزم في " الإحكام " (6 / 26، 35، 7 / 111 - 112) من طرق عن شعبة عن أبي العون عن الحارث بن عمرو - أخي المغيرة بن شعبة - عن أصحاب معاذ بن جبل عن
معاذ بن جبل: أن النبي صلى الله عليه وسلم حين بعثه إلى اليمن قال له: كيف تقضي إذا عرض لك قضاء؟ قال: أقضي بما في كتاب الله. قال: فإن لم يكن في كتاب الله؟ قال: بسنة رسول الله، قال: فإن لم يكن في سنة رسول الله؟ قال: أجتهد رأيي لا آلو، قال: فضرب رسول الله صلى الله عليه وسلم صدره، وقال: فذكره. وقال العقيلي: " قال البخاري: لا يصح، ولا يعرف إلا مرسلا
قلت: ونصه في " التاريخ " (2 / 1 / 275) : " لا يصح، ولا يعرف إلا بهذا، مرسل ". قلت: يعني أن الصواب أنه عن أصحاب معاذ بن جبل ليس فيه " عن معاذ
وقال الذهبي: " قلت: تفرد به أبو عون محمد بن بن عبيد الله الثقفي عن الحارث بن عمرو الثقفي أخوالمغيرة بن شعبة، وما روى عن الحارث غير أبي عون فهو مجهول، وقال الترمذي: ليس إسناده عندي بمتصل ". قلت: ولذلك جزم الحافظ في " التقريب " بأن الحارث هذا مجهول. ثم رواه أحمد (5 / 236) وأبو داود وابن عساكر (16 / 310 / 2) من طريقين آخرين عن شعبة، إلا أنهما قالا: " عن رجال من أصحاب معاذ أن رسول الله لما أراد أن يبعث معاذا إلى اليمن ". الحديث. لم يذكر: " عن معاذ
قلت: هذا مرسل وبه أعله البخاري كما سبق، وكذا الترمذي حيث قال عقبه: " هذا حديث لا نعرفه إلا من هذا الوجه، وليس إسناده عندي بمتصل ". وأقره الحافظ العراقي في " تخريج أحاديث منهاج الأصول " للبيضاوي (ق 76 / 1) . قلت: فقد أعل هذا الحديث بعلل ثلاث
الأولى: الإرسال هذا
الثانية: جهالة أصحاب معاذ. الثالثة: جهالة الحارث بن عمرو
قال ابن حزم: " هذا حديث ساقط، لم يرو هـ أحد من غير هذا الطريق، وأول سقوطه أنه عن قوم مجهولين، لم يسموا، فلا حجة فيمن لا يعرف من هو؟ وفيه الحارث بن عمرو، وهو مجهول لا يعرف من هو؟ ولم يأت هذا الحديث قط من غير طريقه ". وقال في موضع آخر بعد أن نقل قول البخاري فيه: " لا يصح

وهذا حديث باطل لا أصل له ". وقال الحافظ في " التلخيص " (ص 401) عقب قول البخاري المذكور: " وقال الدارقطني في " العلل ": رواه شعبة عن أبي عون هكذا. وأرسله ابن مهدي وجماعات عنه. والمرسل أصح. قال أبو داود (يعني الطيالسي) : وأكثر ما كان يحدثنا شعبة عن أصحاب معاذ أن رسول الله. وقال مرة: عن معاذ. وقال ابن حزم: " لا يصح لأن الحارث مجهول، وشيوخه لا يعرفون، قال: وادعى بعضهم فيه التواتر، وهذا كذب، بل هو ضد التواتر، لأنه ما رواه أحد غير أبي عون عن الحارث، فكيف يكون متواترا؟! ". وقال عبد الحق: " لا يسند، ولا يوجد من وجه صحيح
وقال ابن الجوزي في " العلل المتناهية ": " لا يصح وإن كان الفقهاء كلهم يذكرونه في كتبهم ويعتمدون عليه، وإن كان معناه صحيحا ". وقال ابن طاهر في تصنيف له مفرد، في الكلام على هذا الحديث: " اعلم أنني فحصت عن هذا الحديث في المسانيد الكبار والصغار، وسألت عنه من لقيته من أهل العلم بالنقل، فلم أجد غير طريقين: أحدهما: طريق شعبة. والأخرى: عن محمد بن جابر عن أشعث بن أبي الشعثاء عن رجل من ثقيف عن معاذ وكلاهما لا يصح. قال: وأقبح ما رأيت فيه قول إمام الحرمين في كتاب " أصول الفقه ": " والعمدة في هذا الباب على حديث معاذ " قال: " وهذه زلة منه، ولوكان عالما بالنقل لما ارتكب هذه الجهالة "، (قال الحافظ رحمه الله تعالى) : " قلت: أساء الأدب على إمام الحرمين، وكان يمكنه أن يعبر بألين من هذه العبارة مع كلام إمام الحرمين أشد مما نقله عنه! فإنه قال: " والحديث مدون في " الصحاح " متفق على صحته (!) لا يتطرق إليه التأويل
كذا قال رحمه الله، وقد أخرجه الخطيب في كتاب " الفقيه والمتفقه " من رواية عبد الرحمن بن غنم عن معاذ بن جبل، فلو كان الإسناد إلى عبد الرحمن ثابتا لكان كافيا في صحة الحديث ". قلت: لم يخرجه الخطيب، بل علقه (ص 189) بقوله: " وقد قيل إن عبادة بن نسي رواه عن عبد الرحمن بن غنم عن معاذ. وهذا إسناد متصل ورجاله معروفون بالثقة
قلت: وهيهات، فإن في السند إليه كذابا وضاعا، فقد أورده ابن القيم في " تهذيب السنن " تعليقا على هذا الحديث فقال (5 / 213) : " وقد أخرجه ابن ماجه في " سننه " من حديث يحيى بن سعيد الأموي عن محمد بن سعيد بن حسان عن عبادة بن نسي عن عبد الرحمن بن غنم: حدثنا معاذ بن جبل قال: " لما بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى اليمن قال: لا تقضين ولا تفصلن إلا بما تعلم، وإن أشكل عليك أمر فقف حتى تبينه، أو تكتب إلي فيه ". وهذا أجود إسنادا من الأول، ولا ذكر للرأي فيه ". قلت: كيف يكون أجود إسنادا من الأول وفيه محمد بن سعيد بن حسان وهو الدمشقي المصلوب؟! قال في " التقريب ": " قال أحمد بن صالح: وضع أربعة آلاف حديث، وقال أحمد: قتله المنصور على الزندقة وصلبه ". وقد سبق نحوه (ص 244) عن غيره من الأئمة
قلت: ولعله اشتبه على ابن القيم رحمه الله بمحمد بن سعيد بن حسان الحمصي، وليس به، فإنه متأخر عن المصلوب، ولم يذكروا له رواية عن ابن نسي، ولا في الرواة عنه يحيى بن سعيد الأموي، وإنما ذكروا ذلك في الأول، على أنه مجهول كما قال الحافظ، وأيضا فإن هذا ليس من رجال ابن ماجه، وإنما ذكروه تمييزا بينه وبين الأول. والحديث في " المقدمة " من سنن " ابن ماجه " (1 / 28) ، وقال البوصيري في " الزوائد " (ق 5 / 2) : " هذا إسناد ضعيف، محمد بن سعيد هو المصلوب اتهم بوضع الحديث
على أن قول ابن القيم: " ولا ذكر للرأي فيه ". إنما هو بالنظر إلى لفظ رواية ابن ماجه، وإلا فقد أخرجه ابن عساكر في " تاريخه " (16 / 310 / 1) من طريق المصلوب هذا بلفظ: " قال معاذ: يا رسول الله: أرأيت ما سئلت عنه مما لم أجده في كتاب الله ولم أسمعه منك؟ قال: اجتهد رأيك
ثم رواه ابن عساكر (16 / 310 / 2) من طريق سليمان الشاذكوني: أخبرنا الهيثم بن عبد العفار عن سبرة بن معبد عن عبادة بن نسي به بلفظ: " اجتهد رأيك، فإن الله إذا علم منك الحق وفقك للحق ". والهيثم هذا قال ابن مهدي: " يضع الحديث ". والشاذكوني كذاب
قلت: وأجاب ابن القيم عن العلة الثانية، وهي جهالة أصحاب معاذ بقوله في " إعلام الموقعين " (1 / 243) : " وأصحاب معاذ وإن كانوا غير مسمين فلا يضره ذلك، لأنه يدل على شهرة الحديث، وشهرة أصحاب معاذ بالعلم والدين والفضل والصدق بالمحل الذي لا يخفى.... " أقول: فهذا جواب صحيح لو أن علة الحديث محصورة بهذه العلة، أما وهناك علتان أخريان قائمتان، فالحديث ضعيف على كل حال، ومن العجيب أن ابن القيم رحمه الله لم يتعرض للجواب عنهما مطلقا. فكأنه ذهل عنهما لانشغاله بالجواب عن هذه العلة والله أعلم
ثم تبين لي أن ابن القيم اتبع في ذلك كله الخطيب البغدادي في " الفقيه والمتفقه " (113 / - 2 من المخطوطة، 189 - من المطبوعة) ، وهذا أعجب، أن يخفى على مثل الخطيب في حفظه ومعرفته بالرجال علة هذا الحديث القادحة
(تنبيه) أورد ابن الأثير هذا الحديث في " جامع الأصول " (10 / 551) عن الحارث بن عمرو باللفظ الذي ذكرته، ثم قال: " وفي رواية: " أن معاذا سأل رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله بما أقضي؟ قال: بكتاب الله، قال: فإن لم أجد؟ قال: بسنة رسول الله، قال فإن لم أجد، قال استدق الدنيا، وتعظم في عينيك ما عند الله واجتهد رأيك فيسددك الله للحق. ثم قال عقبه: " وأخرجه أبو داود
قلت: وليست عنده هذه الرواية، ولا رأيت أحدا عزاها إليه غيره، ولا وجدت لها أصلا في شيء من المصادر التي وقفت عليها، فهي منكرة شديدة النكارة، لمخالفتها لجميع الروايات المرسلة منها والموصولة، وجميعها معلة بالجهالة. ومر على هذا العزولأبي داود المحقق الفاضل لـ " جامع الأصول " (10 / 177 - 178 - طبعة دمشق) دون أي تعليق أو تحقيق
تنبيه آخر: ذهب الشيخ زاهد الكوثري المعروف في مقال له إلى تقوية هذا الحديث، وليس ذلك بغريب منه ما دام أنه قد سبق إليه، ولكن الغريب حقا أنه سلك في سبيل ذلك طريقا معوجة، لا يعرفها أهل الجرح والتعديل، فرأيت أن أنقل خلاصة كلامه فيه، ثم أرد عليه وأبين خطأه وزغله
قال في " مقالاته " (ص 60 - 61) : " وهذا الحديث رواه عن أصحاب معاذ الحارث بن عمرو الثقفي، وليس هو مجهول العين بالنظر إلى أن شعبة بن الحجاج يقول عنه: إنه ابن أخي المغيرة بن شعبة، ولا مجهول الوصف من حيث أنه من كبار التابعين، في طبقة شيوخ أبي عون الثقفي المتوفى سنة 116، ولم ينقل أهل الشأن جرحا مفسرا في حقه، ولا حاجة في الحكم بصحة خبر التابعي الكبير إلى أن ينقل توثيقه عن أهل طبقته، بل يكفي في عدالة وقبول روايته ألا يثبت فيه جرح مفسر من أهل الشأن، لما ثبت من بالغ الفحص على المجروحين من رجال تلك الطبقة. أما من بعدهم فلا تقبل روايتهم ما لم تثبت عدالتهم وهكذا
والحارث هذا ذكره ابن حبان في " الثقات " وإن جهله العقيلي وابن الجارود وأبو العرب، وقد روى هذا الحديث عن أبي عون عن الحارث - أبو إسحاق الشيباني وشعبة بن الحجاج المعروف بالتشدد في الرواية والمعترف له بزوال الجهالة وصفا عن رجال يكونون في سند روايته
قلت: وفي هذا الكلام من الأخطاء المخالفة لما عليه علماء الحديث، ومن المغالطات والدعاوى الباطلة، ما لا يعرفه إلا من كان متمكنا في هذا العلم الشريف، وبيانا لذلك أقول
1 - قوله: " ليس هو مجهول العين بالنظر إلى أن شعبة يقول عنه ابن أخي المغيرة
فأقول: بل هو مجهول وتوضيحه من ثلاثة وجوه
الأول: أن أحدا من علماء الحديث - فيما علمت - لم يقل أن الراوي المجهول إذا عرف اسم جده بله اسم أخي جده خرج بذلك عن جهالة العين إلى جهالة الحال أو الوصف. فهي مجرد دعوى من هذا الجامد في الفقه، والمجتهد في الحديث دون مراعاة منه لقواعد الأئمة، وأقوالهم الصريحة في خلاف ما يذهب إليه! فإنهم أطلقوا القول في ذلك، قال الخطيب: " المجهول عند أهل الحديث من لم يعرفه العلماء ولا يعرف حديثه إلا من جهة واحد
الثاني: أنه خلاف ما جرى عليه أئمة الجرح والتعديل في تراجم المجهولين عينا، فقد عرفت مما سبق ذكره في ترجمة الحارث هذا أنه مجهول عند الحافظين الذهبي والعسقلاني وكفى بهما حجة، لاسيما وهما مسبوقون إلى ذلك من ابن حزم وغيره ممن ذكرهم الكوثري نفسه كما رأيت! ومن الأمثلة الأخرى على ذلك ذهيل بن عوف بن شماخ التميمي أشار الذهبي إلى جهالته بقوله في " الميزان ما روى عنه سوى سليط بن عبد الله الطهو ي " وصرح بذلك الحافظ فقال في " التقريب ": " مجهول من الثالثة
ومن ذلك أيضا زريق بن سعيد بن عبد الرحمن المدني، أشار الذهبي أيضا إلى جهالته وقال الحافظ: " مجهول ". والأمثلة على ذلك تكثر، وفيما ذكرنا كفاية، فأنت ترى أن هؤلاء قد عرف اسم جد كل منهم، ومع ذلك حكموا عليهم بالجهالة
الثالث: قوله: " شعبة يقول عنه: إنه ابن أخي المغيرة بن شعبة ". فأقول: ليس هذا من قول شعبة، وإنما هو من قول أبي العون كما مر في إسناد الحديث، وشعبة إنما هو راوعنه، وهو في هذه الحالة لا ينسب إليه قول ما جاء في روايته، حتى ولوصحت عنده لأنه قد يقول بخلاف ذلك، ولذلك جاء في علم المصطلح، " وعمل العالم وفتياه على وفق حديث رواه ليس حكما بصحته، ولا مخالفته قدح في صحته ولا في رواته ". كذا في " تقريب النووي " (ص 209 بشرح التدريب) . وكأن الكوثري تعمد هذا التحريف ونسبة هذا القول لشعبة - وليس له - ليقوي به دعوى كون الحارث بن عمرو هذا ابن أخي المغيرة، لأن أبا العون - واسمه محمد بن عبيد الله ابن الثقفي الأعور وإن كان ثقة، فإنه لا يزيد على كونه راويا من رواة الحديث، وأما شعبة فإمام نقاد. على أننا لوسلمنا بأنه من قوله، فذلك مما لا يفيد الكوثري شيئا من رفع الجهالة كما سبق بيانه
2 - قوله: " ولا مجهول الوصف من حيث أنه من كبار التابعين في طبقة شيوخ أبي عون
فأقول: الجواب من وجهين
الأول: بطلان هذه الدعوى من أصلها، لأن شيوخ أبي عون ليسوا جميعا من كبار التابعين حتى يلحق بهم الحارث هذا، فإن من شيوخه أبا الزبير المكي وقد مات سنة (126) ، ولذلك جعله الحافظ من الطبقة الرابعة، وهم الذين جل روايتهم عن كبار التابعين، ومن شيوخه والده عبيد الله بن سعيد، ولا تعرف له وفاة، لكن ذكره ابن حبان في " أتباع التابعين "، وقال: يروي المقاطيع
قال الحافظ: فعلى هذا فحديثه عن المغيرة مرسل. يعني منقطع، ولذلك جعله في " التقريب " من الطبقة السادسة، وهم من صغار التابعين الذين لم يثبت لهم لقاء أحد من الصحابة كابن جريج. إذا عرفت هذا فادعاء أن الحارث بن عمرو من كبار التابعين افتئات على العلم، وتخرص لا يصدر من مخلص، والصواب أن يذكر ذلك على طريق الاحتمال، فيقال: يحتمل أنه من كبار التابعين، كما يحتمل أنه من صغارهم
فإن قيل: فأيهما الأرجح لديك؟ قلت: إذا كان لابد من اتباع أهل الاختصاص في هذا العلم، وترك الاجتهاد فيما لا سبيل لأحد اليوم إليه، فهو أنه من صغار التابعين، فقد أورده الإمام البخاري في " التاريخ الصغير " في فصل " من مات ما بين المائة إلى العشرة " (ص 126 - هند) وأشار إلي حديثه هذا وقال: " ولا يعرف الحارث إلا بهذا، ولا يصح
ولذلك جعله الحافظ في " التقريب " من الطبقة السادسة التي لم يثبت لأصحابها لقاء أحد من الصحابة فقال: " مجهول، من السادسة ". فإن قيل: ينافي هذا ما ذكره الكوثري (ص 62) أن لفظ شعبة في رواية علي بن الجعد قال: سمعت الحارث بن عمرو ابن أخي المغيرة بن شعبة يحدث عن أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم عن معاذ بن جبل.
كما أخرجه ابن أبي خيثمة، في " تاريخه " ومثله في " جامع بيان العلم " لابن عبد البر. فهذا صريح في أنه لقي جمعا من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فهو تابعي
فأقول: نعم والله إن هذه الرواية لتنافي ذلك أشد المنافاة، ولكن يقال للكوثري وأمثاله: أثبت العرش ثم انقش، فإنها رواية شاذة، تفرد بها علي بن الجعد مخالفا في ذلك لسائر الثقات الذين لم يذكروا رسول الله صلى الله عليه وسلم مضافا إلى (الأصحاب) ، وإنما قالوا: أصحاب معاذ كما تقدم في الإسناد عند جميع من عزونا الحديث إليهم، إلا في رواية لابن عبد البر، وهي من روايته عن أحمد بن زهير قال: حدثنا علي بن الجعد.... وأحمد بن زهير هو ابن أبي خيثمة. وإليك أسماء الثقات المخالفين لابن الجعد في روايته تلك
الأول: أبو داود الطيالسي نفسه في " مسنده " وعنه البيهقي
الثاني: محمد بن جعفر عند أحمد والترمذي
الثالث: عفان بن مسلمة عند أحمد أيضا
الرابع: يحيى بن سعيد القطان، عند أبي داود وابن عبد البر في الرواية الأخرى
الخامس: وكيع بن الجراح عند الترمذي
السادس: عبد الرحمن بن مهدي عند الترمذي
السابع: يزيد بن هارون عند ابن سعد. الثامن: أبو الوليد الطيالسي عند ابن سعد
فهؤلاء ثمانية من الثقات وكلهم أئمة أثبات، لاسيما وفيهم يحيى القطان الحافظ المتقن لوأن بعضهم خالفوا ابن الجعد لكان كافيا في الجزم بوهمه في نسبته (الأصحاب) إلى الرسول صلى الله عليه وسلم لا إلى معاذ، فكيف بهم مجتمعين؟! ومثل هذا لا يخفى على الكوثري، ولكنه يتجاهل ذلك عمدا لغاية في نفسه، وإلا فإن لم تكن رواية ابن الجعد هذه شاذة فليس في الدنيا ما يمكن الحكم عليه بالشذوذ، ولذلك لم يعرج على هذه الرواية كل من ترجم للحارث هذا
فثبت مما تقدم أن الحارث بن عمرو هو من صغار التابعين، وليس من كبارهم، وقد صرح بسماعه من جابر بن سمرة في رواية الطيالسي في " مسنده " (216) عن شعبة عنه
والآخر: هب أنه من كبار التابعين، فذلك لا ينفي عنه جهالة العين فضلا عن جهالة الوصف عند أحد من أئمة الجرح والتعديل، بل إن سيرتهم في ترجمتهم للرواة يؤيد ما ذكرنا، فهذا مثلا حريث بن ظهير من الطبقة الثانية عند الحافظ، وهي طبقة كبار التابعين، فإنه مع ذلك أطلق عليه الحافظ بأنه مجهول. وسبقه إلى ذلك الإمام الذهبي فقال: " لا يعرف ". ومثله حصين بن نمير الكندي الحمصي
قال الحافظ: " يروي عن بلال، مجهول من الثانية ". ونحوه خالد بن وهبان ابن خالة أبي ذر
قال الحافظ: " مجهول، من الثالثة
3 - قوله: " ولم ينقل أهل الشأن جرحا مفسرا في حقه
قلت: لا ضرورة إلى هذا الجرح، لأنه ليس بمثله فقط يثبت الجرح، بل يكفي أن يكون جرحا غير مفسر إذا كان صادرا من إمام ذي معرفة بنقد الرواة، ولم يكن هناك توثيق معتمر معارض له، كما هو مقرر في علم المصطلح، فمثل هذا الجرح مقبول، لا يجوز رفضه، ومن هذا القبيل وصفه بالجهالة، لأن الجهالة علة في الحديث تستلزم ضعفه، وقد عرفت أنه مجهول عند جمع من الأئمة النقاد ومنهم الإمام البخاري، فأغنى ذلك عن الجرح المفسر، وثبت ضعف الحديث
4 - قوله: " ولا حاجة في الحكم بصحة خبر التابعي الكبير إلى أن ينقل توثيق عن أهل طبقته ". فأقول: فيه أمور
أولا: أن الحارث هذا لم يثبت أنه تابعي كبير كما تقدم فانهار قوله من أصله
وثانيا: أنه لا قائل بأن الراوي سواء كان تابعيا أو ممن دونه بحاجة إلى أن ينقل توثيقه عن أهل طبقته، بل يكفي في ذلك أن يوثقه إمام من أئمة الجرح والتعديل سواء كان من طبقته أو ممن دونها، فلما كان الحارث هذا لم يوثقه أحد ممن يوثق بتوثيقه بل جهلوه فقد سقط حديثه
5 - قوله: " بل يكفي في عدالته.... (إلى قوله) من رجال تلك الطبقة ". قلت: هذه مجرد دعوى، فهي لذلك ساقطة الاعتبار، فكيف وهي مخالفة للشرط الأول من شروط الحديث الصحيح: " ما رواه عدل ضابط ... " فلو سلمنا أن عدالته تثبت بذلك، فكيف يثبت ضبطه وليس له من الحديث إلا القليل بحيث لا يمكن سبره وعرضه على أحاديث الثقات ليحكم له بالضبط أو بخلافه، أو بأنه وسط بين ذلك. كما هو طريق من طرق الأئمة النقاد في نقد الرواة الذين لم يرو فيهم جرح أو تعديل ممن قبلهم من الأئمة
ويكفي في إبطال هذا القول مع عدم وروده في " علم المصطلح " أنه مباين لما جاء فيه: أن أقل ما يرفع الجهالة رواية اثنين مشهور ين كما تقدم عن الخطيب. ولما تعقبه بعضهم بأن البخاري روى عن مرداس الأسلمي، ومسلما عن ربيعة بن كعب الأسلمي ولم يرو عنهما غير واحد
رده النووي في " التقريب " بقوله (ص 211) : " والصواب نقل الخطيب، ولا يصح الرد عليه بمرداس وربيعة فإنهما صحابيان مشهور ان، والصحابة كلهم عدول
وأيده السيوطي في " التدريب " فقال عقبه: " فلا يحتاج إلى رفع الجهالة عنهم بتعداد الرواة، قال العراقي: هذا الذي قاله النووي متجه إذا ثبتت الصحبة، ولكن بقي الكلام في أنه هل تثبت الصحبة برواية واحد عنه أولا تثبت إلا برواية اثنين عنه، وهو محل نظر واختلاف بين أهل العلم، والحق أنه إن كان معروفا بذكره في الغزوات أو في من وفد من الصحابة أو نحوذلك فإنه تثبت صحبته
قلت: فتأمل كلام العراقي هذا يتبين لك بطلان قول الكوثري، لأنه تساهل في إثبات عدالة التابعي الكبير فلم يشترط فيه ما اشترطه العراقي في إثبات الصحبة المستلزمة لثبوت العدالة! فإنه اشترط مع رواية الواحد عنه أن يكون معروفا بذكره في الغزوات أو الوفود. وهذا ما لم يشترط الكوثري مثله في التابعي
فاعتبروا يا أولي الأبصار. ولعله قد وضح لك أنه لا فرق بين التابعي الكبير ومن دونه في أنه لا تقبل روايتهم ما لم تثبت عدالتهم. وتثبت العدالة بتنصيص عدلين عليها أو بالاستفاضة. كما هو معلوم
6 - قال: " أما من بعدهم فلا تقبل روايتهم ما لم تثبت عدالتهم وهكذا ". قلت: بل والتابعي الكبير كذلك كما حققناه في الفقرة السابقة
7 - قال: " والحارث هذا ذكره ابن حبان في " الثقات "، وإن جهله العقيلي وابن الجارود وأبو العرب ". قلت: فيه أمران
الأول: أنه تغافل عن أئمة آخرين جهلوه، منهم الإمام البخاري والذهبي والعسقلاني وغرضه من ذلك واضح وهو الحط من شأن هذا التجهيل
والآخر: اعتداده بتوثيق ابن حبان هنا خلاف مذهبه الذي يصرح في بعض تعليقاته (1) بأن ابن حبان يذكر في " الثقات من لم يطلع على جرح فيه، فلا يخرجه ذلك عن حد الجهالة عند الآخرين، وقد رد شذوذ ابن حبان هذا في (لسان الميزان)
وهذا من تلاعبه في هذا العلم الشريف، فتراه يعتد بتوثيق ابن حبان حيث كان له هوى في ذلك كهذا الحديث، وحديث آخر في التوسل كنت خرجته فيما تقدم برقم (23) ، ولا يعتد به حين يكون هو اه على نقيضه كحديث الأوعال وغيره، وقد شرحت حاله هذا هناك بما فيه كفاية. ولكن لابد لي هنا من أن أنقل كلامه في راوي حديث الأوعال وهو عبد الله بن عميرة راويه عن العباس بن عبد المطلب، فهو تابعي كبير، لتتأكد من وجود التشابه التام بينه وبين الحارث بن عمرو الراوي للحديث عن معاذ، ومع ذلك يوثق هذا بذاك الأسلوب الملتوي، ويجهل ذاك وهو فيه على الصراط السوي! قال في " مقالاته " (ص 309) : " وقال مسلم في " الوحدان " (ص 14) : " انفرد سماك بن حرب بالرواية عن عبد الله بن عميرة ". فيكون ابن عميرة مجهول العين عنده، (يعني مسلما) لأن جهالة العين لا تزول إلا برواية ثقتين، (تأمل) وقال إبراهيم الحربي - أجل أصحاب أحمد - عن ابن عميرة لا أعرفه. وقال الذهبي في " الميزان " عن عبد الله بن عميرة: فيه جهالة
قلت: ثم وصفه الكوثري بأنه شيخ خيالي! وبأنه مجهول عينا وصفة! ونحوه قوله في " النكت الطريفة " (ص 101) وقد ذكر حديثا في سنده عبد الرحمن بن مسعود: " وهو مجهول. قال الذهبي: " لا يعرف " وإن ذكره ابن حبان في الثقات على قاعدته في التوثيق "! وقال في (قابوس) . " وإنما وثقه ابن حبان على طريقته في توثيق المجاهيل إذا لم يبلغه عنهم عنهم جرح، وهذا غاية التساهل (ص 48 منه)
فقابل كلامه هذا بالقاعدة التي وضعها من عند نفسه في قبول حديث التابعي الكبير حتى ولونص الأئمة على جهالته تزداد تأكدا من تلاعبه المشار إليه. نسأل الله السلامة. ولوكانت القاعدة الموضوعة صحيحة لكان قبول حديث ابن عميرة هذا أولى من حديث الحارث، لأنه روى عن العباس فهو تابعي كبير قطعا، ولذلك جعله ابن حجر من الطبقة الثانية، بينما الحارث إنما يروي عن بعض التابعين كما سبق، ولكن هكذا يفعل الهوى بصاحبه. نسأل الله العافية
8 - قال أخيرا: " وقد روى هذا الحديث عن أبي عون عن الحارث - أبو إسحاق الشيباني، وشعبة بن الحجاج المعروف بالتشدد في الرواية، والمعترف له بزوال الجهالة وصفا عن رجال يكونون في سند روايته "! قلت: فيه مؤاخذتان: الأولى: أن كون شعبة معروفا بالتشدد في الرواية لا يستلزم أن يكون كل شيخ من شيوخه ثقة، بله
من فوقهم، فقد وجد في شيوخه جمع من الضعفاء، وبعضهم ممن جزم الكوثري نفسه بضعفه! ولا بأس من أن أسمي هنا من تيسر لي منهم ذكره
1 - إبراهيم بن مسلم الهجري
أشعث بن سوار2
3 - ثابت بن هرمز
4 - ثوير بن أبي فاختة
5 - جابر الجعفي
6 - داود بن فراهيج
7 - داود بن يزيد الأودي
8 - عاصم بن عبيد الله (قال الكوثري في " النكت " (ص 74) : ضعيف لا يحتج به)
9 - عطاء بن أبي مسلم الخراساني
10 - علي بن زيد بن جدعان
11 - ليث بن أبي سليم
12 - مجالد بن سعيد: قال الكوثري في " النكت " (ص 63) : " ضعيف بالاتفاق " وضعف به حديث: " زكاة الجنين زكاة أمه "! ثم ضعف به فيه (ص 95) حديث " لعن الله المحلل والمحلل له "! فلم يتجه من تضعيفه إياه أنه من شيوخ شعبة! (1)
13 - مسلم الأعور
14 - موسى بن عبيدة
15 - يزيد بن أبي زياد
16 - يزيد بن عبد الرحمن الدالاني
17 - يعقوب بن عطاء
18 - يونس بن خباب
من أجل ذلك قالوا في لم المصطلح: وإذا روى العدل عمن سماه لم يكن تعديلا عند الأكثرين، وهو الصحيح كما قال النووي في " التدريب " (ص 208) وراجع له شرحه " التقريب " وإذا كان هذا في شيوخه فبالأولى أن لا يكون شيوخ شيوخه عدولا إلا إذا سموا، فكيف إذا لم يسموا؟!
الأخرى: قوله: " والمعترف له بزوال الجهالة.... ". أقول: إن كان يعني أن ذلك معترف به عند المحدثين، فقد كذب عليهم، فقد عرفت مما سردناه آنفا طائفة من الضعفاء من شيوخ شعبة مباشرة، فبالأولى أن يكون في شيوخ شيوخه من هو ضعيف أو مجهول، وكم من حديث رواه شعبة، ومع ذلك ضعفه العلماء بمن فوقه من مجهول أو ضعيف، من ذلك حديثه عن أبي التياح: حدثني شيخ عن أبي موسى مرفوعا بلفظ: " إذا أراد أحدكم أن يبول فليرتد لبوله موضعا
فضعفوه بجهالة شيخ أبي التياح كما سيأتي برقم (2320) ، ومن ذلك حديث " من أفطر يوما من رمضان من غير رخصة ... " الحديث. رواه شعبة بإسناده عن أبي المطوس عن أبي هريرة مرفوعا: فضعفه البخاري وغيره بجهالة أبي المطوس فراجع " الترغيب والترهيب " (2 / 74) ، و" المشكاة " (2013) ، و" نقد الكتاني " (35) . وإن كان يعني بذلك نفسه، أي أنه هو المعترف بذلك، فهو كاذب أيضا - مع ما فيه من التدليس والإيهام -، لأن طريقته في إعلال الأحاديث بالجهالة تناقض ذلك، وإليك بعض الأمثلة
1 - عبد الرحمن بن مسعود، صرح في " النكت الطريفة " (ص 101) بأنه " مجهول " مع أنه من رواية شعبة عنه بالواسطة! وقد قمت بالرد عليه عند ذكر حديثه الآتي برقم (2556) وبيان تناقضه، وإن كان الرجل فعلا مجهولا
2 - عمرو بن راشد الذي في حديث وابصة في الأمر بإعادة الصلاة لمن صلى وراء الصف وحده. قال الكوثري في " النكت " (ص 28) : " ليس معروفا بالعدالة فلا يحتج بحديثه ". مع أنه يرويه شعبة بإسناده عنه، وهو
مخرج في " صحيح أبي داود " (683) ، و" إرواء الغليل " (534) . وراجع تعليق أحمد شاكر على الترمذي (1 / 448 - 449)
3 - وكيع بن حدس الراوي عن أبي رزين العقيلي حديث كان في عماء ما فوقه هو اء، وما تحته هو اء ... " قال الكوثري في تعليقه على " الأسماء " (ص 407) : " مجهول الصفة ". مع أنه يعلم أن شعبة قد روى له حديثا آخر عند الطيالسي (1090) وأحمد (4 / 11) . فما الذي جعل هؤلاء الرواة مجهولين عند الكوثري، وجعل الحارث بن عمرو معروفا عنده وكلهم وقعوا في إسناد فيه شعبة؟! الحق، والحق أقول: إن هذا الرجل لا يخشى الله، فإنه يتبع هو اه انتصارا لمذهبه، فيبرم أمرا أو قاعدة من عند نفسه لينقضها في مكان آخر متجاوبا مع مذهبه سلبا وإيجابا. وفي ذلك من التضليل وقلب الحقائق ما لا يخفى ضرره على أهل العلم. نسأل الله العصمة من الهوى. وبعد، فقد أطلت النفس في الرد على هذا الرجل لبيان ما في كلامه من الجهل والتضليل نصحا للقراء وتحذيرا، فمعذرة إليهم
هذا ولا يهولنك اشتهار هذا الحديث عن علماء الأصول، واحتجاجهم به في إثبات القياس، فإن أكثرهم لا معرفة عندهم بالحديث ورجاله، ولا تمييز لديهم بين صحيحه وسقيمه، شأنهم في ذلك شأن الفقهاء بالفروع، إلا قليلا منهم، وقد مر بك كلام إمام الحرمين في هذا الحديث - وهو من هو في العلم بالأصول والفروع، فماذا يقال عن غيره ممن لا يساويه في ذلك بل لا يدانيه، كما رأت نقد الحافظ ابن طاهر إياه، ثم الحافظ ابن حجر من بعده، مع إنكاره على ابن طاهر سوء تعبيره في نقده. ثم وجدت لكل منهما موافقا، فقد نقل الشيخ عبد الوهاب السبكي في ترجمة الإمام من " طبقاته " عن الذهبي أنه قال فيه: " وكان أبو المعالي مع تبحره في الفقه وأصوله، لا يدري الحديث! ذكر في كتاب البرهان " حديث معاذ في القياس فقال: هو مدون في " الصحاح " متفق على صحته. كذا قال، وأنى له الصحة، ومداره على الحارث بن عمرو وهو مجهول، عن رجال من أهل حمص لا يدري من هم؟ عن معاذ
ثم تعقبه السبكي بنحو ما سبق من تعقب الحافظ لابن طاهر، ولكنه دافع عنه بوازع من التعصب المذهبي، لا فائدة كبرى من نقل كلامه وبيان ما فيه من التعصب، فحسبك أن تعلم أنه ذكر أن الحديث رواه أبو داود الترمذي، والفقهاء لا يتحاشون من إطلاق لفظ " الصحاح " عليها.
فكأن السبكي يقول: فللإمام أسوة بهؤلاء الفقهاء في هذا الإطلاق! فيقال له: أو لوكان ذلك أمرا منكرا عند العلماء بالحديث؟! وفي الوقت نفسه فقد تجاهل السبكي قول الإمام في الحديث " متفق على صحته "، فإنه خطأ محض لا سبيل إلى تبريره أو الدفاع عنه بوجه من الوجوه، ولذلك لم يدندن السبكي حوله ولو بكلمة.
ولكنه كان منصفا حين اعترف بضعف الحديث، وأن الإمام صحح غيره من الأحاديث الضعيفة فقال: " وما هذا الحديث وحده ادعى الإمام صحته وليس بصحيح، بل قد ادعى ذلك في أحاديث غيره، ولم يوجب ذلك عندنا الغض منه
وأقول أخيرا: إن وصف الرجل بما فيه ليس من الغض منه في شيء، بل ذلك من باب النصح للمسلمين، وبسبب تجاهل هذه الحقيقة صار عامة المسلمين لا يفرقون بين الفقيه والمحدث، فيتوهمون أن كل فقيه محدث، ويستغربون أشد الاستغراب حين يقال لهم الحديث الفلاني ضعيف عند المحدثين وإن احتج به الفقهاء، والأمثلة على ذلك كثيرة جدا، تجدها مبثوثة في تضاعيف هذه " السلسلة "، وحسبك الآن هذا الحديث الذي بين يديك
وجملة القول أن الحديث لا يصح إسناده لإرساله، وجهالة راويه الحارث بن عمرو، فمن كان عنده من المعرفة بهذا العلم الشريف، وتبين له ذلك فبها، وإلا فحسبه أن يستحضر أسماء الأئمة الذين صرحوا بتضعيفه، فيزول الشك من قلبه، وها أنها ذا أسردها وأقربها إلى القراء الكرام
1 - البخاري
2 - الترمذي
3 - العقيلي
4 - الدارقطني
5 - ابن حزم
6 - ابن طاهر
7 - ابن الجوزي
8 - الذهبي
9 - السبكي
10 - ابن حجر كل هؤلاء - وغيرهم ممن لا نستحضرهم - قد ضعفوا هذا الحديث، ولن يضل بإذن الله من اهتدى بهديهم، كيف وهم أولى الناس بالقول المأثور: " هم القوم لا يشقى جليسهم ". هذا ولما أنكر ابن الجوزي صحة الحديث أتبع ذلك قوله: " وإن كان معناه صحيحا " كما تقدم
فأقول: هو صحيح المعنى فيما يتعلق بالاجتهاد عند فقدان النص، وهذا مما لا خلاف فيه، ولكنه ليس صحيح المعنى عندي فيما يتعلق بتصنيف السنة مع القرآن وإنزاله إياه معه، منزلة الاجتهاد منهما. فكما أنه لا يجوز الاجتهاد مع وجود النص في الكتاب والسنة، فكذلك لا يأخذ بالسنة إلا إذا لم يجد في الكتاب
وهذا التفريق بينهما مما لا يقول به مسلم بل الواجب النظر في الكتاب والسنة معا وعدم التفريق بينهما، لما علم من أن السنة تبين مجمل القرآن، وتقيد مطلقه، وتخصص عمومه كما هو معلوم. ومن رام الزيادة في بيان هذا فعليه برسالتي " منزلة السنة في الإسلام وبيان أنه لا يستغنى عنها بالقرآن ". وهي مطبوعة، وهي الرسالة الرابعة من " رسائل الدعوة
السلفية ". والله ولي التوفيق

الحمد لله الذي وفق رسول رسول الله لما يرضي رسول الله منكر - اخرجه ابو داود الطيالسي في " مسنده " (1 / 286 - منحة المعبود) وكذا احمد (5 / 230، 242) وابو داود في " السنن " (2 / 116) والترمذي (2 / 275) وابن سعد في " الطبقات " (2 / 347 و584 - طبع بيرو ت) والعقيلي في " الضعفاء " (76 - 77) والخطيب في " الفقيه والمتفقه " (93 / 1 و112 - 113 مخطوطة الظاهرية، 154 - 155 و188 - 189 - مطبوعة الرياض) والبيهقي في " سننه " (10 / 114) وابن عبد البر في " جامع بيان العلم " (2 / 55 - 56) وابن حزم في " الاحكام " (6 / 26، 35، 7 / 111 - 112) من طرق عن شعبة عن ابي العون عن الحارث بن عمرو - اخي المغيرة بن شعبة - عن اصحاب معاذ بن جبل عن معاذ بن جبل: ان النبي صلى الله عليه وسلم حين بعثه الى اليمن قال له: كيف تقضي اذا عرض لك قضاء؟ قال: اقضي بما في كتاب الله. قال: فان لم يكن في كتاب الله؟ قال: بسنة رسول الله، قال: فان لم يكن في سنة رسول الله؟ قال: اجتهد رايي لا الو، قال: فضرب رسول الله صلى الله عليه وسلم صدره، وقال: فذكره. وقال العقيلي: " قال البخاري: لا يصح، ولا يعرف الا مرسلا قلت: ونصه في " التاريخ " (2 / 1 / 275) : " لا يصح، ولا يعرف الا بهذا، مرسل ". قلت: يعني ان الصواب انه عن اصحاب معاذ بن جبل ليس فيه " عن معاذ وقال الذهبي: " قلت: تفرد به ابو عون محمد بن بن عبيد الله الثقفي عن الحارث بن عمرو الثقفي اخوالمغيرة بن شعبة، وما روى عن الحارث غير ابي عون فهو مجهول، وقال الترمذي: ليس اسناده عندي بمتصل ". قلت: ولذلك جزم الحافظ في " التقريب " بان الحارث هذا مجهول. ثم رواه احمد (5 / 236) وابو داود وابن عساكر (16 / 310 / 2) من طريقين اخرين عن شعبة، الا انهما قالا: " عن رجال من اصحاب معاذ ان رسول الله لما اراد ان يبعث معاذا الى اليمن ". الحديث. لم يذكر: " عن معاذ قلت: هذا مرسل وبه اعله البخاري كما سبق، وكذا الترمذي حيث قال عقبه: " هذا حديث لا نعرفه الا من هذا الوجه، وليس اسناده عندي بمتصل ". واقره الحافظ العراقي في " تخريج احاديث منهاج الاصول " للبيضاوي (ق 76 / 1) . قلت: فقد اعل هذا الحديث بعلل ثلاث الاولى: الارسال هذا الثانية: جهالة اصحاب معاذ. الثالثة: جهالة الحارث بن عمرو قال ابن حزم: " هذا حديث ساقط، لم يرو هـ احد من غير هذا الطريق، واول سقوطه انه عن قوم مجهولين، لم يسموا، فلا حجة فيمن لا يعرف من هو؟ وفيه الحارث بن عمرو، وهو مجهول لا يعرف من هو؟ ولم يات هذا الحديث قط من غير طريقه ". وقال في موضع اخر بعد ان نقل قول البخاري فيه: " لا يصح وهذا حديث باطل لا اصل له ". وقال الحافظ في " التلخيص " (ص 401) عقب قول البخاري المذكور: " وقال الدارقطني في " العلل ": رواه شعبة عن ابي عون هكذا. وارسله ابن مهدي وجماعات عنه. والمرسل اصح. قال ابو داود (يعني الطيالسي) : واكثر ما كان يحدثنا شعبة عن اصحاب معاذ ان رسول الله. وقال مرة: عن معاذ. وقال ابن حزم: " لا يصح لان الحارث مجهول، وشيوخه لا يعرفون، قال: وادعى بعضهم فيه التواتر، وهذا كذب، بل هو ضد التواتر، لانه ما رواه احد غير ابي عون عن الحارث، فكيف يكون متواترا؟! ". وقال عبد الحق: " لا يسند، ولا يوجد من وجه صحيح وقال ابن الجوزي في " العلل المتناهية ": " لا يصح وان كان الفقهاء كلهم يذكرونه في كتبهم ويعتمدون عليه، وان كان معناه صحيحا ". وقال ابن طاهر في تصنيف له مفرد، في الكلام على هذا الحديث: " اعلم انني فحصت عن هذا الحديث في المسانيد الكبار والصغار، وسالت عنه من لقيته من اهل العلم بالنقل، فلم اجد غير طريقين: احدهما: طريق شعبة. والاخرى: عن محمد بن جابر عن اشعث بن ابي الشعثاء عن رجل من ثقيف عن معاذ وكلاهما لا يصح. قال: واقبح ما رايت فيه قول امام الحرمين في كتاب " اصول الفقه ": " والعمدة في هذا الباب على حديث معاذ " قال: " وهذه زلة منه، ولوكان عالما بالنقل لما ارتكب هذه الجهالة "، (قال الحافظ رحمه الله تعالى) : " قلت: اساء الادب على امام الحرمين، وكان يمكنه ان يعبر بالين من هذه العبارة مع كلام امام الحرمين اشد مما نقله عنه! فانه قال: " والحديث مدون في " الصحاح " متفق على صحته (!) لا يتطرق اليه التاويل كذا قال رحمه الله، وقد اخرجه الخطيب في كتاب " الفقيه والمتفقه " من رواية عبد الرحمن بن غنم عن معاذ بن جبل، فلو كان الاسناد الى عبد الرحمن ثابتا لكان كافيا في صحة الحديث ". قلت: لم يخرجه الخطيب، بل علقه (ص 189) بقوله: " وقد قيل ان عبادة بن نسي رواه عن عبد الرحمن بن غنم عن معاذ. وهذا اسناد متصل ورجاله معروفون بالثقة قلت: وهيهات، فان في السند اليه كذابا وضاعا، فقد اورده ابن القيم في " تهذيب السنن " تعليقا على هذا الحديث فقال (5 / 213) : " وقد اخرجه ابن ماجه في " سننه " من حديث يحيى بن سعيد الاموي عن محمد بن سعيد بن حسان عن عبادة بن نسي عن عبد الرحمن بن غنم: حدثنا معاذ بن جبل قال: " لما بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم الى اليمن قال: لا تقضين ولا تفصلن الا بما تعلم، وان اشكل عليك امر فقف حتى تبينه، او تكتب الي فيه ". وهذا اجود اسنادا من الاول، ولا ذكر للراي فيه ". قلت: كيف يكون اجود اسنادا من الاول وفيه محمد بن سعيد بن حسان وهو الدمشقي المصلوب؟! قال في " التقريب ": " قال احمد بن صالح: وضع اربعة الاف حديث، وقال احمد: قتله المنصور على الزندقة وصلبه ". وقد سبق نحوه (ص 244) عن غيره من الاىمة قلت: ولعله اشتبه على ابن القيم رحمه الله بمحمد بن سعيد بن حسان الحمصي، وليس به، فانه متاخر عن المصلوب، ولم يذكروا له رواية عن ابن نسي، ولا في الرواة عنه يحيى بن سعيد الاموي، وانما ذكروا ذلك في الاول، على انه مجهول كما قال الحافظ، وايضا فان هذا ليس من رجال ابن ماجه، وانما ذكروه تمييزا بينه وبين الاول. والحديث في " المقدمة " من سنن " ابن ماجه " (1 / 28) ، وقال البوصيري في " الزواىد " (ق 5 / 2) : " هذا اسناد ضعيف، محمد بن سعيد هو المصلوب اتهم بوضع الحديث على ان قول ابن القيم: " ولا ذكر للراي فيه ". انما هو بالنظر الى لفظ رواية ابن ماجه، والا فقد اخرجه ابن عساكر في " تاريخه " (16 / 310 / 1) من طريق المصلوب هذا بلفظ: " قال معاذ: يا رسول الله: ارايت ما سىلت عنه مما لم اجده في كتاب الله ولم اسمعه منك؟ قال: اجتهد رايك ثم رواه ابن عساكر (16 / 310 / 2) من طريق سليمان الشاذكوني: اخبرنا الهيثم بن عبد العفار عن سبرة بن معبد عن عبادة بن نسي به بلفظ: " اجتهد رايك، فان الله اذا علم منك الحق وفقك للحق ". والهيثم هذا قال ابن مهدي: " يضع الحديث ". والشاذكوني كذاب قلت: واجاب ابن القيم عن العلة الثانية، وهي جهالة اصحاب معاذ بقوله في " اعلام الموقعين " (1 / 243) : " واصحاب معاذ وان كانوا غير مسمين فلا يضره ذلك، لانه يدل على شهرة الحديث، وشهرة اصحاب معاذ بالعلم والدين والفضل والصدق بالمحل الذي لا يخفى.... " اقول: فهذا جواب صحيح لو ان علة الحديث محصورة بهذه العلة، اما وهناك علتان اخريان قاىمتان، فالحديث ضعيف على كل حال، ومن العجيب ان ابن القيم رحمه الله لم يتعرض للجواب عنهما مطلقا. فكانه ذهل عنهما لانشغاله بالجواب عن هذه العلة والله اعلم ثم تبين لي ان ابن القيم اتبع في ذلك كله الخطيب البغدادي في " الفقيه والمتفقه " (113 / - 2 من المخطوطة، 189 - من المطبوعة) ، وهذا اعجب، ان يخفى على مثل الخطيب في حفظه ومعرفته بالرجال علة هذا الحديث القادحة (تنبيه) اورد ابن الاثير هذا الحديث في " جامع الاصول " (10 / 551) عن الحارث بن عمرو باللفظ الذي ذكرته، ثم قال: " وفي رواية: " ان معاذا سال رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله بما اقضي؟ قال: بكتاب الله، قال: فان لم اجد؟ قال: بسنة رسول الله، قال فان لم اجد، قال استدق الدنيا، وتعظم في عينيك ما عند الله واجتهد رايك فيسددك الله للحق. ثم قال عقبه: " واخرجه ابو داود قلت: وليست عنده هذه الرواية، ولا رايت احدا عزاها اليه غيره، ولا وجدت لها اصلا في شيء من المصادر التي وقفت عليها، فهي منكرة شديدة النكارة، لمخالفتها لجميع الروايات المرسلة منها والموصولة، وجميعها معلة بالجهالة. ومر على هذا العزولابي داود المحقق الفاضل لـ " جامع الاصول " (10 / 177 - 178 - طبعة دمشق) دون اي تعليق او تحقيق تنبيه اخر: ذهب الشيخ زاهد الكوثري المعروف في مقال له الى تقوية هذا الحديث، وليس ذلك بغريب منه ما دام انه قد سبق اليه، ولكن الغريب حقا انه سلك في سبيل ذلك طريقا معوجة، لا يعرفها اهل الجرح والتعديل، فرايت ان انقل خلاصة كلامه فيه، ثم ارد عليه وابين خطاه وزغله قال في " مقالاته " (ص 60 - 61) : " وهذا الحديث رواه عن اصحاب معاذ الحارث بن عمرو الثقفي، وليس هو مجهول العين بالنظر الى ان شعبة بن الحجاج يقول عنه: انه ابن اخي المغيرة بن شعبة، ولا مجهول الوصف من حيث انه من كبار التابعين، في طبقة شيوخ ابي عون الثقفي المتوفى سنة 116، ولم ينقل اهل الشان جرحا مفسرا في حقه، ولا حاجة في الحكم بصحة خبر التابعي الكبير الى ان ينقل توثيقه عن اهل طبقته، بل يكفي في عدالة وقبول روايته الا يثبت فيه جرح مفسر من اهل الشان، لما ثبت من بالغ الفحص على المجروحين من رجال تلك الطبقة. اما من بعدهم فلا تقبل روايتهم ما لم تثبت عدالتهم وهكذا والحارث هذا ذكره ابن حبان في " الثقات " وان جهله العقيلي وابن الجارود وابو العرب، وقد روى هذا الحديث عن ابي عون عن الحارث - ابو اسحاق الشيباني وشعبة بن الحجاج المعروف بالتشدد في الرواية والمعترف له بزوال الجهالة وصفا عن رجال يكونون في سند روايته قلت: وفي هذا الكلام من الاخطاء المخالفة لما عليه علماء الحديث، ومن المغالطات والدعاوى الباطلة، ما لا يعرفه الا من كان متمكنا في هذا العلم الشريف، وبيانا لذلك اقول 1 - قوله: " ليس هو مجهول العين بالنظر الى ان شعبة يقول عنه ابن اخي المغيرة فاقول: بل هو مجهول وتوضيحه من ثلاثة وجوه الاول: ان احدا من علماء الحديث - فيما علمت - لم يقل ان الراوي المجهول اذا عرف اسم جده بله اسم اخي جده خرج بذلك عن جهالة العين الى جهالة الحال او الوصف. فهي مجرد دعوى من هذا الجامد في الفقه، والمجتهد في الحديث دون مراعاة منه لقواعد الاىمة، واقوالهم الصريحة في خلاف ما يذهب اليه! فانهم اطلقوا القول في ذلك، قال الخطيب: " المجهول عند اهل الحديث من لم يعرفه العلماء ولا يعرف حديثه الا من جهة واحد الثاني: انه خلاف ما جرى عليه اىمة الجرح والتعديل في تراجم المجهولين عينا، فقد عرفت مما سبق ذكره في ترجمة الحارث هذا انه مجهول عند الحافظين الذهبي والعسقلاني وكفى بهما حجة، لاسيما وهما مسبوقون الى ذلك من ابن حزم وغيره ممن ذكرهم الكوثري نفسه كما رايت! ومن الامثلة الاخرى على ذلك ذهيل بن عوف بن شماخ التميمي اشار الذهبي الى جهالته بقوله في " الميزان ما روى عنه سوى سليط بن عبد الله الطهو ي " وصرح بذلك الحافظ فقال في " التقريب ": " مجهول من الثالثة ومن ذلك ايضا زريق بن سعيد بن عبد الرحمن المدني، اشار الذهبي ايضا الى جهالته وقال الحافظ: " مجهول ". والامثلة على ذلك تكثر، وفيما ذكرنا كفاية، فانت ترى ان هولاء قد عرف اسم جد كل منهم، ومع ذلك حكموا عليهم بالجهالة الثالث: قوله: " شعبة يقول عنه: انه ابن اخي المغيرة بن شعبة ". فاقول: ليس هذا من قول شعبة، وانما هو من قول ابي العون كما مر في اسناد الحديث، وشعبة انما هو راوعنه، وهو في هذه الحالة لا ينسب اليه قول ما جاء في روايته، حتى ولوصحت عنده لانه قد يقول بخلاف ذلك، ولذلك جاء في علم المصطلح، " وعمل العالم وفتياه على وفق حديث رواه ليس حكما بصحته، ولا مخالفته قدح في صحته ولا في رواته ". كذا في " تقريب النووي " (ص 209 بشرح التدريب) . وكان الكوثري تعمد هذا التحريف ونسبة هذا القول لشعبة - وليس له - ليقوي به دعوى كون الحارث بن عمرو هذا ابن اخي المغيرة، لان ابا العون - واسمه محمد بن عبيد الله ابن الثقفي الاعور وان كان ثقة، فانه لا يزيد على كونه راويا من رواة الحديث، واما شعبة فامام نقاد. على اننا لوسلمنا بانه من قوله، فذلك مما لا يفيد الكوثري شيىا من رفع الجهالة كما سبق بيانه 2 - قوله: " ولا مجهول الوصف من حيث انه من كبار التابعين في طبقة شيوخ ابي عون فاقول: الجواب من وجهين الاول: بطلان هذه الدعوى من اصلها، لان شيوخ ابي عون ليسوا جميعا من كبار التابعين حتى يلحق بهم الحارث هذا، فان من شيوخه ابا الزبير المكي وقد مات سنة (126) ، ولذلك جعله الحافظ من الطبقة الرابعة، وهم الذين جل روايتهم عن كبار التابعين، ومن شيوخه والده عبيد الله بن سعيد، ولا تعرف له وفاة، لكن ذكره ابن حبان في " اتباع التابعين "، وقال: يروي المقاطيع قال الحافظ: فعلى هذا فحديثه عن المغيرة مرسل. يعني منقطع، ولذلك جعله في " التقريب " من الطبقة السادسة، وهم من صغار التابعين الذين لم يثبت لهم لقاء احد من الصحابة كابن جريج. اذا عرفت هذا فادعاء ان الحارث بن عمرو من كبار التابعين افتىات على العلم، وتخرص لا يصدر من مخلص، والصواب ان يذكر ذلك على طريق الاحتمال، فيقال: يحتمل انه من كبار التابعين، كما يحتمل انه من صغارهم فان قيل: فايهما الارجح لديك؟ قلت: اذا كان لابد من اتباع اهل الاختصاص في هذا العلم، وترك الاجتهاد فيما لا سبيل لاحد اليوم اليه، فهو انه من صغار التابعين، فقد اورده الامام البخاري في " التاريخ الصغير " في فصل " من مات ما بين الماىة الى العشرة " (ص 126 - هند) واشار الي حديثه هذا وقال: " ولا يعرف الحارث الا بهذا، ولا يصح ولذلك جعله الحافظ في " التقريب " من الطبقة السادسة التي لم يثبت لاصحابها لقاء احد من الصحابة فقال: " مجهول، من السادسة ". فان قيل: ينافي هذا ما ذكره الكوثري (ص 62) ان لفظ شعبة في رواية علي بن الجعد قال: سمعت الحارث بن عمرو ابن اخي المغيرة بن شعبة يحدث عن اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم عن معاذ بن جبل. كما اخرجه ابن ابي خيثمة، في " تاريخه " ومثله في " جامع بيان العلم " لابن عبد البر. فهذا صريح في انه لقي جمعا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فهو تابعي فاقول: نعم والله ان هذه الرواية لتنافي ذلك اشد المنافاة، ولكن يقال للكوثري وامثاله: اثبت العرش ثم انقش، فانها رواية شاذة، تفرد بها علي بن الجعد مخالفا في ذلك لساىر الثقات الذين لم يذكروا رسول الله صلى الله عليه وسلم مضافا الى (الاصحاب) ، وانما قالوا: اصحاب معاذ كما تقدم في الاسناد عند جميع من عزونا الحديث اليهم، الا في رواية لابن عبد البر، وهي من روايته عن احمد بن زهير قال: حدثنا علي بن الجعد.... واحمد بن زهير هو ابن ابي خيثمة. واليك اسماء الثقات المخالفين لابن الجعد في روايته تلك الاول: ابو داود الطيالسي نفسه في " مسنده " وعنه البيهقي الثاني: محمد بن جعفر عند احمد والترمذي الثالث: عفان بن مسلمة عند احمد ايضا الرابع: يحيى بن سعيد القطان، عند ابي داود وابن عبد البر في الرواية الاخرى الخامس: وكيع بن الجراح عند الترمذي السادس: عبد الرحمن بن مهدي عند الترمذي السابع: يزيد بن هارون عند ابن سعد. الثامن: ابو الوليد الطيالسي عند ابن سعد فهولاء ثمانية من الثقات وكلهم اىمة اثبات، لاسيما وفيهم يحيى القطان الحافظ المتقن لوان بعضهم خالفوا ابن الجعد لكان كافيا في الجزم بوهمه في نسبته (الاصحاب) الى الرسول صلى الله عليه وسلم لا الى معاذ، فكيف بهم مجتمعين؟! ومثل هذا لا يخفى على الكوثري، ولكنه يتجاهل ذلك عمدا لغاية في نفسه، والا فان لم تكن رواية ابن الجعد هذه شاذة فليس في الدنيا ما يمكن الحكم عليه بالشذوذ، ولذلك لم يعرج على هذه الرواية كل من ترجم للحارث هذا فثبت مما تقدم ان الحارث بن عمرو هو من صغار التابعين، وليس من كبارهم، وقد صرح بسماعه من جابر بن سمرة في رواية الطيالسي في " مسنده " (216) عن شعبة عنه والاخر: هب انه من كبار التابعين، فذلك لا ينفي عنه جهالة العين فضلا عن جهالة الوصف عند احد من اىمة الجرح والتعديل، بل ان سيرتهم في ترجمتهم للرواة يويد ما ذكرنا، فهذا مثلا حريث بن ظهير من الطبقة الثانية عند الحافظ، وهي طبقة كبار التابعين، فانه مع ذلك اطلق عليه الحافظ بانه مجهول. وسبقه الى ذلك الامام الذهبي فقال: " لا يعرف ". ومثله حصين بن نمير الكندي الحمصي قال الحافظ: " يروي عن بلال، مجهول من الثانية ". ونحوه خالد بن وهبان ابن خالة ابي ذر قال الحافظ: " مجهول، من الثالثة 3 - قوله: " ولم ينقل اهل الشان جرحا مفسرا في حقه قلت: لا ضرورة الى هذا الجرح، لانه ليس بمثله فقط يثبت الجرح، بل يكفي ان يكون جرحا غير مفسر اذا كان صادرا من امام ذي معرفة بنقد الرواة، ولم يكن هناك توثيق معتمر معارض له، كما هو مقرر في علم المصطلح، فمثل هذا الجرح مقبول، لا يجوز رفضه، ومن هذا القبيل وصفه بالجهالة، لان الجهالة علة في الحديث تستلزم ضعفه، وقد عرفت انه مجهول عند جمع من الاىمة النقاد ومنهم الامام البخاري، فاغنى ذلك عن الجرح المفسر، وثبت ضعف الحديث 4 - قوله: " ولا حاجة في الحكم بصحة خبر التابعي الكبير الى ان ينقل توثيق عن اهل طبقته ". فاقول: فيه امور اولا: ان الحارث هذا لم يثبت انه تابعي كبير كما تقدم فانهار قوله من اصله وثانيا: انه لا قاىل بان الراوي سواء كان تابعيا او ممن دونه بحاجة الى ان ينقل توثيقه عن اهل طبقته، بل يكفي في ذلك ان يوثقه امام من اىمة الجرح والتعديل سواء كان من طبقته او ممن دونها، فلما كان الحارث هذا لم يوثقه احد ممن يوثق بتوثيقه بل جهلوه فقد سقط حديثه 5 - قوله: " بل يكفي في عدالته.... (الى قوله) من رجال تلك الطبقة ". قلت: هذه مجرد دعوى، فهي لذلك ساقطة الاعتبار، فكيف وهي مخالفة للشرط الاول من شروط الحديث الصحيح: " ما رواه عدل ضابط ... " فلو سلمنا ان عدالته تثبت بذلك، فكيف يثبت ضبطه وليس له من الحديث الا القليل بحيث لا يمكن سبره وعرضه على احاديث الثقات ليحكم له بالضبط او بخلافه، او بانه وسط بين ذلك. كما هو طريق من طرق الاىمة النقاد في نقد الرواة الذين لم يرو فيهم جرح او تعديل ممن قبلهم من الاىمة ويكفي في ابطال هذا القول مع عدم وروده في " علم المصطلح " انه مباين لما جاء فيه: ان اقل ما يرفع الجهالة رواية اثنين مشهور ين كما تقدم عن الخطيب. ولما تعقبه بعضهم بان البخاري روى عن مرداس الاسلمي، ومسلما عن ربيعة بن كعب الاسلمي ولم يرو عنهما غير واحد رده النووي في " التقريب " بقوله (ص 211) : " والصواب نقل الخطيب، ولا يصح الرد عليه بمرداس وربيعة فانهما صحابيان مشهور ان، والصحابة كلهم عدول وايده السيوطي في " التدريب " فقال عقبه: " فلا يحتاج الى رفع الجهالة عنهم بتعداد الرواة، قال العراقي: هذا الذي قاله النووي متجه اذا ثبتت الصحبة، ولكن بقي الكلام في انه هل تثبت الصحبة برواية واحد عنه اولا تثبت الا برواية اثنين عنه، وهو محل نظر واختلاف بين اهل العلم، والحق انه ان كان معروفا بذكره في الغزوات او في من وفد من الصحابة او نحوذلك فانه تثبت صحبته قلت: فتامل كلام العراقي هذا يتبين لك بطلان قول الكوثري، لانه تساهل في اثبات عدالة التابعي الكبير فلم يشترط فيه ما اشترطه العراقي في اثبات الصحبة المستلزمة لثبوت العدالة! فانه اشترط مع رواية الواحد عنه ان يكون معروفا بذكره في الغزوات او الوفود. وهذا ما لم يشترط الكوثري مثله في التابعي فاعتبروا يا اولي الابصار. ولعله قد وضح لك انه لا فرق بين التابعي الكبير ومن دونه في انه لا تقبل روايتهم ما لم تثبت عدالتهم. وتثبت العدالة بتنصيص عدلين عليها او بالاستفاضة. كما هو معلوم 6 - قال: " اما من بعدهم فلا تقبل روايتهم ما لم تثبت عدالتهم وهكذا ". قلت: بل والتابعي الكبير كذلك كما حققناه في الفقرة السابقة 7 - قال: " والحارث هذا ذكره ابن حبان في " الثقات "، وان جهله العقيلي وابن الجارود وابو العرب ". قلت: فيه امران الاول: انه تغافل عن اىمة اخرين جهلوه، منهم الامام البخاري والذهبي والعسقلاني وغرضه من ذلك واضح وهو الحط من شان هذا التجهيل والاخر: اعتداده بتوثيق ابن حبان هنا خلاف مذهبه الذي يصرح في بعض تعليقاته (1) بان ابن حبان يذكر في " الثقات من لم يطلع على جرح فيه، فلا يخرجه ذلك عن حد الجهالة عند الاخرين، وقد رد شذوذ ابن حبان هذا في (لسان الميزان) وهذا من تلاعبه في هذا العلم الشريف، فتراه يعتد بتوثيق ابن حبان حيث كان له هوى في ذلك كهذا الحديث، وحديث اخر في التوسل كنت خرجته فيما تقدم برقم (23) ، ولا يعتد به حين يكون هو اه على نقيضه كحديث الاوعال وغيره، وقد شرحت حاله هذا هناك بما فيه كفاية. ولكن لابد لي هنا من ان انقل كلامه في راوي حديث الاوعال وهو عبد الله بن عميرة راويه عن العباس بن عبد المطلب، فهو تابعي كبير، لتتاكد من وجود التشابه التام بينه وبين الحارث بن عمرو الراوي للحديث عن معاذ، ومع ذلك يوثق هذا بذاك الاسلوب الملتوي، ويجهل ذاك وهو فيه على الصراط السوي! قال في " مقالاته " (ص 309) : " وقال مسلم في " الوحدان " (ص 14) : " انفرد سماك بن حرب بالرواية عن عبد الله بن عميرة ". فيكون ابن عميرة مجهول العين عنده، (يعني مسلما) لان جهالة العين لا تزول الا برواية ثقتين، (تامل) وقال ابراهيم الحربي - اجل اصحاب احمد - عن ابن عميرة لا اعرفه. وقال الذهبي في " الميزان " عن عبد الله بن عميرة: فيه جهالة قلت: ثم وصفه الكوثري بانه شيخ خيالي! وبانه مجهول عينا وصفة! ونحوه قوله في " النكت الطريفة " (ص 101) وقد ذكر حديثا في سنده عبد الرحمن بن مسعود: " وهو مجهول. قال الذهبي: " لا يعرف " وان ذكره ابن حبان في الثقات على قاعدته في التوثيق "! وقال في (قابوس) . " وانما وثقه ابن حبان على طريقته في توثيق المجاهيل اذا لم يبلغه عنهم عنهم جرح، وهذا غاية التساهل (ص 48 منه) فقابل كلامه هذا بالقاعدة التي وضعها من عند نفسه في قبول حديث التابعي الكبير حتى ولونص الاىمة على جهالته تزداد تاكدا من تلاعبه المشار اليه. نسال الله السلامة. ولوكانت القاعدة الموضوعة صحيحة لكان قبول حديث ابن عميرة هذا اولى من حديث الحارث، لانه روى عن العباس فهو تابعي كبير قطعا، ولذلك جعله ابن حجر من الطبقة الثانية، بينما الحارث انما يروي عن بعض التابعين كما سبق، ولكن هكذا يفعل الهوى بصاحبه. نسال الله العافية 8 - قال اخيرا: " وقد روى هذا الحديث عن ابي عون عن الحارث - ابو اسحاق الشيباني، وشعبة بن الحجاج المعروف بالتشدد في الرواية، والمعترف له بزوال الجهالة وصفا عن رجال يكونون في سند روايته "! قلت: فيه مواخذتان: الاولى: ان كون شعبة معروفا بالتشدد في الرواية لا يستلزم ان يكون كل شيخ من شيوخه ثقة، بله من فوقهم، فقد وجد في شيوخه جمع من الضعفاء، وبعضهم ممن جزم الكوثري نفسه بضعفه! ولا باس من ان اسمي هنا من تيسر لي منهم ذكره 1 - ابراهيم بن مسلم الهجري اشعث بن سوار2 3 - ثابت بن هرمز 4 - ثوير بن ابي فاختة 5 - جابر الجعفي 6 - داود بن فراهيج 7 - داود بن يزيد الاودي 8 - عاصم بن عبيد الله (قال الكوثري في " النكت " (ص 74) : ضعيف لا يحتج به) 9 - عطاء بن ابي مسلم الخراساني 10 - علي بن زيد بن جدعان 11 - ليث بن ابي سليم 12 - مجالد بن سعيد: قال الكوثري في " النكت " (ص 63) : " ضعيف بالاتفاق " وضعف به حديث: " زكاة الجنين زكاة امه "! ثم ضعف به فيه (ص 95) حديث " لعن الله المحلل والمحلل له "! فلم يتجه من تضعيفه اياه انه من شيوخ شعبة! (1) 13 - مسلم الاعور 14 - موسى بن عبيدة 15 - يزيد بن ابي زياد 16 - يزيد بن عبد الرحمن الدالاني 17 - يعقوب بن عطاء 18 - يونس بن خباب من اجل ذلك قالوا في لم المصطلح: واذا روى العدل عمن سماه لم يكن تعديلا عند الاكثرين، وهو الصحيح كما قال النووي في " التدريب " (ص 208) وراجع له شرحه " التقريب " واذا كان هذا في شيوخه فبالاولى ان لا يكون شيوخ شيوخه عدولا الا اذا سموا، فكيف اذا لم يسموا؟! الاخرى: قوله: " والمعترف له بزوال الجهالة.... ". اقول: ان كان يعني ان ذلك معترف به عند المحدثين، فقد كذب عليهم، فقد عرفت مما سردناه انفا طاىفة من الضعفاء من شيوخ شعبة مباشرة، فبالاولى ان يكون في شيوخ شيوخه من هو ضعيف او مجهول، وكم من حديث رواه شعبة، ومع ذلك ضعفه العلماء بمن فوقه من مجهول او ضعيف، من ذلك حديثه عن ابي التياح: حدثني شيخ عن ابي موسى مرفوعا بلفظ: " اذا اراد احدكم ان يبول فليرتد لبوله موضعا فضعفوه بجهالة شيخ ابي التياح كما سياتي برقم (2320) ، ومن ذلك حديث " من افطر يوما من رمضان من غير رخصة ... " الحديث. رواه شعبة باسناده عن ابي المطوس عن ابي هريرة مرفوعا: فضعفه البخاري وغيره بجهالة ابي المطوس فراجع " الترغيب والترهيب " (2 / 74) ، و" المشكاة " (2013) ، و" نقد الكتاني " (35) . وان كان يعني بذلك نفسه، اي انه هو المعترف بذلك، فهو كاذب ايضا - مع ما فيه من التدليس والايهام -، لان طريقته في اعلال الاحاديث بالجهالة تناقض ذلك، واليك بعض الامثلة 1 - عبد الرحمن بن مسعود، صرح في " النكت الطريفة " (ص 101) بانه " مجهول " مع انه من رواية شعبة عنه بالواسطة! وقد قمت بالرد عليه عند ذكر حديثه الاتي برقم (2556) وبيان تناقضه، وان كان الرجل فعلا مجهولا 2 - عمرو بن راشد الذي في حديث وابصة في الامر باعادة الصلاة لمن صلى وراء الصف وحده. قال الكوثري في " النكت " (ص 28) : " ليس معروفا بالعدالة فلا يحتج بحديثه ". مع انه يرويه شعبة باسناده عنه، وهو مخرج في " صحيح ابي داود " (683) ، و" ارواء الغليل " (534) . وراجع تعليق احمد شاكر على الترمذي (1 / 448 - 449) 3 - وكيع بن حدس الراوي عن ابي رزين العقيلي حديث كان في عماء ما فوقه هو اء، وما تحته هو اء ... " قال الكوثري في تعليقه على " الاسماء " (ص 407) : " مجهول الصفة ". مع انه يعلم ان شعبة قد روى له حديثا اخر عند الطيالسي (1090) واحمد (4 / 11) . فما الذي جعل هولاء الرواة مجهولين عند الكوثري، وجعل الحارث بن عمرو معروفا عنده وكلهم وقعوا في اسناد فيه شعبة؟! الحق، والحق اقول: ان هذا الرجل لا يخشى الله، فانه يتبع هو اه انتصارا لمذهبه، فيبرم امرا او قاعدة من عند نفسه لينقضها في مكان اخر متجاوبا مع مذهبه سلبا وايجابا. وفي ذلك من التضليل وقلب الحقاىق ما لا يخفى ضرره على اهل العلم. نسال الله العصمة من الهوى. وبعد، فقد اطلت النفس في الرد على هذا الرجل لبيان ما في كلامه من الجهل والتضليل نصحا للقراء وتحذيرا، فمعذرة اليهم هذا ولا يهولنك اشتهار هذا الحديث عن علماء الاصول، واحتجاجهم به في اثبات القياس، فان اكثرهم لا معرفة عندهم بالحديث ورجاله، ولا تمييز لديهم بين صحيحه وسقيمه، شانهم في ذلك شان الفقهاء بالفروع، الا قليلا منهم، وقد مر بك كلام امام الحرمين في هذا الحديث - وهو من هو في العلم بالاصول والفروع، فماذا يقال عن غيره ممن لا يساويه في ذلك بل لا يدانيه، كما رات نقد الحافظ ابن طاهر اياه، ثم الحافظ ابن حجر من بعده، مع انكاره على ابن طاهر سوء تعبيره في نقده. ثم وجدت لكل منهما موافقا، فقد نقل الشيخ عبد الوهاب السبكي في ترجمة الامام من " طبقاته " عن الذهبي انه قال فيه: " وكان ابو المعالي مع تبحره في الفقه واصوله، لا يدري الحديث! ذكر في كتاب البرهان " حديث معاذ في القياس فقال: هو مدون في " الصحاح " متفق على صحته. كذا قال، وانى له الصحة، ومداره على الحارث بن عمرو وهو مجهول، عن رجال من اهل حمص لا يدري من هم؟ عن معاذ ثم تعقبه السبكي بنحو ما سبق من تعقب الحافظ لابن طاهر، ولكنه دافع عنه بوازع من التعصب المذهبي، لا فاىدة كبرى من نقل كلامه وبيان ما فيه من التعصب، فحسبك ان تعلم انه ذكر ان الحديث رواه ابو داود الترمذي، والفقهاء لا يتحاشون من اطلاق لفظ " الصحاح " عليها. فكان السبكي يقول: فللامام اسوة بهولاء الفقهاء في هذا الاطلاق! فيقال له: او لوكان ذلك امرا منكرا عند العلماء بالحديث؟! وفي الوقت نفسه فقد تجاهل السبكي قول الامام في الحديث " متفق على صحته "، فانه خطا محض لا سبيل الى تبريره او الدفاع عنه بوجه من الوجوه، ولذلك لم يدندن السبكي حوله ولو بكلمة. ولكنه كان منصفا حين اعترف بضعف الحديث، وان الامام صحح غيره من الاحاديث الضعيفة فقال: " وما هذا الحديث وحده ادعى الامام صحته وليس بصحيح، بل قد ادعى ذلك في احاديث غيره، ولم يوجب ذلك عندنا الغض منه واقول اخيرا: ان وصف الرجل بما فيه ليس من الغض منه في شيء، بل ذلك من باب النصح للمسلمين، وبسبب تجاهل هذه الحقيقة صار عامة المسلمين لا يفرقون بين الفقيه والمحدث، فيتوهمون ان كل فقيه محدث، ويستغربون اشد الاستغراب حين يقال لهم الحديث الفلاني ضعيف عند المحدثين وان احتج به الفقهاء، والامثلة على ذلك كثيرة جدا، تجدها مبثوثة في تضاعيف هذه " السلسلة "، وحسبك الان هذا الحديث الذي بين يديك وجملة القول ان الحديث لا يصح اسناده لارساله، وجهالة راويه الحارث بن عمرو، فمن كان عنده من المعرفة بهذا العلم الشريف، وتبين له ذلك فبها، والا فحسبه ان يستحضر اسماء الاىمة الذين صرحوا بتضعيفه، فيزول الشك من قلبه، وها انها ذا اسردها واقربها الى القراء الكرام 1 - البخاري 2 - الترمذي 3 - العقيلي 4 - الدارقطني 5 - ابن حزم 6 - ابن طاهر 7 - ابن الجوزي 8 - الذهبي 9 - السبكي 10 - ابن حجر كل هولاء - وغيرهم ممن لا نستحضرهم - قد ضعفوا هذا الحديث، ولن يضل باذن الله من اهتدى بهديهم، كيف وهم اولى الناس بالقول الماثور: " هم القوم لا يشقى جليسهم ". هذا ولما انكر ابن الجوزي صحة الحديث اتبع ذلك قوله: " وان كان معناه صحيحا " كما تقدم فاقول: هو صحيح المعنى فيما يتعلق بالاجتهاد عند فقدان النص، وهذا مما لا خلاف فيه، ولكنه ليس صحيح المعنى عندي فيما يتعلق بتصنيف السنة مع القران وانزاله اياه معه، منزلة الاجتهاد منهما. فكما انه لا يجوز الاجتهاد مع وجود النص في الكتاب والسنة، فكذلك لا ياخذ بالسنة الا اذا لم يجد في الكتاب وهذا التفريق بينهما مما لا يقول به مسلم بل الواجب النظر في الكتاب والسنة معا وعدم التفريق بينهما، لما علم من ان السنة تبين مجمل القران، وتقيد مطلقه، وتخصص عمومه كما هو معلوم. ومن رام الزيادة في بيان هذا فعليه برسالتي " منزلة السنة في الاسلام وبيان انه لا يستغنى عنها بالقران ". وهي مطبوعة، وهي الرسالة الرابعة من " رساىل الدعوة السلفية ". والله ولي التوفيق
হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ