পরিচ্ছেদঃ
৮৭৭। যেনার ভূমিষ্ট সন্তানগুলোকে কিয়ামতের দিন বানর ও শূকরের আকৃতিতে একত্রিত করা হবে।
হাদীছটি মুনকার।
এটি উকায়লী "আয-যোয়াফা" (১৩৯) গ্রন্থে যায়েদ ইবনু আয়ায হতে তিনি ঈসা ইবনু হাত্তান আর-রাকাশী হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আম্র হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ সাব্যস্ত করা যায় এমন কোন সূত্রে বর্ণিত হয়নি।
এই রাকাশী সম্পর্কে ইবনু আব্দিল বার বলেনঃ যাদের হাদীছ দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয় তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত নন।
হাদীছটি আমার নিকট সুস্পষ্ট মুনকার। কারণ এটি ইসলামী মূলের বিরোধী। তা হলো আল্লাহ তা’আলার বাণীঃوَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى “একজন অন্যজনের গুনাহ বহন করবে না” (সূরা আল-ইসরাঃ ১৫)।
যেনায় ভূমিষ্ট সন্তানরা এমন কী গুনাহ করলো যে, তাদেরকে বানর ও শূকরের আকৃতিতে একত্রিত করা হবে? আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে দয়া করুন যিনি বলেছেনঃ অপরাধ করলো অন্যজনে আর তোমাদের মাঝে আমাকে দেয়া হবে শাস্তি...!
হাদীছটি ইবনুল জাওযী “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে উকায়লীর সূত্রে বর্ণনা করে (৩/১০৯) বলেছেনঃ এটি বানোয়াট, এর কোন ভিত্তি নেই।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” (১৯৭১) গ্রন্থে তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তবে ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" (১/৩১০) গ্রন্থে বলেছেনঃ দেখছিনা কে তাদের দু’জনকে মিথ্যা বলা বা জাল করার দোষে দোষী করেছেন।
أولاد الزنا يحشرون يوم القيامة على صورة القردة والخنازير
منكر
-
رواه العقيلي في " الضعفاء " (139) عن زيد بن عياض عن عيسى بن حطان الرقاشي عن عبد الله بن عمرو مرفوعا. وقال: " لا يحفظ من وجه يثبت
ثم روى عن سلام بن أبي مطيع قال: حدث رجل أيوب يوما حديثا، فأنكره أيوب، فقال أيوب: من حدثك بهذا؟ قال: محمد بن واسع. قال: بخ، ثقة. قال: عن من؟ قال: عن زيد بن عياض: قال لا تزده
وللحديث علة أخرى وهي الرقاشي هذا، فهو وإن ذكره ابن حبان في " الثقات " (1 / 162) فقد قال ابن عبد البر: " ليس ممن يحتج بحديثه ". والحديث عندي ظاهر النكارة مخالف لأصل إسلامي عظيم وهو قوله تبارك وتعالى: (لا تزر وازرة وزر أخرى) . فما ذنب أولاد الزنا حتى يحشروا على صورة القردة والخنازير؟! ورحم الله من قال: غيري جنى وأنا المعذب فيكم فكأنني سبابة المتندم
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من طريق العقيلي هذه، وقال (3 / 109) : " موضوع لا أصل له ". ووافقه السيوطي في " اللآلي " (1971) . وأما ابن عراق في " تنزيه الشريعة (310 / 1) فقد تعقبهما بقوله: " لم أر من اتهمهما بكذب ووضع، وقال الذهبي في زيد بن عياض: قلت: كأن أيوب رحمه الله يغمز من زيد بن عياض، فيقول للرجل حينما ذكره: " لا تزده ". أي لا تزد في ذكر من فوقه من الإسناد لأنه سقط ما دام أنه من طريق ابن عياض ذكره ابن أبي حاتم مختصرا ولم يضعفه، والله أعلم
قلت: وكأنه ذهل عن الأصل القرآني العظيم الذي ذكرناه، والله أعلم