পরিচ্ছেদঃ
৮৬৬। তাঁর (আল্লাহর) কুরসী আসমানগুলো ও যমীনকে ঘিরে রেখেছে। তিনি তার উপর বসবেন। তা থেকে চার আংগুলের বেশী অবশিষ্ট থাকবে না। অতঃপর তিনি বলেনঃ তার আংগুলগুলোর দ্বারা তাকে একত্রিত করেছেন। যখন তিনি তার উপর আরোহণ করেন, তখন তার ওযনের কারণে নতুন গদীর চুরচুর শব্দের ন্যায় আওয়ায করতে থাকে।
হাদীছটি মুনকার।
এটি আবুল আলা ইবনুল হাসান ইবনে আহমাদ আল-হামাদানী “ফুতিয়া লাহু হাওলাস সিফাত” গ্রন্থে (১/১০০) তাবারানীর সূত্রে ওবায়দুল্লাহ ইবনু আবী যিয়াদ আল-কাতাওয়ানী হতে তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আবী বুকায়ের হতে তিনি ইসরাঈল হতে তিনি আবু ইসহাক হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু খালীফা হতে ... বর্ণনা করেছেন।
যিয়া আল-মাকদেসী "আল-মুখতারা" (১/৫৯) গ্রন্থে তাবরানীর সূত্র সহ অন্যান্য সূত্রে ইবনু আবী বুকায়ের হতে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে আবু মুহাম্মাদ আদ্দাশতী "কিতাবু ইছবাতিল হাদ্দে" (১৩৪-১৩৫) গ্রন্থে তাবারানী ও অন্যের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর বলেছেনঃ এটি সহীহ হাদীছ। তার বর্ণনাকারীগণ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী রয়েছে। এটি সুস্পষ্ট ডবল ভুল। হাদীছটি সহীহ নয়। আর তার বর্ণনাকারীগণও তাদের দু’জনের শর্তানুযায়ী নয়। কারণ বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু খালীফাকে ইবনু হিব্বান ছাড়া অন্য কেউ নির্ভরযোগ্য বলেননি। তার নির্ভরযোগ্য বলা গ্রহণযোগ্য নয় যেমনটি পূর্বে বার বার আলোচনা করা হয়েছে। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাকে চেনা যায় না। কিভাবে হাদীছটি সহীহ? বরং হাদীছটি আমার নিকট মুনকার।
ইবনু ইসহাক "আল-মুসনাদ" গ্রন্থে অনুরূপ একটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই ইবনু ইসহাক মুদাল্লিস। কোন সূত্রেই তার শ্রবণ স্পষ্ট করেননি। এ কারণে হাফিয যাহাবী "আল-উলু" (পৃঃ ২৩) গ্রন্থে বলেনঃ হাদীছটি খুবই গরীব। ইবনু ইসহাক যুদ্ধ বিগ্রহ বর্ণনার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য যদি মুসনাদ হিসাবে বর্ণনা করেন তাহলে। তার মুনকার এবং আজব আজব বর্ণনা রয়েছে। আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে সাদৃশ্য করা যায় না। তার নামগুলো পবিত্র।
হাদীছটিতে গদীর সাথে আরশ/কুরসীর সাদৃশ্য সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং চুরচুর শব্দ করে বলে তার ক্রটিও বর্ণনা করা হয়েছে। যা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহর নিকট এরূপ করা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সহীহ হাদীছে এরূপ শব্দ সাব্যস্ত হয়নি।
إن كرسيه وسع السماوات والأرض، وإنه يقعد عليه، ما يفضل منه مقدار أربع أصابع - ثم قال بأصابعه فجمعها - وإن له أطيطا كأطيط الرحل الجديد إذا ركب من ثقله
منكر
-
رواه أبو العلاء الحسن بن أحمد الهمداني في فتياله حول الصفات (100 / 1) من طريق الطبراني عن عبيد الله بن أبي زياد القطواني: حدثنا يحيى بن أبي بكير: حدثنا إسرائيل عن أبي إسحاق عن عبيد الله بن خليفة عن عمر بن الخطاب قال: أتت امرأة النبي صلى الله عليه وسلم فقالت: ادع الله أن يدخلني الجنة، فعظم الرب عز وجل، ثم قال: فذكره
ورواه الضياء المقدسي في " المختارة " (1 / 59) من طريق الطبراني به، ومن طرق أخرى عن ابن أبي بكير به. وكذلك رواه أبو محمد الدشتي في " كتاب إثبات الحد " (134 - 135) من طريق الطبراني وغيره عن ابن أبي بكير به ولكنه قال: " هذا حديث صحيح، رواته على شرط البخاري ومسلم
كذا قال: وهو خطأ بين مزدوج فليس الحديث بصحيح، ولا رواته على شرطهما، فإن عبد الله بن خليفة لم يوثقه غير ابن حبان، وتوثيقه لا يعتد به كما تقدم بيانه مرارا، ولذلك قال الذهبي في ابن خليفة هذا: لا يكاد يعرف، فأنى للحديث الصحة؟ ! بل هو حديث منكر عندي
ومثله حديث ابن إسحاق في " المسند " وغيره، وفي آخره: " إن عرشه لعلى سماواته وأرضه هكذا مثل القبة، وإنه ليئط به أطيط الرحل بالراكب ". وابن إسحاق مدلس، ولم يصرح بالسماع في شيء من الطرق عنه، ولذلك قال الذهبي في " العلو" (ص 23) : " هذا حديث غريب جدا فرد، وابن إسحاق حجة في المغازي إذا أسند، وله مناكير وعجائب، فالله أعلم أقال النبي صلى الله عليه وسلم هذا أم لا؟ وأما الله عز وجل فليس كمثله شيء جل جلاله، وتقدست أسماؤه، ولا إله غيره. (قال:) . " الأطيط الواقع بذات العرش من جنس الأطيط الحاصل في الرحل، فذاك صفة للرحل وللعرش، ومعاذ الله أن نعده صفة لله عز وجل. ثم لفظ الأطيط لم يأت به نص ثابت
هذا حال الحديث وهو الأول من حديثي القعود على العرش، وأما الآخر فهو (الاتي)