পরিচ্ছেদঃ
৫৯১। যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে ছাড়া সূরা ফাতিহা ব্যতীত এক রাকাআত সালাত আদায় করল সে যেন সালাতই আদায় করল না।
হাদীছটি দুর্বল।
হাদীছটি কাযী আবুল হাসান আল-খাল’ঈ “আল-ফাওয়ায়েদ” (১/৪৭) গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু সালাম হতে তিনি মালেক ইবনু আনাস হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইয়াহইয়া ইবনু সালামকে দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন, যেমনটি “আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছে। যায়লাঈ (১/১০) দারাকুতনী হতে নকল করেছেন, তিনি "গারায়েবে মালেক" গ্রন্থে বলেছেনঃ এটি বাতিল, মালেক হতে সহীহ নয়। সঠিক হচ্ছে এই যে, এটি মওকুফ। খালঈ কায়ানবী হতে আর বাইহাকী (২/১৬০) ইবনু বুকায়ের হতে ... অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।
বাইহাকী বলেনঃ মালেক হতে ইয়াহইয়া ইবনু সালাম ও অন্যরা মারফূ’ করে ফেলেছেন। তার দ্বারা দলীল হিসাবে বর্ণনা করাই হালাল নয়।
আমি (আলবানী) বলছি ঃ হাদীছটি إلا وراء الإمام এ অংশটুকু বাদ দিয়ে সহীহ। তার সাক্ষ্য দিচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিম্নোক্ত বাণীঃ لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না তার সালাতই হবে না। এটি বুখারী ও মুসলিম ওবাদাহ ইবনুস সামেত হতে বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ক্ৰটিকারী ব্যক্তিকে প্রথম রাকাআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করার নির্দেশ দেন। অতঃপর তিনি তাকে তার সব সালাতে তা পাঠ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ইমামের পিছনে ছাড়া এ বর্ধিত অংশটুকুর সমর্থনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্য বাণী হতে প্রমাণ মিলেঃمن كان له إمام فقراءة الإمام له قراءة "যে ব্যক্তির ইমাম থাকবে ইমামের কিরাআত তার কিরাআত হিসাবে গণ্য হবে।" এটি আমাদের নিকটে সহীহ সূত্রের সংখ্যা অনেক হওয়ার কারণে। সেগুলো যায়লাঈ (২/৬-১১) উল্লেখ করেছেন। আমিও "আল-ইরওয়া" (নং ৪৯৩) গ্রন্থে উল্লেখ করেছি। হাদীছটির সকল সূত্রেই দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু সূত্রগুলো সংখ্যায় অনেক হওয়ায় তা মোচনযোগ্য। মুরসাল হিসাবে সহীহ সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ হতে বর্ণিত হয়েছে।
তবে শুধুমাত্র যেহরী রাকাআত গুলোতে ইমামের পিছনে পাঠ করবে না। সিররীগুলোতে পাঠ করতেই হবে। কারণ সিররীগুলোতে ইমামের কিরা’আত তার পিছনের ব্যক্তির কিরা’আত হিসাবে গণ্য হবে না, তা শুনতে না পারা এবং তার দ্বারা কোন উপকারিতা না পাওয়ার কারণে। এটিই ইমাম মালেক ও আহমাদ সহ অন্য বিদ্বানদের মত। সম্ভবত এটিই বেশী ইনসাফ ভিত্তিক কথা। যেমনটি ইবনু তাইমিয়্যাহ “আল-ফাতাওয়া” গ্রন্থে বলেছেন।
من صلى ركعة لم يقرأ فيها بأم القرآن فلم يصل، إلا وراء الإمام
ضعيف
-
رواه القاضي أبو الحسن الخلعي في " الفوائد " (47 / 1) عن يحيى بن سلام: حدثنا مالك بن أنس عن وهب بن كيسان عن جابر مرفوعا
قلت: ويحيى بن سلام ضعفه الدارقطني كما في " الميزان "، ونقل الزيلعي (1 / 10) عنه أعني الدارقطني أنه قال في " غرائب مالك ": " هذا باطل لا يصح عن مالك
قلت: والصواب أنه موقوف كذلك أخرجه الخلعي أيضا عن القعنبي، والبيهقي (2 / 160) عن ابن بكير، كلاهما عن مالك عن وهب عن جابر من قوله غير مرفوع، وقال البيهقي: " رفعه يحيى بن سلام وغيره من الضعفاء عن مالك، وذلك مما لا يحل روايته على طريقة الاحتجاج به ". قلت: والحديث صحيح بدون قوله: " إلا وراء الإمام " يشهد له قوله صلى الله عليه وسلم: " لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب " رواه الشيخان عن عبادة بن الصامت، وقوله صلى الله عليه وسلم لـ " المسيء صلاته " بعد أن أمره بقراءة الفاتحة في الركعة الأولى: " ثم اصنع ذلك في صلاتك كلها " رواه البخاري وغيره. لكن في معنى هذه الزيادة: إلا وراء الإمام " قوله صلى الله عليه وسلم: " من كان له إمام فقراءة الإمام له قراءة
وهو حديث صحيح عندنا له طرق كثيرة جدا وقد ساقها الزيلعي (2 / 6 - 11) ثم خرجتها في " الإرواء " رقم (493) ، وهي وإن كانت لا تخلومن ضعف، ولكنه ضعف منجبر، وقد صح إسناده عن عبد الله بن شداد مرسلا، والمرسل إذا جاء متصلا فهو حجة عند الإمام الشافعي وغيره فاللائق بأتباعه أن يأخذوا بهذا الحديث إذا أرادوا أن لا يخالفوه في أصوله! وهو من المخصصات لحديث عبادة بن الصامت، ولكنه يخصصه بالجهرية فقط، لا في السرية، لأن قراءة الإمام فيها لا تكون قراءة لمن خلفه، إذ أنهم لا يسمعونها فلا ينتفعون بقراءته، فلابد لهم من
القراءة السرية، وبذلك نكون عاملين بالحديثين ولا نرد أحدهما بالآخر. وهو مذهب مالك وأحمد وغيرهما أن القراءة فيها مشروعة دون الجهرية. وهو أعدل الأقوال كما قال شيخ الإسلام ابن تيمية في " الفتاوى " ومن أراد التفصيل فليرجع إليها، وسبق شيء من هذا في الحديث (569)