পরিচ্ছেদঃ
৫৭৮। তোমরা আরবদেরকে ও তাদের অবশিষ্ট থাকাকে ভালবাস। কারণ তাদের অবশিষ্ট থাকা হচ্ছে ইসলামের জন্য নূর স্বরূপ, আর তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া হচ্ছে ইসলামের জন্য অন্ধকার স্বরূপ।
হাদীছটি দুর্বল।
এটিকে আবু নোয়াইম আহমাদ ইবনু ইসহাকের কপিতে (কাফ ১/১০৮) আবু ইসহাক হতে ... বর্ণনা করেছেন।
এই কপিতে বিপদ রয়েছে। কিন্তু আবুশ শাইখ “কিতাবুছ ছাওয়াব ওয়াল ফাযায়েলুল আ’মাল” গ্রন্থে অন্য সূত্রে আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু জা’আদ হতে তিনি মানসূর ইবনু আবী মাযাহিম হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনুল খাত্তাব হতে ... বর্ণনা করেছেন। হাদীছটি হাফিয ইরাকী "মুহাজ্জাতুল কুরবে ইলা মুহাব্বাতিল আরাব" (২/৫) গ্রন্থে উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ মুহাম্মদ ইবনুল খাত্তাব ছাড়া অন্য কারো ব্যাপারে সনদে দৃষ্টি দেয়ার কিছু নেই। তাকে ইবনু আবী হাতিম "আল-জারহু ওয়াত-তা’দীল" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর পিতা আবূ হাতিম তার সম্পর্কে বলেছেনঃ তাকে আমি চিনি না। আযদী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। তাকে ইবনু হিব্বান "আছ-ছিকাত" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ তিনি তার নিকট নির্ভরযোগ্য।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনিই পূর্বে আলোচিত ১৬৩ নম্বর হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনুল খাত্তাব মাজহুলুল হাল। সেখানে তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এ হাদীছটির একটি মুতাবা’য়াত (অনুগামী হাদীছ) পাওয়া গেছে সেটিকে আবুশ শাইখ “তারীখু আসবাহান” (কাফ ১/১৬০) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মুতাবায়াতটি দুর্বল। কারণ তার বর্ণনাকারী আব্দুস সামাদ ইবনু জবের আয-দব্বী সম্পর্কে ইবনু মা’ঈনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেনঃ আব্দুস সামাদ দুর্বল। ইবনু হিব্বান (২/১৪২) বলেনঃ তার বর্ণনা কম হওয়া সত্ত্বেও তিনি বহু ভুল করতেন এবং বর্ণনার ক্ষেত্রে সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। আর তার ছেলে মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুস সামাদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেনঃ তিনি মুনকারের অধিকারী। এ ছাড়া আরেক বর্ণনাকারী আবু যুফার (হুযায়েল ইবনু ওবাইদুল্লাহ আয-দব্বী) সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই জানা যাচ্ছে না। মোটকথা হাদীছটি উভয় সূত্রেই দুর্বল।
এ ছাড়া অন্য সমস্যাও রয়েছে তা হচ্ছে ইনকিতা (সনদে বিচ্ছিন্নতা) আতা এবং আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর মধ্যে। তারা আবু হুরাইরাহ হতে তার কোন বর্ণনায় উল্লেখ করেননি। কারণ তাদের উভয়ের মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে কমপক্ষে বাহাত্তর বছরের। আবু হুরাইরাহ (রাঃ) ৫৭/৫৮/৫৯ হিজরীতে আর আতা ১৩১ হিজরীতে মারা যান।
أحبوا العرب وبقاءهم، فإن بقاءهم نور في الإسلام، وإن فناءهم ظلمة في الإسلام
ضعيف
-
رواه أبو نعيم في " نسخة أحمد بن إسحاق بن إبراهيم بن شريط " (ق 108 / 1) : حدثني أبي إسحاق قال: حدثني إبراهيم بن نبيط عن جده نبيط مرفوعا
قلت: وهذه النسخة فيها بلايا كما تقدم في الحديث الذي قبله. لكن له طريق آخر رواه أبو الشيخ في " كتاب الثواب وفضائل الأعمال " قال: حدثنا أحمد بن محمد بن الجعد: حدثنا منصور بن أبي مزاحم: حدثنا محمد بن الخطاب عن عطاء بن أبي ميمونة عن أبي هريرة مرفوعا به
ذكره الحافظ العراقي في " محجة القرب إلى محبة العرب " (5 / 2) ثم قال: " ليس في إسناده محل نظر إلا أن محمد بن الخطاب بن جبير بن حية الثقفي الجبيري البصري ذكره ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل "، وأن أباه أبا حاتم قال: " لا أعرفه ". وقال الأزدي: " منكر الحديث
والأزدي ليس بعمدة، وقد زالت جهالة عينه برواية جماعة عنه، فقد روى عنه مسلم بن إبراهيم الفراهيدي وأبو سلمة المنقري، ومنصور بن أبي مزاحم، ذكره ابن حبان في " الثقات ". قلت: وهو الذي روى حديث إذا ذلت العرب ذل الإسلام " وقد سبق بيان حاله برقم (163) ، وقد أورده العراقي في عقب هذا الحديث، ثم أحال في معرفة ترجمة محمد بن الخطاب عليه
وقد ذكر تحته ما يتلخص منه أنه مجهول الحال، كما سبق بيانه هناك. ثم وجدت له متابعا، فقال أبو الشيخ في " تاريخ أصبهان " (ق 160 / 1) : حدثنا أبو زفر قال: حدثنا أحمد بن يونس قال: حدثنا محمد بن عبد الصمد بن جابر الضبي قال: حدثني أبي عن عطاء بن أبي ميمونة به. قلت: وهذه متابعة واهية فإن عبد الصمد بن جابر الضبي سئل عنه ابن معين فقال: " ضعيف "، وقال ابن حبان (2 / 142) : " يخطيء كثيرا ويهم فيما يروي على قلة روايته ". وابنه محمد بن عبد الصمد، قال الذهبي: " صاحب مناكير، ولم يترك
وأبو زفر هو هذيل بن عبيد الله بن عبد الله بن قدامة الضبي، وفي ترجمته أورد له أبو الشيخ هذا الحديث، وقال: " مات سنة اثنين وعشرين وثلاثمائة " ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. ثم بدا لي أن فيه علة أخرى، وهي الانقطاع بين عطاء هذا وأبي هريرة، فإنهم لم يذكروا له رواية عنه أصلا، ويبعد أن يكون سمع منه، بل لعله ولد بعد وفاة أبي هريرة، فإن بين وفاتيهما اثنتين وسبعين سنة على الأقل، فإن أبا هريرة توفي سنة سبع، وقيل ثمان: وقيل: تسع وخمسين، ومات عطاء سنة إحدى وثلاثين ومائة. ولما كانت الطريق الأولى للحديث عن نبيط بن شريط واهية جدا، فإن الحديث يظل على ضعفه. والله أعلم