২৩৫

পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ

২৩৫. আব্দুর রহমান বিন আবান বিন উছমান তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, দুপুর বেলায় যায়দ ইবনু ছাবিত মারওয়ান ইবনুল হাকাম-এর নিকট থেকে বের হয়ে আসলেন। তিনি বলেন, আমি (মনে মনে) বললাম, এই সময় তিনি মারওয়ান নিকট থেকে বের হয়েছেন, নিশ্চয়ই সে তাকে কোনো (অপছন্দ) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে। আমি তার নিকট গেলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, হাঁ, তিনি একটি হাদীস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন: “আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেহারা উজ্জ্বল করুন যে আমার কোন একটি হাদীস শুনল, তা হিফাজত (মুখস্ত) রাখল এবং তার চেয়ে অধিক হিফাজতকারী কারো নিকট পৌছে দিল। কেননা, অনেক জ্ঞান বহনকারী প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী হয় না এবং কোন কোন জ্ঞান শিক্ষাদানকারীর চাইতে তার শিক্ষার্থীরাও অধিক জ্ঞানী হয়ে থাকে। যে মুসলিমের অন্তরে তিনটি বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।” তিনি বলেন, আমরা বললাম, সেই বিষয়‍গুলি কী কী?

তিনি বললেন, ১. আমলে একনিষ্ঠতা, ২. শাসকের কল্যাণ কামনা করা এবং ৩. জামা’আত আকঁড়ে থাকা। কেননা, তাদের দু’আ তাদের পেছেনের সকলকে বেষ্টন করে নেয়। আর যার নিয়ত থাকবে আখিরাত, আল্লাহ তার অন্তরে অভাবমুক্তি দান করবেন, তার সকল কাজ সুন্দর করে দেবেন এবং দুনিয়া লাঞ্ছিত অবস্থায় তার সামনে হাজির হবে। আর যার নিয়ত হবে দুনিয়া, আল্লাহ তার সবকিছুতে বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি করে দেবেন, আর দারিদ্রকে তার দু’চোখের সামনে রেখে দেবেন। আর সে দুনিয়ার কেবল সেই টুকুই লাভ করবে, যা তার তাকদীরে (নির্ধারিত) আছে।”

তিনি বলেন, আমি তাকে ’সালাতুল উছতা’ বা মধ্যবর্তী ছালাতের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তা হল যোহরের সালাত।[1]

بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ

أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، بِنِصْفِ النَّهَارِ، قَالَ: فَقُلْتُ: مَا خَرَجَ هَذِهِ السَّاعَةَ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ إِلَّا وَقَدْ سَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، فَأَتَيْتُهُ، فَسَأَلْتُهُ، قَالَ: نَعَمْ، سَأَلَنِي عَنْ حَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا، فَحَفِظَهُ فَأَدَّاهُ إِلَى مَنْ هُوَ أَحْفَظُ مِنْهُ، فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ، وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ لَا يَعْتَقِدُ قَلْبُ مُسْلِمٍ عَلَى ثَلَاثِ خِصَالٍ، إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ». قَالَ: قُلْتُ: مَا هُنَّ؟ قَالَ: «إِخْلَاصُ الْعَمَلِ، وَالنَّصِيحَةُ لِوُلَاةِ الْأَمْرِ، وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مَنْ وَرَاءَهُمْ وَمَنْ كَانَتِ الْآخِرَةُ نِيَّتَهُ، جَعَلَ اللَّهُ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ، وَجَمَعَ لَهُ شَمْلَهُ، وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ، وَمَنْ كَانِتِ الدُّنْيَا نِيَّتَهُ، فَرَّقَ اللَّهُ عَلَيْهِ شَمْلَهُ، وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا مَا قُدِّرَ لَهُ قَالَ: وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى، قَالَ هِيَ الظُّهْرُ

إسناده صحيح

اخبرنا عصمة بن الفضل حدثنا حرمي بن عمارة عن شعبة عن عمر بن سليمان عن عبد الرحمن بن ابان بن عثمان عن ابيه قال خرج زيد بن ثابت رضي الله عنهما من عند مروان بن الحكم بنصف النهار قال فقلت ما خرج هذه الساعة من عند مروان الا وقد ساله عن شيء فاتيته فسالته قال نعم سالني عن حديث سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال نضر الله امرا سمع منا حديثا فحفظه فاداه الى من هو احفظ منه فرب حامل فقه ليس بفقيه ورب حامل فقه الى من هو افقه منه لا يعتقد قلب مسلم على ثلاث خصال الا دخل الجنة قال قلت ما هن قال اخلاص العمل والنصيحة لولاة الامر ولزوم الجماعة فان دعوتهم تحيط من وراءهم ومن كانت الاخرة نيته جعل الله غناه في قلبه وجمع له شمله واتته الدنيا وهي راغمة ومن كانت الدنيا نيته فرق الله عليه شمله وجعل فقره بين عينيه ولم ياته من الدنيا الا ما قدر له قال وسالته عن صلاة الوسطى قال هي الظهراسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)