২০৫

পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব

২০৫. রবীয়াহ ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, মানুষদের সামনে কুরআনকে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এমনকি মহিলা, শিশু, পুরুষ সকলেই তা পাঠ করতে থাকবে। অতঃপর এক ব্যক্তি বলবে: আমি তো কুরআন পাঠ করলাম, কিন্তু কেউ-ই তো আমার অনুসরণ করল না। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আমি লোকদের মাঝে এ (কুরআন) নিয়ে দণ্ডায়মান হব, যাতে তারা আমার অনুসরণ করে। অত:পর সে তা নিয়ে তাদের মাঝে দণ্ডায়মান হবে, কিন্তু কেউ-ই তার অনুসরণ করবে না। তখন সে বলবে, আমি তো কুরআন পাঠ করলাম তবুও কেউ আমার অনুসরণ করল না! আমি তাদের মাঝে তা নিয়ে দণ্ডায়মান হলাম (বাস্তবায়ন করলাম), তাতেও তারা আমার অনুসরণ করল না! ফলে এখন আমি অবশ্যই আমার বাড়িতে চারপাশে পর্দা বা বেড়া দিয়ে ঘিরে দেব একটি সিজদার স্থান বানাব (খানকা তৈরী করব), যাতে লোকেরা আমার অনুসরণ করে। ফলে সে তার বাড়িতে চারপাশে পর্দা বা বেড়া দিয়ে ঘিরে একটি সিজদার স্থান বানাবে (খানকা তৈরী করবে), কিন্তু তারপরও কেউ-ই তার অনুসরণ করবে না।

তাই সে বলবে, আমি এত কুরআন পড়লাম, কিন্তু কেউ-ই তো আমার অনুসরণ করল না। আমি তাদের মাঝে তা নিয়ে দাঁড়ালাম, তাতেও তারা আমার অনুসরণ করল না! আমার বাড়িতে চারপাশে পর্দা বা বেড়া দিয়ে ঘিরে সিজদার স্থান বানালাম (খানকা তৈরী করলাম), তবুও কেউ আমার অনুসরণ করল না! আল্লাহর কসম, তাহলে আমি তাদের নিকট এমন কথা বা বাণী নিয়ে উপস্থিত হব, যা তারা আল্লাহ জাল্লা ওয়া ’আলা’র কিতাবে খুঁজে পাবে না, আর তারা তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট থেকেও শুনেনি, যেন তারা আমার অনুসরণ করে।

মুয়ায বলেন, সাবধান! তারা যা নিয়ে আসবে, তা থেকে তোমরা দূরে থাকবে। কেননা, তারা যা নিয়ে আসবে, নিশ্চয়ই তা পথভ্রষ্টতা বা বিভ্রান্তি।[1]

بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: قَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، " يُفْتَحُ الْقُرْآنُ عَلَى النَّاسِ حَتَّى يَقْرَأَهُ الْمَرْأَةُ وَالصَّبِيُّ وَالرَّجُلُ، فَيَقُولُ الرَّجُلُ: قَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فَلَمْ أُتَّبَعُ، وَاللَّهِ لَأَقُومَنَّ بِهِ فِيهِمْ لَعَلِّي أُتَّبَعُ، فَيَقُومُ بِهِ فِيهِمْ فَلَا يُتَّبَعُ، فَيَقُولُ: قَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَقَدْ قُمْتُ بِهِ فِيهِمْ، فَلَمْ أُتَّبَعْ، لَأَحتَظِرَنَّ فِي بَيْتِي مَسْجِدًا لَعَلِّي أُتَّبَعُ، فَيَحْتَظِرُ فِي بَيْتِهِ مَسْجِدًا فَلَا يُتَّبَعُ، فَيَقُولُ: قَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَقُمْتُ بِهِ فِيهِمْ فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَقَدِ احْتظرْتُ فِي بَيْتِي مَسْجِدًا، فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَاللَّهِ لَآتِيَنَّهُمْ: بِحَدِيثٍ لَا يَجِدُونَهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ - جَلَّ وَعَلَا - وَلَمْ يَسْمَعُوهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَلِّي أُتَّبَعُ قَالَ مُعَاذٌ: فَإِيَّاكُمْ وَمَا جَاءَ بِهِ فَإِنَّ مَا جَاءَ بِهِ ضَلَالَةٌ

إسناده صحيح

اخبرنا مروان بن محمد حدثنا سعيد عن ربيعة بن يزيد قال قال معاذ بن جبل رضي الله عنه يفتح القران على الناس حتى يقراه المراة والصبي والرجل فيقول الرجل قد قرات القران فلم اتبع والله لاقومن به فيهم لعلي اتبع فيقوم به فيهم فلا يتبع فيقول قد قرات القران فلم اتبع وقد قمت به فيهم فلم اتبع لاحتظرن في بيتي مسجدا لعلي اتبع فيحتظر في بيته مسجدا فلا يتبع فيقول قد قرات القران فلم اتبع وقمت به فيهم فلم اتبع وقد احتظرت في بيتي مسجدا فلم اتبع والله لاتينهم بحديث لا يجدونه في كتاب الله جل وعلا ولم يسمعوه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم لعلي اتبع قال معاذ فاياكم وما جاء به فان ما جاء به ضلالةاسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)