৪০৪২

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্ধি স্থাপন

الصلح দ্বারা উদ্দেশ্য المصالحة অর্থাৎ পরস্পর দু’ দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন। ইবনুল হুমাম বলেনঃ ইমাম যদি মনে করেন যে, শত্রুপক্ষের মালের বিনিময়ে অথবা মাল ব্যতিরেকেই সন্ধি করার মধ্যে কল্যাণ নিহিত আছে তাহলে তিনি সন্ধি করতে পারেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ ’’তারা যদি শান্তির (সন্ধির) দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে তুমি সেদিকে ঝুঁকে পড়ো।’’ (সূরা আল আনফাল ৮ : ৬১)

যদিও আয়াতে কল্যাণের কথা উল্লেখ নেই তথাপি ফাকীহগণ একমত যে, মুসলিমদের কল্যাণ আছে বলে ইমামের নিকট সাব্যস্ত হলে তবেই শুধুমাত্র সন্ধি করা বৈধ। আর যদি সন্ধির মধ্যে কোনো কল্যাণ পরিলক্ষিত না হয় তাহলে সন্ধি করা বৈধ নয়।


৪০৪২-[১] মিস্ওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ ও মারওয়ান ইবনুল হাকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়াহ্-এর বৎসর এক হাজারেরও অধিক সাহাবীসহ মদীনাহ্ হতে (মক্কাভিমুখে) রওয়ানা হলেন এবং যুল হুলায়ফাহ্ নামক স্থানে এসে কুরবানীর পশুর গলায় চামড়ার মালা পরালেন এবং পশুর গলার পাশে ধারালো অস্ত্র দ্বারা হালকা জখম করে উক্ত স্থানে রক্ত মেখে দিলেন আর সেখান হতে ’উমরার ইহরাম বেঁধে অগ্রসর হলেন। পথিমধ্যে তাঁর উষ্ট্রী এক উপত্যকায় বসে পড়ল, যেখান দিয়ে মক্কায় যাতায়াত করে। তখন লোকেরা হাল-হাল বলে উষ্ট্রীকে উঠাতে চেষ্টা করল, কিন্তু উষ্ট্রীকে উঠাতে ব্যর্থ হলো। তারা বলতে লাগল, ’কস্ওয়া’ (উষ্ট্রীর নাম) জিদ করেছে, ’কস্ওয়া’ জিদ করেছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’কস্ওয়া’ জিদ করেনি এবং এটা তার স্বভাবজাতও নয়; বরং যিনি হাতিকে আটকিয়েছিলেন, তিনি একেও আটকিয়েছেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন! আল্লাহর পবিত্র স্থানের মর্যাদা রক্ষার্থে তারা (কুরায়শরা) আমার নিকট সম্মানপ্রদর্শনের লক্ষ্যÿ্য যে কোনো শর্তারোপ করতে চাইবে, আমি তা গ্রহণ করে নিব।

অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উষ্ট্রীকে ধমকের স্বরে উঠতে বললে তা সঙ্গে সঙ্গেই উঠে দাঁড়াল (দ্রুত চলতে লাগল)। এবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কার সরাসরি পথ হতে সরে ভিন্নপথে সম্মুখপানে অগ্রসর হতে লাগলেন। অবশেষে হুদায়বিয়ার প্রান্তে স্বল্প পানির কূপের নিকট এসে অবতরণ করলেন। লোকেরা তা হতে অল্প অল্প করে পানি তুলে নিলেও কিছুক্ষণ পরেই তা শেষ হয়ে গেল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে পিপাসার অভিযোগ করল। এমতাবস্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় থলি হতে একটি তীর বের করে বললেন, একে কূপটির মধ্যে ফেলে দাও। (বর্ণনাকারী বলেন) আল্লাহর কসম! তীর নিক্ষেপমাত্রই কূপের পানি পরিপূর্ণ হয়ে উপচে পড়তে লাগল। ফলে তারা সকলে উক্ত স্থান ত্যাগ করা পর্যন্ত তা হতে আত্মতৃপ্তির সাথে পানি পান করল। তারা যখন পানি পান করা ইত্যাদিতে মশগুল ঠিক তখন খুযা’ঈ গোত্রপতি বুদায়ল ইবনু ওয়ারাকা স্বীয় খুযা’আহ্ গোত্রের কতিপয় লোকজনসহ সেখানে উপস্থিত হলো। সে চলে গেলে ’উরওয়াহ্ ইবনু মাস্’ঊদ আসলো।

(পরবর্তী ঘটনা) ব্যাখ্যা করে বর্ণনাকারী বলেন, পরিশেষে সুহায়ল ইবনু ’আমর এসে উপস্থিত হলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (’আলী -কে) বললেনঃ ’’লিখো, এটা আল্লাহর রসূল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে সম্পাদিত সন্ধিপত্র।’’ এ কথা শুনে সুহায়ল বলে উঠল, আল্লাহর কসম! যদি আমরা আপনাকে আল্লাহর রসূল বলে জানতাম, তাহলে কক্ষনো আপনাকে বায়তুল্লাহ যিয়ারত করা হতে বাধা সৃষ্টি করতাম না এবং আপনার সাথে যুদ্ধও করতাম না, বরং আপনি এভাবে লিখুন ’’আবদুল্লাহ-এর পুত্র মুহাম্মাদণ্ডএর পক্ষ হতে’’। তার কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চয় আল্লাহর রসূল, যদিও তোমরা আমাকে অস্বীকার করো। আচ্ছা! (হে ’আলী!) মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ লিখো। সন্ধিপত্র লেখা হচ্ছিল, তখন সুহায়ল বলে উঠল, অন্যান্য শর্তাবলীর সাথে এটাও লেখা হোক যে, যদি আমাদের কোনো লোক (মক্কা হতে) আপনার নিকট যায় তাকে অবশ্যই মক্কায় ফেরত পাঠিয়ে দিতে হবে, যদিও সে আপনার দীনে (ধর্মে) বিশ্বাসী হয়।

বর্ণনাকারী বলেনঃ সন্ধিপত্র লেখা শেষ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের উদ্দেশে বললেনঃ উঠো, তোমরা তোমাদের সাথে নিয়ে আসা পশু কুরবানী করে দাও এবং তারপর মাথা মুড়িয়ে ফেলো (তথা ইহরাম হতে হালাল হয়ে যাও)। এরপর কতিপয় মু’মিনাহ্ মহিলা হিজরত করে তার নিকট আসলো, তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করলেন, অর্থাৎ- ’’হে মু’মিনগণ! কোনো মু’মিন মুসলিম নারী হিজরত করে তোমাদের নিকট আসলে তাদেরকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে নাও।’’ এ আয়াত দ্বারা সে সকল মুসলিম রমণীদেরকে ফেরত পাঠাতে আল্লাহ নিষেধ করে নির্দেশ দিলেন যে, তাদের মোহর ফেরত দাও। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় ফিরে আসলেন। এ সময় আবূ বাসীর নামে কুরায়শের এক ব্যক্তি মুসলিম হয়ে (মক্কা হতে মদীনায়) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলো। অন্যদিকে কুরায়শরাও তার সন্ধানে মদীনায় দু’জন লোক পাঠাল। (সন্ধির শর্তানুযায়ী) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাসীরকে তাদের কাছে সোপর্দ করলেন।

তারা আবূ বাসীরকে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হলো। ’’যুলহুলায়ফাহ্’’ নামক স্থানে পৌঁছে নিজেদের খাদ্য (খেজুর) খাওয়ার জন্য সওয়ারীর হতে নামলো, তখন আবূ বাসীর তাদের একজনকে বললঃ হে অমুক! আল্লাহর কসম! তোমার তরবারি তো দেখছি খুবই আকর্ষণীয় এবং মূল্যবান? আমাকে একটু দাও দেখি, ভালো করে দেখে নেই? লোকটি তরবারিটি আবূ বাসীর-এর হাতে দিলো, সে তাকে ভালোভাবে ধরে তা দ্বারা তাকে এমনভাবে আঘাত করল যে, সে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুবরণ করল। আর অপর লোকটি পালিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে মদীনায় এসে মসজিদে নববীতে আশ্রয় নিলো। তাকে দেখেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ লোকটি দেখে মনে হচ্ছে ভীত-সন্ত্রস্ত।

সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে বললঃ আল্লাহর কসম! আমার সঙ্গীকে হত্যা করা হয়েছে, সুযোগ পেলে হয়ত আমাকেও হত্যা করত। এখন আমাকে বাঁচান! লোকটির পিছনে আবূ বাসীরও এসে সমুপস্থিত হলো। তাকে দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আক্ষেপের সাথে বললেনঃ ’’তার মায়ের প্রতি আক্ষেপ! সে তো যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দিতে চায়। যদি তার সাথে আরও লোকজন থাকতো। যখন সে এ কথা শুনলো, তখন আবূ বাসীর বুঝতে পারল যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পুনরায় কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠিয়ে দেবেন। এটা বুঝে সে নীরবে সেখান হতে বের হয়ে সোজা সাগরের উপকূলের দিকে চলে গেল এবং সেখানে আশ্রয় গ্রহণ করল।

বর্ণনাকারী বলেনঃ ইতোমধ্যে সুহায়ল-এর পুত্র আবূ জান্দাল বন্দীমুক্ত হয়ে আবূ বাসীর-এর সাথে মিলিত হলেন। এভাবে মক্কার কুরায়শদের নিকট হতে কোনো মুসলিম পালিয়ে আসতে সক্ষম হলে সেও সরাসরি গিয়ে আবূ বাসীর ও তার সঙ্গীদের সাথে একত্রিত হত। এভাবে ক্রমাগত সেখানে একটি গেরিলা বাহিনী গড়ে উঠল। আল্লাহর কসম, যখনই তারা শুনতে পেত যে, কুরায়শদের কোনো তেজারতি কাফিলা সিরিয়ার অভিমুখে রওয়ানা হয়েছে, তখনই তারা উক্ত কাফিলার ওপর অতর্কিত হামলা চালাত এবং তাদেরকে হত্যা করে তাদের মাল-সম্পদ সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যেত। এমতাবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে কুরায়শগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ প্রস্তাব পাঠাল যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেন আত্মীয়তার সহানুভূতি ও আল্লাহর ওয়াস্তে আবূ বাসীর ও তার সঙ্গীদেরকে লুটতরাজ হতে বিরত রাখেন এবং সত্বর আবূ বাসীর-কে সেখান হতে ফিরিয়ে আনেন। সাথে সাথে এটাও জানিয়ে দিলো যে, এখন হতে মক্কার কোনো মুসলিম মদীনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলে তাকে আর ফেরত দিতে হবে না। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাসীর ও তার সাথীদেরকে আনতে লোক পাঠালেন (তখন তারা সবাই মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলেন)। (বুখারী)[1]

بَابُ الصُّلْحِ

عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَا: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَ وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ وَسَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالثَّنِيَّةِ الَّتِي يُهْبَطُ عَلَيْهِمْ مِنْهَا بَرَكَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ فَقَالَ النَّاسُ: حَلْ حَلْ خَلَأَتِ القَصْواءُ خلأت الْقَصْوَاء فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ وَمَا ذَاكَ لَهَا بِخُلُقٍ وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ» ثُمَّ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَسْأَلُونِي خُطَّةً يُعَظِّمُونَ فِيهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا» ثُمَّ زَجَرَهَا فَوَثَبَتْ فَعَدَلَ عَنْهُمْ حَتَّى نَزَلَ بِأَقْصَى الْحُدَيْبِيَةِ عَلَى ثَمَدٍ قَلِيلِ الْمَاءِ يَتَبَرَّضُهُ النَّاسُ تَبَرُّضًا فَلَمْ يَلْبَثْهُ النَّاسُ حَتَّى نَزَحُوهُ وَشُكِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَطَشَ فَانْتَزَعَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهُ فِيهِ فو الله مَا زَالَ يَجِيشُ لَهُمْ بِالرِّيِّ حَتَّى صَدَرُوا عَنْهُ فَبَيْنَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ الخزاعيُّ فِي نفَرٍ منْ خُزَاعَةَ ثُمَّ أَتَاهُ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَسَاقَ الْحَدِيثَ إِلَى أَنْ قَالَ: إِذْ جَاءَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اكْتُبْ: هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ . فَقَالَ سُهَيْلٌ: وَاللَّهِ لَوْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ مَا صَدَدْنَاكَ عَنِ الْبَيْتِ وَلَا قَاتَلْنَاكَ وَلَكِنِ اكْتُبْ: مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَرَسُولُ اللَّهِ وَإِنْ كَذَّبْتُمُونِي اكْتُبْ: مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ سُهَيْلٌ: وَعَلَى أَنْ لَا يَأْتِيَكَ مِنَّا رَجُلٌ وَإِنْ كانَ على دينِكَ إِلاَّ ردَدْتَه علينا فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: «قُومُوا فَانْحَرُوا ثُمَّ احْلِقُوا» ثُمَّ جَاءَ نِسْوَةٌ مُؤْمِنَاتٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذا جاءكُم المؤمناتُ مهاجِراتٌ)
الْآيَةَ. فَنَهَاهُمُ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ يَرُدُّوهُنَّ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرُدُّوا الصَّدَاقَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَجَاءَهُ أَبُو بَصِيرٍ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ وَهُوَ مُسْلِمٌ فَأَرْسَلُوا فِي طَلَبِهِ رَجُلَيْنِ فَدَفَعَهُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ فَخَرَجَا بِهِ حَتَّى إِذَا بَلَغَا ذَا الْحُلَيْفَةِ نَزَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْ تَمْرٍ لَهُمْ فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ لِأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَى سَيْفَكَ هَذَا يَا فُلَانُ جَيِّدًا أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْهِ فَأَمْكَنَهُ مِنْهُ فَضَرَبَهُ حَتَّى بَرَدَ وَفَرَّ الْآخَرُ حَتَّى أَتَى الْمَدِينَةَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ يَعْدُو فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ رأى هَذَا ذُعراً» فَقَالَ: قُتِلَ واللَّهِ صَحَابِيّ وَإِنِّي لَمَقْتُولٌ فَجَاءَ أَبُو بَصِيرٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَيْلَ أُمِّهِ مِسْعَرَ حَرْبٍ لَوْ كَانَ لَهُ أَحَدٌ» فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ عَرَفَ أَنَّهُ سَيَرُدُّهُ إِلَيْهِمْ فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى سِيفَ الْبَحْرِ قَالَ: وَانْفَلَتَ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلٍ فَلَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ فَجَعَلَ لَا يَخْرُجُ مِنْ قُرَيْشٍ رَجُلٌ قَدْ أَسْلَمَ إِلَّا لَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ حَتَّى اجْتَمَعَتْ مِنْهُمْ عِصَابَةٌ فو الله مَا يَسْمَعُونَ بِعِيرٍ خَرَجَتْ لِقُرَيْشٍ إِلَى الشَّامِ إِلَّا اعْتَرَضُوا لَهَا فَقَتَلُوهُمْ وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُمْ فَأَرْسَلَتْ قُرَيْشٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُنَاشِدُهُ اللَّهَ وَالرَّحِمَ لَمَّا أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ فَمَنْ أَتَاهُ فَهُوَ آمِنٌ فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم إِلَيْهِم. رَوَاهُ البُخَارِيّ

عن المسور بن مخرمة ومروان بن الحكم قالا خرج النبي صلى الله عليه وسلم عام الحديبية في بضع عشرة ماىة من اصحابه فلما اتى ذا الحليفة قلد الهدي واشعر واحرم منها بعمرة وسار حتى اذا كان بالثنية التي يهبط عليهم منها بركت به راحلته فقال الناس حل حل خلات القصواء خلات القصواء فقال النبي صلى الله عليه وسلم ما خلات القصواء وما ذاك لها بخلق ولكن حبسها حابس الفيل ثم قال والذي نفسي بيده لا يسالوني خطة يعظمون فيها حرمات الله الا اعطيتهم اياها ثم زجرها فوثبت فعدل عنهم حتى نزل باقصى الحديبية على ثمد قليل الماء يتبرضه الناس تبرضا فلم يلبثه الناس حتى نزحوه وشكي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم العطش فانتزع سهما من كنانته ثم امرهم ان يجعلوه فيه فو الله ما زال يجيش لهم بالري حتى صدروا عنه فبينا هم كذلك اذ جاء بديل بن ورقاء الخزاعي في نفر من خزاعة ثم اتاه عروة بن مسعود وساق الحديث الى ان قال اذ جاء سهيل بن عمرو فقال النبي صلى الله عليه وسلم اكتب هذا ما قاضى عليه محمد رسول الله فقال سهيل والله لو كنا نعلم انك رسول الله ما صددناك عن البيت ولا قاتلناك ولكن اكتب محمد بن عبد الله فقال النبي صلى الله عليه وسلم والله اني لرسول الله وان كذبتموني اكتب محمد بن عبد الله فقال سهيل وعلى ان لا ياتيك منا رجل وان كان على دينك الا رددته علينا فلما فرغ من قضية الكتاب قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لاصحابه قوموا فانحروا ثم احلقوا ثم جاء نسوة مومنات فانزل الله تعالى يا ايها الذين امنوا اذا جاءكم المومنات مهاجراتالاية فنهاهم الله تعالى ان يردوهن وامرهم ان يردوا الصداق ثم رجع الى المدينة فجاءه ابو بصير رجل من قريش وهو مسلم فارسلوا في طلبه رجلين فدفعه الى الرجلين فخرجا به حتى اذا بلغا ذا الحليفة نزلوا ياكلون من تمر لهم فقال ابو بصير لاحد الرجلين والله اني لارى سيفك هذا يا فلان جيدا ارني انظر اليه فامكنه منه فضربه حتى برد وفر الاخر حتى اتى المدينة فدخل المسجد يعدو فقال النبي صلى الله عليه وسلم لقد راى هذا ذعرا فقال قتل والله صحابي واني لمقتول فجاء ابو بصير فقال النبي صلى الله عليه وسلم ويل امه مسعر حرب لو كان له احد فلما سمع ذلك عرف انه سيرده اليهم فخرج حتى اتى سيف البحر قال وانفلت ابو جندل بن سهيل فلحق بابي بصير فجعل لا يخرج من قريش رجل قد اسلم الا لحق بابي بصير حتى اجتمعت منهم عصابة فو الله ما يسمعون بعير خرجت لقريش الى الشام الا اعترضوا لها فقتلوهم واخذوا اموالهم فارسلت قريش الى النبي صلى الله عليه وسلم تناشده الله والرحم لما ارسل اليهم فمن اتاه فهو امن فارسل النبي صلى الله عليه وسلم اليهم رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ) ‘‘হুদায়বিয়ার বৎসর’’। মুহিববুত্ব ত্ববারী (রহঃ) বলেনঃ হুদায়বিয়াহ্ মক্কার নিকটবর্তী একটি গ্রামের নাম। যার অধিকাংশ এলাকা হারামের অন্তর্ভুক্ত। আর তা মক্কা থেকে নয় মাইল দূরে অবস্থিত। তবে এর কিছু অংশ হারামের বাহিরে। তাই বুখারীর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, হুদায়বিয়াহ্ হারামের বাহিরে অবস্থিত। এ জায়গাকে বৎসরের সাথে সম্বন্ধ করার কারণ এই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঐ বৎসর মক্কায় প্রবেশে বাধা প্রদান করা হলে তিনি হুদায়বিয়াতে তার সঙ্গীদেরকে নিয়ে অবস্থান করেছিলেন এবং মক্কার মুশরিকদের সাথে সন্ধি চুক্তি করেছিলেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ, ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৩১, ২৭৩২)

(وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ) সেখানে তিনি ‘উমরাহ্ সম্পাদনের জন্য ইহরাম বাঁধলেন। অর্থাৎ যুল্হুলায়ফাতে পৌঁছানোর পর কুরবানীর পশুর গলায় মালা পড়িয়ে তার চুঁচের ডান অথবা বামপাশে আঘাত করে রক্ত বের করলেন যাতে লোকেরা বুঝতে পারে যে, পশুটি কুরবানীর জন্য নির্ধারিত। অতঃপর তিনি ‘উমরাহ্ পালনের নিমিত্তে ইহরাম বাঁধলেন তথা ‘উমরার নিয়্যাত করলেন।

(خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ) কস্ওয়া উটনীটি কোনো কারণ ছাড়াই বসে পড়েছে অর্থাৎ উটনীটি অসুস্থ বা দুর্বল না হওয়া সত্ত্বেও বসে পড়েছে।

(وَمَا ذَاكَ لَهَا بِخُلُقٍ) ‘‘এটা তার অভ্যাস নয়।’’ অর্থাৎ কস্ওয়া উটনী কখনো অসুস্থতা দুর্বল না হলে বসে পড়ে না।

(وَلٰكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيْلِ) বরং হসত্মী বাহিনীকে বাধা দানকারী তাকে বাধাদান করেছেন। অর্থাৎ কা‘বাহ্ ঘর ধ্বংস করতে ইচ্ছুক আবরাহার হসত্মী বাহিনী যিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন সেই মহান আল্লাহ তা‘আলাই এ উটনীটিকে থামিয়ে দিয়েছেন। তাই উটনীটি বসে পড়েছে যা তার অভ্যাসের বিপরীত।

(لَا يَسْأَلُوْنِىْ خُطَّةً يُعَظِّمُوْنَ فِيْهَا حُرُمَاتِ اللّٰهِ إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ) ‘‘তারা যদি এমন কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন করে যা দ্বারা আল্লাহর মর্যাদাসম্পন্ন বস্তুকে মর্যাদা দেয়া হয় তাহলে আমি তাদের সে পরিকল্পনা গ্রহণ করবো।’’ কাযী ‘ইয়ায বলেনঃ এর অর্থ হলো এই যে, মক্কাবাসীগণ যদি আমার নিকট এমন কোনো বিষয় উপস্থাপন করে যার মাধ্যমে তারা আল্লাহর দেয়া মর্যাদা পূর্ণ বিষয়ের যেমন ইহরাম ও মুহরিমের মর্যাদা প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে আমি তাদের সে বিষয় মেনে নিবো। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

সুহায়লী বলেনঃ (إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا) হাদীসের এই বাক্য বর্ণনার ক্ষেত্রে কোনো বর্ণনাতেই إِنْ شَاءَ اللّٰهُ تَعَالٰى শব্দের উল্লেখ নেই। অথচ ভবিষ্যতের কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম إِنْ شَاءَ اللّٰهُ تَعَالٰى বলতে নির্দেশিত। অতঃপর তিনি এর জবাব দিয়েছেন এই বলে যে, যেহেতু এ ক্ষেত্রে এমন কোনো কাজ করা আবশ্যক ছিল, তাই তিনি إِنْ شَاءَ اللّٰهُ تَعَالٰى বলেননি। কিন্তু তার এ জবাব সমালোচনামুক্ত নয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি মক্কাতে প্রবেশ করবেন এই বলে যে, «تَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ إِنْ شَاءَ اللّٰهُ آمِنِين» ‘‘আল্লাহ চাহে তো তুমি অবশ্যই মসজিদে হারামে নিরাপদে প্রবেশ করবে’’ এখানে তিনি নিশ্চিত প্রবেশ করবেন- এ কথা বলার পরেও বলেছেনঃ إِنْ شَاءَ اللّٰهُ تَعَالٰى অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বাবস্থায় إِنْ شَاءَ اللّٰهُ تَعَالٰى বলা শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব জবাব এই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম إِنْ شَاءَ اللّٰهُ تَعَالٰى বলেছিলেন কিন্তু বর্ণনাকারীগণ তা বর্ণনা করেননি। অথবা এই ঘটনা ঘটেছিল إِنْ شَاءَ اللّٰهُ تَعَالٰى বলার নির্দেশ দেয়ার আগে। যদিও যে সূরাতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা মাক্কী সূরাহ তবুও এটা বিচিত্র নয় যে, এ নির্দেশ সম্বলিত আয়াত পরে নাযিল হয়েছে যা অনেক সূরার ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৩১, ২৭৩২)

(وَاللّٰهِ لَوْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللّٰهِ مَا صَدَدْنَاكَ عَنِ الْبَيْتِ) ‘‘আল্লাহর কসম! আমরা যদি জানতাম আপনি আল্লাহর রসূল তাহলে আমরা আপনাকে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করতে বাধা দিতাম না।’’ অর্থাৎ আমরা যদি এটা জানতাম যে, প্রকৃতপক্ষেই আপনি আল্লাহর রসূল তাহলে ‘উমরার উদ্দেশে বায়তুল্লাহর ত্বওয়াফ করতে আমরা আপনাকে কোনো প্রকার বাধা দিতাম না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(وَيْلُ أُمِّه) ‘‘তার মায়ের সর্বনাশ হোক।’’ এটি এমন এক শব্দ যা দ্বারা তিরস্কার করা হয়। তবে ‘আরবরা কারো প্রশংসা জ্ঞাপনের জন্যও এ শব্দটি প্রয়োগ করে থাকে। তখন এর প্রকৃত অর্থ উদ্দেশ্য নেয়া হয় না। বাদীউয্ যামান বলেনঃ ‘আরবগণ تَرِبَتْ يَمِينُه শব্দটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যবহার করে থাকে। অনুরূপভাবে তারা (وَيْلُ أُمِّه) শব্দটি ব্যবহার করে থাকে কিন্তু তার প্রকৃত অর্থ অর্থাৎ তিরস্কারের উদ্দেশ্য নয়। অনুরূপ الْوَيْل শব্দটি শাস্তি, যুদ্ধ এবং ধমক দেয়ার উদ্দেশেও ব্যবহার হয়ে থাকে। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৩১, ২৭৩২)

(مِسْعَرُ حَرْبٍ لَوْ كَانَ لَه أَحَدٌ) তার সাথে কেউ থাকলে সে তো যুদ্ধ শুরু করে দিবে। খত্ত্বাবী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন তার এ বিশেষণ বর্ণনা করেছেন যে, এ লোকটিকে যদি কেউ সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই যুদ্ধ বাধিয়ে দিবে। এতে তার প্রতি পালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে যাতে তাকে কাফিরদের নিকট ফিরিয়ে না দিতে হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ, ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৬২)

(فَلَمَّا سَمِعَ ذٰلِكَ عَرَفَ أَنَّه سَيَرُدُّه إِلَيْهِمْ) আবূ বাসীর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্ত বক্তব্য শুনলেন তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাকে তাদের কাছেই ফেরত পাঠাবেন।

কাযী ‘ইয়ায বলেনঃ আবূ বাসীর তা বুঝতে পেরেছিলেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য (مِسْعَرُ حَرْبٍ لَوْ كَانَ لَه أَحَدٌ) থেকে। কেননা তার এ বক্তব্য এটা বুঝায় যে, তিনি তাকে আশ্রয় দিবেন না এবং সাহায্যও করবেন না। মুশরিকদের কবল থেকে তার মুক্তির একটি পথ আর তা হলো তার কোনো সহযোগীকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।

(حَتّٰى اَجْتَمَعَتْ مِنْهُمْ عِصَابَةٌ) এমনি করে পালিয়ে যাওয়া একদল লোক একত্র হলো, عِصَابَةٌ শব্দটি ৪০ জন পর্যন্ত লোকের দলকে বুঝায়। তবে এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, عِصَابَةٌ ৪০-এর অধিক লোক বুঝানোর জন্যও ব্যবহার হয়ে থাকে। কেননা ইবনু ইসহক-এর বর্ণনানুযায়ী আবূ বাসীর-এর সাথে যারা মিলিত হয়েছিল তাদের সংখ্যা ছিল ৭০ জনের মতো। সুহায়লী মনে করেন যে, তাদের সংখ্যা তিনশতে পৌঁছেছিল। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৩১, ২৭৩২; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৬২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)