৩৯৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৩৯৯৯-[১৫] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যুদ্ধ চলাকালে আমরা মধু ও আঙ্গুর ইত্যাদি পেতাম, কিন্তু তা বায়তুল মালে (সরকারী কোষাগারে) জমা না দিয়ে নিজেরা ভোগ করতাম। (বুখারী)[1]

بَابُ قِسْمَةِ الْغَنَائِمِ وَالْغُلُوْلِ فِيْهَا

وَعَن ابْن عمر قَالَ: كُنَّا نُصِيبُ فِي مَغَازِينَا الْعَسَلَ وَالْعِنَبَ فنأكله وَلَا نرفعُه رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابن عمر قال كنا نصيب في مغازينا العسل والعنب فناكله ولا نرفعه رواه البخاري

ব্যাখ্যা: যুদ্ধের ময়দানে সৈনিকেরা খাদ্যদ্রব্য ফলমূল গনীমাত হিসেবে যা অর্জন করবে তা বায়তুল মালে জমা দানের পূর্বেই আমীরের অনুমতি ছাড়া খেলে তা কোনো পাপ হবে না। খাওয়ার পর অবশিষ্ট যা থাকে তা অবশ্যই বায়তুল মালে জমা দিতে হবে। সাহাবীগণ যুদ্ধের ময়দানে অর্জিত মধু, আঙ্গুর ইত্যাদি বণ্টনের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জমা না দিয়েই খেতেন। ফুকাহাদের সর্বসম্মত মত হলো মুজাহিদগণ দারুল হার্বে অবস্থানকালে গনীমাতের সম্পদ ‘খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল’ বায়তুল মালে জমা দানের পূর্বেই প্রয়োজন মতো খেয়ে নিতে পারবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে জমা রাখা বা সংরক্ষণ করা অথবা বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৭ম খন্ড, ৫১৯ পৃঃ; ফাতহুল বারী ৬ষষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩১৫৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)