৩৯২৩

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা

৩৯২৩-[৩২] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আব্দুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্ (রাঃ)-কে একটি সৈন্যদলে (নেতা নিযুক্ত করে) পাঠালেন। সে সময় ছিল জুমু’আর দিন। তাঁর সঙ্গীরা ভোরেই রওয়ানা হয়ে গেল, কিন্তু ইবনু রওয়াহাহ্ বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে জুমু’আর সালাত আদায় করে পরে সঙ্গীদের সাথে গিয়ে মিলিত হব। অতঃপর যখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে জুমু’আর সালাত আদায় করলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ’আব্দুল্লাহকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে তোমার সঙ্গীদের সাথে ভোরে যেতে কিসে বিরত রেখেছে? তখন তিনি বললেন, আমি আপনার সাথে জুমু’আর সালাত আদায় করে পরে গিয়ে সঙ্গীদের সাথে মিলিত হবো, এ কারণে যাইনি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি যদি পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় কর, তবুও তোমার সঙ্গীদের সাথে ভোরে রওয়ানা হওয়ার মর্যাদা ও ফযীলত অর্জন করতে সক্ষম হবে না। (তিরমিযী)[1]

وَعَن ابْن عَبَّاس قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فِي سَرِيَّةٍ فَوَافَقَ ذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَغَدَا أَصْحَابُهُ وَقَالَ: أَتَخَلَّفُ وأُصلّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ فَلَمَّا صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَآهُ فَقَالَ: «مَا مَنَعَكَ أَنْ تَغْدُوَ مَعَ أَصْحَابِكَ؟» فَقَالَ: أَرَدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ مَعَكَ ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ فَقَالَ: «لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مَا أدركْتَ فضلَ غدْوَتهمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن ابن عباس قال بعث النبي صلى الله عليه وسلم عبد الله بن رواحة في سرية فوافق ذلك يوم الجمعة فغدا اصحابه وقال اتخلف واصلي مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم الحقهم فلما صلى مع رسول الله صلى الله عليه وسلم راه فقال ما منعك ان تغدو مع اصحابك فقال اردت ان اصلي معك ثم الحقهم فقال لو انفقت ما في الارض جميعا ما ادركت فضل غدوتهم رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: (لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِى الْأَرْضِ جَمِيْعًا مَا أَدْرَكْتَ فَضْلَ غَدْوَتِهْمْ) তুমি যদি পৃথিবীর সমস্ত সম্পদও ব্যয় কর তাহলে তাদের সাথে সকাল বেলা রওয়ানা হয়ে যাওয়ার মর্যাদা অর্জন করতে পারবে না। অর্থাৎ জিহাদে যাওয়ার ফযীলত জুমু‘আর সালাত আদায় করার চাইতে অনেক বেশী।

‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ হাদীসের প্রকাশমান অর্থের দিকে লক্ষ্য করলে এটা বলা সঙ্গত যে, তাদের সকাল বেলা জিহাদের জন্য রওয়ানা হয়ে যাওয়াটা তোমার এ জুমু‘আর সালাতের চাইতেও উত্তম। রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা না বলে হাদীসে উল্লেখিত বাক্য বলেছেন আধিক্য বুঝানোর জন্য। অর্থাৎ তিনি যা বললেন তার অর্থ হলো কোনো কল্যাণময় কাজই জিহাদে যাওয়ার সমকক্ষ নয়। কেননা জিহাদে যেতে বিলম্ব করলে অনেক কল্যাণ ছুটে যাওয়ার ভয় রয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ২য় খন্ড, হাঃ ৫২৭)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)