৩৮৭০

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ

৩৮৭০-[১০] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’হাফ্ইয়া’ হতে ’সানিয়্যাতুল বিদা’ নামক স্থান পর্যন্ত দূরত্বের মাঝে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়াসমূহের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা করেছেন। আর এ স্থান দু’টির মধ্যকার ব্যবধান হলো ছয় মাইল। আর প্রশিক্ষণবিহীন ঘোড়াসমূহের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা করেছেন ’সানিয়্যাতুল বিদা’ হতে ’বানী যুরইক’-এর মসজিদ পর্যন্ত, এ জায়গা দু’টির মধ্যকার ব্যবধান হলো এক মাইল। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ إِعْدَادِ اٰلَةِ الْجِهَادِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سابَقَ بينَ الخيلِ الَّتِي أُضمِرَتْ منَ الحَفْياءِ وَأَمَدُهَا ثَنِيَّةُ الْوَدَاعِ وَبَيْنَهُمَا سِتَّةُ أَمْيَالٍ وَسَابَقَ بَيْنَ الْخَيْلِ الَّتِي لَمْ تَضْمُرُ مِنَ الثِّنْيَةِ إِلَى مَسْجِد بني زُرَيْق وَبَينهمَا ميل

وعن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم سابق بين الخيل التي اضمرت من الحفياء وامدها ثنية الوداع وبينهما ستة اميال وسابق بين الخيل التي لم تضمر من الثنية الى مسجد بني زريق وبينهما ميل

ব্যাখ্যা: (سَابَقَ بَيْنَ الْخَيْلِ الَّتِىْ أُضْمِرَتْ) যে ঘোড়া ইযমার করানো হয়েছে সেই ঘোড়ার মাঝে প্রতিযোগিতা করিয়েছেন।

ইমাম সুয়ূত্বী বলেনঃ ইযমার বলা হয় ঐ পদ্ধতিকে যে পদ্ধতিতে ঘোড়াকে প্রথমে খাইয়ে মোটা করা হয়, অতঃপর ঘোড়া মোটা ও শক্তিশালী হয়ে গেলে তার খাবার পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। এরপর ঐ ঘোড়াকে একটি ঘরে প্রবেশ করিয়ে তার গা চট দ্বারা ঢেকে দেয়া হয় যাতে গরম হয়ে ঘর্মাক্ত হয়, এরপর তার ঘাম শুকিয়ে তার মাংস কমে যায় এবং অধিক দৌড়াতে সক্ষম হয়। আল্লামা তূরিবিশতী বলেন, উপরিউক্ত পদ্ধতিতে ঘোড়াকে শক্তিশালী করতে চল্লিশদিন সময় লাগে। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৭ম খন্ড, পৃঃ ৩৯৪)

(مِنَ الْحَفْيَاءِ وَأَمَدُهَا ثَنِيَّةُ الْوَدَاعِ وَبَيْنَهُمَا سِتَّةُ أَمْيَالٍ) হাফ্ইয়া হতে সানিয়্যাতুল বিদা‘ পর্যন্ত উভয়ের মাঝের দূরত্ব ছয় মাইল। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ হাফ্ইয়া মদীনার বাহিরে একটি স্থানের নাম- (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫৭২)। ‘আল্লামা সিন্দী বলেনঃ হাফ্ইয়া-কে হাইফাও বলা হয়- (শারহেন্ নাসায়ী ৩য় খন্ড, হাঃ ৩৫৮৫)।

ثَنِيَّةُ বলা হয় উঁচু টিলাকে। মদীনার নিকটবর্তী এই টিলাকে ثَنِيَّةُ الْوَدَاعِ এজন্য বলা হয় যে, মদীনাবাসী যখন কাউকে বিদায় জানায় তখন তারা বিদায়ীকে বিদায় জানানোর জন্য এ টিলা পর্যন্ত তার পশ্চাতে এসে থাকে।

(إِلٰى مَسْجِدِ بَنِىْ زُرَيْقٍ) বানী যুরায়ক-এর মসজিদ পর্যন্ত। যুরায়ক এক ব্যক্তির নাম- (মিরকাতুল মাফাতীহ ৭ম খন্ড, পৃঃ ৩৯৪)। এতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নামে মসজিদের নামকরণ করা বৈধ। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ এতে কোনো মতভেদ নেই যে, ঘোড়া অথবা প্রাণীর মধ্যে প্রতিযোগিতা করা বৈধ। অনুরূপ তীর নিক্ষেপ ও অস্ত্র ব্যবহারের পদ্ধতি সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করা বৈধ। কেননা এতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ও নিয়ম-কানুন শিখা যায়- (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫৭২)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)