৩৮৩০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৮৩০-[৪৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী পাহাড়ের সংকীর্ণ পথ অতিক্রমকালে সুমিষ্ট পানির এক ঝর্ণা দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি আনন্দে আতিশয্যে বলে ফেললেন যে, কতই না উত্তম হতো আমি যদি লোকালয় ছেড়ে এ পাহাড়ে বসবাস করতে পারতাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সাহাবীর এ আকাঙ্ক্ষার প্রসঙ্গে কথা উঠলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (সাবধান) ঐরূপ কামনা করো না। কেননা তোমাদের কারও আল্লাহর পথে অবস্থান (জিহাদে শামিল থাকা) স্বীয় বাড়ীতে সত্তর বছরের সালাত আদায় অপেক্ষা সর্বোত্তম। তোমরা কি এটা প্রত্যাশা কর না যে, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেন এবং পরিশেষে জান্নাতে প্রবেশ করান? তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর পথে উষ্ট্রী দোহনের বিরতির ন্যায়ও যদি কিছু সময় যুদ্ধ করে, তার জন্য জান্নাত নির্ধারিত হয়ে যায়। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن أبي هريرةَ قَالَ: مَرَّ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشِعْبٍ فِيهِ عُيَيْنَةٌ مِنْ مَاءٍ عَذْبَةٌ فَأَعْجَبَتْهُ فَقَالَ: لَوِ اعْتَزَلْتُ النَّاسَ فَأَقَمْتُ فِي هَذَا الشِّعْبِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَا تَفْعَلْ فَإِنَّ مَقَامَ أَحَدِكُمْ فِي سَبِيلِ الله أفضل من صلَاته سَبْعِينَ عَامًا أَلَا تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَيُدْخِلَكُمُ الْجَنَّةَ؟ اغْزُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبت لَهُ الْجنَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن ابي هريرة قال مر رجل من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بشعب فيه عيينة من ماء عذبة فاعجبته فقال لو اعتزلت الناس فاقمت في هذا الشعب فذكر ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لا تفعل فان مقام احدكم في سبيل الله افضل من صلاته سبعين عاما الا تحبون ان يغفر الله لكم ويدخلكم الجنة اغزوا في سبيل الله من قاتل في سبيل الله فواق ناقة وجبت له الجنة رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসটি থেকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ফাযীলাতের পরিমাণ সম্পর্কে কিছুটা অনুমান করা যায়।

شِعْبٍ বলা হয় দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী গিরিপথকে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : ‘‘তুমি সেখানে থেকো না’’ এর দ্বারা তিনি সাহাবীকে সেখানে থাকতে নিষেধ করেছিলেন। কারণ জিহাদ করা ফরয, আর ফরয ছেড়ে নফল ‘ইবাদাতের জন্য নিজেকে আলাদা রাখা অবাধ্যতার শামিল।

ইবনুল মালিক ত্বীবী (রহঃ)-এর কথা নকল করে বলেন, ‘‘উক্ত সাহাবী জিহাদ শেষ করে সেখানে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছিল, ঠিক সেভাবে যেভাবে আবেদ সাধকগণ নির্জনতা অবলম্বন করে থাকেন।

সত্তর বছর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সময়ের আধিক্য বুঝানো; কোনো সময়কে সীমাবদ্ধ করা উদ্দেশ্য নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)