৩৮১৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৮১৮-[৩২] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন বললেনঃ মক্কা বিজয়ের পরে আর হিজরত নেই (ফরয নয়), শুধু জিহাদ ও নিয়্যাত ব্যতীত। অতঃপর যখনই তোমাদেরকে জিহাদের জন্য আহবান করা হবে, তখনই তোমরা যুদ্ধ করার জন্য বের হয়ে যাবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْم الْفَتْح: ( «اهجرة بَعْدَ الْفَتْحِ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فانفروا»

وعن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يوم الفتح اهجرة بعد الفتح ولكن جهاد ونية واذا استنفرتم فانفروا

ব্যাখ্যা: (لَا هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ) তথা ‘মক্কা বিজয়ের পর থেকে আর কোনো হিজরত নেই’, এ কথার ব্যাখ্যায় আহলুল ‘ইলমগণ বলেন, কিয়ামত পর্যন্ত দারুল হার্ব থেকে দারুল ইসলামের উদ্দেশে হিজরত করার বিধান বাকী থাকবে। এ হাদীসটির ব্যাখ্যায় মূলত দু’টি কথা বলা হয়েছে:

প্রথম কথা: মক্কা বিজয়ের পর মক্কা থেকে আর কোনো হিজরত নেই। কারণ তা তখনই দারুল ইসলামে পরিণত হয়ে গেছে। আর হিজরত মূলত দারুল হার্ব থেকে দারুল ইসলামের দিকে হয়ে থাকে। আর এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মু’জিযা যে, দারুল ইসলামে অবস্থান করতে হবে- এখান থেকে হিজরত করা যাবে না।

দ্বিতীয় কথা: মক্কা বিজয়ের পর থেকে এ শহরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সেখান থেকে হিজরত করে অন্য কোথাও যাওয়া যাবে না- যেমনিভাবে বিজয়ের পূর্বেও মক্কা সম্মানিত ছিল। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ অর্থাৎ- ‘‘তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে তারা মর্যাদাগত দিক থেকে অধিক মর্যাদার অধিকারী, তারা তাদের সমান নয় যারা মক্কা বিজয়ের পর ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে’’- (সূরা আল হাদীদ ৫৭ : ১০)।

(وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ) তথা ‘কিন্তু জিহাদ এবং নিয়্যাত বাকী থাকবে’, এ কথার অর্থ হলো, হিজরতের যে ফযীলত বর্ণিত হয়েছে তা অর্জনের সঠিক উপায় হলো জিহাদ ও সকল কাজে সঠিক ও সুন্দর নিয়্যাত করা। (শারহে মুসলিম ৯ম খন্ড, হাঃ ১৩৫৩)

(وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا) অর্থাৎ- যখন ইমাম তথা মুসলিম নেতা তোমাদেরকে যুদ্ধের জন্য ডাকবে তখন তার ডাকে সাড়া দিয়ে বের হওয়া তোমাদের জন্য ওয়াজিব। ইমাম যুদ্ধের জন্য যাকে নির্ধারণ করবেন তার জন্য মুজাহিদ কাফেলায় যোগদান করা ফারযে ‘আইন হয়ে যায়। এ রকমই বর্ণিত হয়েছে ‘ইরশাদুস্ সাবি’ গ্রন্থে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৪৭৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)