৩৬৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদের বর্ণনা ও মধ্যপায়ীকে ভীতিপ্রদর্শন করা

৩৬৩৭-[৪] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিত্’ই (মধুর প্রস্তুতকৃত মদ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যে কোনো নেশা সৃষ্টিকারী পানীয় হারাম। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ بَيَانِ الْخَمْرِ وَوَعِيْدِ شَارِبِهَا

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْبِتْعِ وَهُوَ نَبِيذُ الْعَسَلِ فَقَالَ: «كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ»

وعن عاىشة قالت سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن البتع وهو نبيذ العسل فقال كل شراب اسكر فهو حرام

ব্যাখ্যা: ইমাম নববী বলেনঃ এতে স্পষ্ট যে, সকল প্রকারের নেশাগ্রস্ত নাবীয বা পানীয় হারাম আর মদ চাই আঙ্গুর থেকে হোক বা খেজুর। কাচা পাকা খেজুর, কিসমিস, যব, বীজ, মধু বা অন্য দ্রব্য থেকে হোক না কেন। এটা আমাদের মাযহাব এ মতে মালিক, আহমাদ, জুমহূররা রায় দিয়েছেন।

তবে আবূ হানীফাহ্ বলেনঃ আঙ্গুর ও খেজুরের ফলে পানীয় হারাম চাই তা কম হোক বা বেশী হোক। তবে যদি তা করা হয় আর তাতে এক-তৃতীয়াংশ কমে আসে তাহলে হারাম হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود)