৩৫১৯

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই

৩৫১৯-[১০] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রতি লৌহবর্ম দ্বারা ইশারা করল, অতঃপর তা হাত হতে ফেলে না দেয়া পর্যন্ত মালায়িকাহ্ (ফেরেশতারা) তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। যদিও লোকটি তার আপন ভাই হয়। (বুখারী)[1]

بَابُ مَا يُضْمَنُ مِنَ الْجِنَايَاتِ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَشَارَ إِلَى أَخِيهِ بِحَدِيدَةٍ فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَلْعَنُهُ حَتَّى يَضَعَهَا وَإِنْ كَانَ أخاهُ لأبيهِ وَأمه» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من اشار الى اخيه بحديدة فان الملاىكة تلعنه حتى يضعها وان كان اخاه لابيه وامه رواه البخاري

ব্যাখ্যা: হাদীসে মুসলিমের সম্মান মর্যাদার তাগিদ রয়েছে। আর তাকে ভীতিপ্রদর্শন করা বা ভয় দেখানো অথবা তাকে কষ্ট দেয় এমন কিছু উত্তোলন প্রসঙ্গে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সহোদর ভাইয়ের কথা উল্লেখ করার দ্বারা প্রত্যেকের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞাকে স্পষ্ট করার ব্যাপারে জোরদার করা হয়েছে। চাই তা রসিকতা করে হোক বা তামাশা করে হোক বা না হোক। কেননা মুসলিমকে ভয় দেখানো সর্বাবস্থায় হারাম।
ইমাম ত্বীবী বলেনঃ ভাইকে উল্লেখ করার দ্বারা কৌতুক ও অনিচ্ছায় ইঙ্গিতকে পূর্ণতা দান করা হয়েছে। প্রথমত ভাইকে উল্লেখ করে পরে আপন ভাইয়ের কথায় সীমাবদ্ধ করেছেন। এ বিষয়টি জানিয়ে দেয়ার জন্য যে, কেবল ঠাট্টা-তামাশা অনৈতিক ইচ্ছার দিকে প্ররোচিত করে। তাহলে বুঝা গেলো আপন ভাইয়ের ব্যাপারে যখন এই বিধান তখন অন্য মানুষের ক্ষেত্রে সম্মানিত পাঠকদের সিদ্ধান্ত কি হতে পারে?

কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রতি অস্ত্র উত্তোলন করলে ফেরেশতা অভিসম্পাত করতে থাকেন। [তুহফাতুল আহওয়াযী গ্রন্থকার বর্ণনা করে বলেন, মালায়িকার (ফেরেশতাদের) লা‘নাত করার অর্থ হলো, তাকে রহমাত থেকে বিতাড়িত করার ও দূরে সরানোর বদ্দু‘আ করা।]
অস্ত্র খোলা রাখার ক্ষেত্রে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জোর নিষেধ রয়েছে। যেমন এক বর্ণনায় রয়েছে : نَهٰى رَسُولُ اللّٰهِ ﷺ أَنْ يُتَعَاطَى السَّيْفُ مَسْلُولًا অর্থাৎ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাপ খোলা তরবারি নিয়ে চর্চা করতে নিষেধ করেছেন। এমনকি তরবারি ডেলিভারি করার সময় কোষবদ্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

ইবনুল ‘আরাবী বলেনঃ যখন অস্ত্র দ্বারা ইঙ্গিত করলেই অভিসম্পাতের উপযুক্ত হয়। তাহলে তা দ্বারা আঘাত করলে কি হতে পারে? আসলে ঐকান্তিকভাবে হোক বা তামাশা করে হোক ধমক দেয়ার জন্য অস্ত্র দ্বারা ইশারা করলে লা‘নাতপ্রাপ্ত হবে। (ফাতহুল বারী ১৩ খন্ড, হাঃ ৭০৭২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৬: কিসাস (প্রতিশোধ) (كتاب القصاص)