৩৫১৮

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই

৩৫১৮-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে কেউ যেন তার ভাইয়ের প্রতি অস্ত্র দ্বারা ইঙ্গিত না করে। কেননা, সে হয়তো জানে না শায়ত্বন তার এই হাতিয়ার দ্বারা তার ওপর আঘাত করিয়ে ক্ষতিসাধন করতে পারে, ফলে সে জাহান্নামের গর্তে নিক্ষিপ্ত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يُضْمَنُ مِنَ الْجِنَايَاتِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُشِيرُ أَحَدُكُمْ عَلَى أَخِيهِ بِالسِّلَاحِ فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي لَعَلَّ الشَّيْطَانَ يَنْزِعُ فِي يَدِهِ فَيَقَعُ فِي حُفْرَة من النَّار»

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يشير احدكم على اخيه بالسلاح فانه لا يدري لعل الشيطان ينزع في يده فيقع في حفرة من النار

ব্যাখ্যা: يَنْزِعُ শব্দের غين যোগে এর অর্থ প্রসঙ্গে খলীল বলেনঃ نزغ الشيطان بين القوم نزعا এর অর্থ হলো حمل بعضهم على بعض بالفساد অর্থাৎ ফাসাদ সৃষ্টির জন্য কাউকে অন্য কারো বিরুদ্ধে প্ররোচনা করা। যেমন বলা হয়েছে, مِنْ بَعْدِ أَنْ نَزَغَ الشَّيْطَان بيني وَبَين أخوتي ‘‘শায়ত্বন আমার ও আমার ভাইয়ের মাঝে প্ররোচনা দেয়ার পর’’।

আর نزع শব্দের عين যোগে এর অর্থ القلع অর্থাৎ খুলে ফেলা বা সরিয়ে দেয়া। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সম্প্রদায়ের মাঝে উষ্কানি দেয়া। যার কারণে তাদের একজন অন্য একজনের ওপর অস্ত্র উত্তোলন করে। অতঃপর শায়ত্বন তার প্রহারকে বাস্তবায়ন করে।

ইবনুত্ তীন বলেনঃ يَنْزِعُ এর অর্থ হলো «يَقْلَعُه مِنْ يَدِه فَيُصِيبُ بِهِ الْاٰخَرَ» অর্থাৎ শায়ত্বন তার হাত থেকে অস্ত্রকে খুলে সরিয়ে দেয় ফলে তার দ্বারা অন্যজন আক্রান্ত হয় অথবা শায়ত্বন তার হাতকে এই সময় শক্ত করে দেয় যাতে তা লক্ষভ্রষ্ট না হয়।

ইমাম নববী বলেনঃ عين যোগে এর অর্থ হলো শায়ত্বন উক্ত ব্যক্তির হাতের মধ্যে থেকে নিক্ষেপ করে এবং প্রহার বা আঘাতকে নিশ্চিত করে।

আর غين যোগে এর অর্থ হলো الاغراء। তথা উস্কানি দেয়া বা প্ররোচিত করা। অর্থাৎ আঘাতকে ব্যক্তির কাছে সুশোভিত করে তোলা।

(فَيَقَعُ فِىْ حُفْرَةٍ مِنَ النَّارِ) এই বাক্য দ্বারা কোনো ব্যক্তির পাপাচারে নিপতিত হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে যা তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করায়।

ইবনু বাত্ত্বল বলেনঃ এর অর্থ তার ওপর শাস্তি কার্যকর হয়। ঐকান্তিক ইচ্ছায় হোক বা রসিকতা করে হোক যাতে ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এরূপ হাদীসে নিষেধ রয়েছে। (ফাতহুল বারী ১৩শ খন্ড, হাঃ ৭০৭২; শারহে মুসলিম ১৬শ খন্ড, হাঃ ২৬১৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৬: কিসাস (প্রতিশোধ) (كتاب القصاص)