৩৩৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৫৪-[১৩] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমার নিকট ধন-সম্পদ আছে এবং আমার পিতা দারিদ্র্যতার দরুন আমার ধন-সম্পদের মুখাপেক্ষী। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি এবং তোমার ধন-সম্পদ তোমার পিতার। তোমাদের সন্তান-সন্ততিগণ তোমাদের উত্তম রিযক। সুতরাং তোমরা সন্তানের উপার্জন খাও। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ لِي مَالًا وَإِنَّ وَالِدِي يَحْتَاجُ إِلَى مَالِي قَالَ: «أَنْتَ وَمَالُكَ لِوَالِدِكَ إِنَّ أَوْلَادَكُمْ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِكُمْ كُلُوا مِنْ كَسْبِ أَوْلَادِكُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ ماجة

عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده ان رجلا اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال ان لي مالا وان والدي يحتاج الى مالي قال انت ومالك لوالدك ان اولادكم من اطيب كسبكم كلوا من كسب اولادكم رواه ابو داود وابن ماجة

ব্যাখ্যা: (أَنْتَ وَمَالُكَ لِوَالِدِكَ) ‘‘তুমি এবং তোমার মাল তোমার পিতার।’’ হাদীসের মর্ম হলো, পিতা যদি ছেলের মালের মুখাপেক্ষী হয় তবে ছেলের জন্য জরুরী হলো পিতার খোরাক ও চলার পরিমাণ খরচ নিতে পিতাকে বাধা না দেয়া। কেননা ছেলের ওপর তা আদায় করা ওয়াজিব। তাই পিতা নিজেই যদি এই পরিমাণ নিয়ে নেন তবে বাধা দেয়ার কিছু নেই। ছেলের যদি মাল না থাকে তবে তাকে পিতার জন্য উপার্জন করা ওয়াজিব। এটাকেই বলা হয়েছে ‘তুমি এবং তোমার মাল তোমার পিতার’। অর্থাৎ মাল থাকলে পিতা ঐ মাল থেকে নিবে, আর মাল না থাকলে তুমি পিতার জন্য উপার্জন করবে।

হাদীসের পরবর্তী অংশ পূর্ববর্তী অংশের অর্থকে স্পষ্ট করে দিয়েছে। অর্থাৎ ‘‘তোমাদের সন্তান তোমাদের কামাইয়ের সর্বোত্তম পন্থা, তোমরা তাদের কামাই থেকে খাও’’ এই অংশ প্রথম অংশের ব্যাখ্যা স্বরূপ।

হাদীস থেকে সন্তানের ওপর পিতার খোরাকের দায়িত্বের মাসআলাটি বের হয়। সন্তান তার মাল থেকে বা উপার্জন করে পিতার খোরাক বহন করবে। মাল থাকাবস্থায় খোরাক দিতে অবহেলা করলে পিতার জন্য তা নিয়ে নেয়া বৈধ রয়েছে।

তবে এই হাদীস থেকে পিতা তার ছেলের মালের মালিক হয়ে যাওয়া এবং এবং তার ইচ্ছামত ব্যয় করার অধিকার ফুকাহায়ে কিরামের কেউই দেন না। কেননা সবাই নিজ নিজ মালের মালিক। নির্ধারিত শারী‘আত পন্থা ছাড়া কেউ অন্যের মালের মালিক হয় না। তাই পিতাও ছেলের মালের মালিক হবে না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫২৭)

বর্ণিত হাদীসে ছেলের মালে পিতার একটি ন্যায়সঙ্গত অধিকার দেয়া হয়েছে। পিতাকে ছেলের মালের মালিক বানিয়ে দেয়া হয়নি।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)