৩০৭৩

পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ওয়াসিয়্যাত (অন্তিম উপদেশ বা নির্দেশ)

৩০৭৩-[৪] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিদায় হজে/হজ্জের খুৎবায় বলতে শুনেছি, আল্লাহ প্রত্যেক হকদারকে তার হক দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং কোনো ওয়ারিসের জন্যই কোনো ওয়াসিয়্যাত নেই। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

ইমাম তিরমিযী অতিরিক্ত বলেছেন, [তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এটাও বলেছেনঃ] সন্তান বিছানার মালিকের; আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। আর পরকালে তাদের হিসাব আল্লাহর হাতে।

وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ: «إِنِ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلَا وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَزَادَ التِّرْمِذِيُّ: «الْوَلَدُ لِلْفَرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ»

وعن ابي امامة قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول في خطبته عام حجة الوداع ان الله قد اعطى كل ذي حق حقه فلا وصية لوارث رواه ابو داود وابن ماجه وزاد الترمذي الولد للفراش وللعاهر الحجر وحسابهم على الله

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিদায় হজে/হজ্জের খুৎবা কিয়দাংশ আলোচিত হয়েছে। তিনি বলেন- নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক অধিকারীর অধিকার বা অংশ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ- সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুতরাং কোনো ওয়ারিসের জন্যে ওয়াসিয়্যাত করা বৈধ হবে না। কেননা ওয়ারিসদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রাপ্ত অংশকে সু-নির্ধারিত করেছেন। তাই ওয়ারিসদের মীরাসের আয়াত নাযিল হওয়ার পূর্বে ওয়ারিসদের জন্য ওয়াসিয়্যাত ফরয ছিল, মীরাসের আয়াত নাযিল হলে তা বাতিল হয়ে যায়। তবু কেউ যদি করে ফেলে তাবে ওয়ারিসদের অনুমতিক্রমে তা বৈধ হবে। তিনি আরো বলেন, সন্তান তারই হবে যার অধীনে সন্তানের মা রয়েছে এবং যিনাকারীর জন্য রয়েছে পাথর তথা শারী‘আত কর্তৃক শাস্তি। উক্ত শাস্তি পৃথিবীতে যিনাকারীদের কার্যকর করা হবে এবং তাদের যাবতীয় হিসাব আল্লাহর ওপর। ইচ্ছা করলে তিনি তাকে পরকালে শাস্তি দিবেন, আর যদি ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে ক্ষমা করবেন। বলা হয় যে, যদি কারো ওপর শারী‘আতের হাদ্দ কার্যকর করা হয় তাকে পরকালে শাস্তি দেয়া হবে না। কেননা আল্লাহ তা‘আলা পরম ক্ষমাশীল। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৭; তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২১২০; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)