৩০২১

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাদিয়া (উপহার) ও হিবার (অনুদান) প্রসঙ্গে

৩০২১-[৬] ইবনু ’উমার ও ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তির পক্ষে দান করে, অতঃপর তা ফেরত নেয়া জায়িয নয়; শুধুমাত্র পিতা তার নিজ পুত্রকে যা দান করে সেটা ছাড়া। যে ব্যক্তি দান করে, অতঃপর তা ফেরত নেয়, তার দৃষ্টান্ত সেই কুকুরের মতো যে খায়, পরিশেষে যখন পেটপুরে খায় তখন বমি করে, অতঃপর নিজ বমিই পুনরায় খায়। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ; তিরমিযী একে সহীহ্ বলেছেন)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُعْطِيَ عَطِيَّةً ثُمَّ يَرْجِعَ فِيهَا إِلَّا الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ وَمَثَلُ الَّذِي يُعْطِي الْعَطِيَّةَ ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَا كَمَثَلِ الْكَلْبِ أَكَلَ حَتَّى إِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ عَادَ فِي قَيْئِهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَصَححهُ التِّرْمِذِيّ

وعن ابن عمر وابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يحل للرجل ان يعطي عطية ثم يرجع فيها الا الوالد فيما يعطي ولده ومثل الذي يعطي العطية ثم يرجع فيها كمثل الكلب اكل حتى اذا شبع قاء ثم عاد في قيىه رواه ابو داود والترمذي والنساىي وابن ماجه وصححه الترمذي

ব্যাখ্যা: (وَمَثَلُ الَّذِىْ يُعْطِى الْعَطِيَّةَ ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَا) এতে দান ফিরিয়ে নেয়া হারাম সাব্যস্তকরণের উপর প্রমাণ রয়েছে। আর এটা হলো- জুমহূর বিদ্বানদের মাযহাব। ইমাম বুখারী (بَابَ لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِه وَصَدَقَتِه) ‘‘দান, সাদাকা ফিরিয়ে নেয়া কারো জন্য বৈধ না’’ এ ভাষ্যে একটি অধ্যায় বেঁধেছেন। সন্তান এবং অনুরূপকে দান করা সম্পর্কে যা এসে থাকে তা জুমহূর আলাদাভাবে দেখেছেন। হাদাবিয়্যা এবং আবূ হানীফাহ্ সাদাকা ছাড়া অন্যান্য দান ফিরিয়ে নেয়া বৈধ হওয়ার ব্যাপারে মত পোষণ করেছেন। তবে মাহরাম ব্যক্তিকে দানের বিষয়টি আলাদা। তারা বলেন, হাদীসটি দ্বারা মাকরূহ বিষয়ে কঠোরতা উদ্দেশ্য। ত্বহাবী বলেনঃ (كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِه) ‘‘বমি করে পুনরায় তা গ্রহণকারীর মতো।’’ এ উক্তি যদিও হারাম সাব্যস্তকরণকে দাবী করছে তথাপিও অন্য বর্ণনাতে অতিরিক্ত আছে, আর তা হলো- তার উক্তি (كَالْكَلْبِ) যা হারাম সাব্যস্ত না করার উপর প্রমাণ বহন করছে। কেননা কুকুর ‘ইবাদাতকারী না। সুতরাং বমি তার উপর হারাম নয়। উদ্দেশ্য হলো- কুকুরের কাজের সাথে সাদৃশ্য রাখে এমন কাজ থেকে পবিত্র থাকা। ব্যাখ্যাটি অসম্ভব এবং হাদীসের বাচন-ভঙ্গি এর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে এর সমালোচনা করা হয়েছে এ ধরনের ভাষ্যের ক্ষেত্রে শারী‘আতের রীতি হলো কঠোর ধমক। যেমন- সালাতে কুকুরের মতো বসা, কাকের মতো ঠোকরানো এবং শিয়াল ও অনুরূপ কিছুর মতো এদিক-সেদিক তাকানো সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে। এ বর্ণনাগুলো দ্বারা সালাত আদায়কারীর জন্য উক্ত কাজসমূহ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে। অতএব সুদূরপ্রসারী ব্যাখ্যার দিকে তাকানো হবে না। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২১৩১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)