২৯৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ

২৯৫৪-[১৭] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোনো বাগানে ঢুকে সে যেন তা হতে খায়, তবে যেন কাপড় ভর্তি করে কিছু না নিয়ে যায়। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ; কিন্তু ইমাম তিরমিযী [রহঃ] বলেন, হাদীসটি গরীব)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ دَخَلَ حَائِطًا فَلْيَأْكُلْ وَلَا يَتَّخِذْ خُبْنَةً» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من دخل حاىطا فلياكل ولا يتخذ خبنة رواه الترمذي وابن ماجه وقال الترمذي هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা : আবূ ‘ঈসা (তিরমিযী) বলেনঃ ইবনু ‘উমার-এর হাদীস গরীব হাদীস। এ সানাদ ছাড়া অন্য কোনো সানাদে হাদীসটি আমি জানতে পারিনি। কতিপয় বিদ্বান মালিকের অনুমতি ছাড়াই মুসাফির ব্যক্তিকে ফল খাওয়ার ব্যাপারে অবকাশ দিয়েছেন, আর কতিপয় মূল্য ছাড়া তা খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন।

ইমাম নববী শারহুল মুহাযযাবে বলেনঃ যে ব্যক্তি বাগান, শস্য ক্ষেত অথবা চতুস্পদ জন্তুর পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে এমন ব্যক্তির মাসআলার ক্ষেত্রে বিদ্বানগণ মতানৈক্য করেছেন। জুমহূর বলেন, ব্যক্তির তা হতে গ্রহণ করা বৈধ হবে না, তবে একান্ত প্রয়োজনাবস্থায় ব্যক্তি তা হতে গ্রহণ করবে এবং জরিমানা দিবে, এটা শাফি‘ঈ এবং জুমহূরের মত।

কতিপয় সালাফ বলেন, তার জন্য কিছুই আবশ্যক হবে না। আহমাদ বলেন, যখন বাগানের উপর কোনো দেয়াল থাকবে না, তখন বাগানোর টাটকা ফল খাওয়া তার জন্য বৈধ হবে। ইমাম আহমাদ-এর দু’টি বর্ণনার মাঝে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মতে বিনা প্রয়োজনেও তা বৈধ। অন্যমতে যখন সে তার মুখাপেক্ষী হবে তখন বাগানের দেয়াল থাক আর না থাক কোনো অবস্থাতে তার ওপর জরিমানা বর্তাবে না। শাফি‘ঈ মতটিকে তার সাথে সম্পর্কিত করেছেন হাদীসের বিশুদ্ধতার উপরে। বায়হাক্বী বলেন, ইবনু ‘উমার-এর হাদীস মারফূ‘।

(حَائِطًا فَلْيَأْكُلْ وَلَا يَتَّخِذْ خُبْنَةً) অর্থাৎ- যখন তোমাদের কেউ কোনো বাগানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে, তখন সে যেন ঐ বাগান হতে খায় এবং কাপড়ে যেন না নেয়। তিরমিযী একে সংকলন করেছেন এবং একে গরীব বলেছেন। এমনিভাবে ফাতহুল বারীতে আছে, তুহফাতুল আহওয়াযীর ভাষ্যকার বলেনঃ আমি বলব, বায়হাক্বী এ হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। অতঃপর বলেছেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ সাব্যস্ত হয়নি এবং বিভিন্ন সানাদে এটি দুর্বল সাব্যস্ত হয়েছে। হাফিয বলেন, সঠিক কথা হলো- এ সানাদগুলো মিলে সহীহ-এর স্থল হতে নীচে আসবে না। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১২৮৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)