পরিচ্ছেদঃ
৪৭৬। যে ব্যক্তি এক চতুর্থাংশ কুরআন পাঠ করবে, তাকে এক চতুর্থাংশ নবুওয়াত দেয়া হবে। যে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পাঠ করবে, তাকে এক তৃতীয়াংশ নবুওয়াত দেয়া হবে। যে দুই তৃতীয়াংশ কুরআন পাঠ করবে, তাকে দুই তৃতীয়াংশ নবুওয়াত দেয়া হবে এবং যে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করবে, তাকে সম্পূর্ণ নবুওয়াত দেয়া হবে।
হাদীসটি জাল।
এটি আবু বাকর আজুরী "আদাবু হামালাতীল কুরআন" গ্রন্থে (পৃঃ ১৩৫) মাসলামা ইবনু আলী সূত্রে যায়েদ ইবনু ওয়াকেদ হতে ... বর্ণনা করেছেন। মাসলামা ইবনু আলী মিথ্যার দোষে দোষী।
ইবনুল জাওয়ী হাদীসটি তার “আল-মাওযুআত” (১/২৫২) গ্রন্থে এক চতুর্থাংশ বাক্যটি বাদ দিয়ে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়। বর্ণনাকারী বিশর ইবনু নুমায়ের মাতরূক। ইয়াহইয়া ইবনু মা’ঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/৩৪৩) তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি ইবনুল আম্বারী “কিতাবুল ওয়াকফ ওয়াল ইবতিদা” গ্রন্থে এবং বাইহাকী “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এ বিশর হচ্ছেন ইবনু মাজাহর বর্ণনাকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু মাজাহ্ তার কিতাবে মিথ্যুকদের হাদীস বর্ণনাকারী হিসাবে প্রসিদ্ধ। কিছু পূর্বেই তার এরূপ একটি হাদীস আলোচিত হয়েছে। যার একজন বর্ণনাকারী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ মিথ্যুকদের একজন।
সুয়ূতী ইবনু উমারের হাদীস হতেও একটি শাহেদ উল্লেখ করেছেন। যাতে কাসেম ইবনু ইবরাহীম মালাতী রয়েছেন। সুয়ূতী নিজেই বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য ছিলেন না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাহলে হাদীসটি উল্লেখ করে কী লাভ হলো? তার সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।
যাহাবী বলেনঃ তিনি এমন এক সমস্যা নিয়ে এসেছেন যা বহনযোগ্য নয়।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজের রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছেন, দেখেছেন সব কিছু এমনকি তার তাজও! ...। পূর্বের হাদীসটি বর্ণনা করার পর যাহাবী এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ এটি বাতিল, এটির ভ্রষ্টতা পূর্বেরটির ন্যায়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি এবং এটির ন্যায় অন্য হাদীসগুলো থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, হাদীস শাস্ত্রে সুয়ুতী এবং যাহাবীর মাঝে পার্থক্য কতটুকু।
সুয়ুতী আরেকটি শাহেদ তাম্মাম ইবনু নামীহ সূত্রে হাসান হতে মারফু হিসাবে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি চুপ থেকেছেন। এ সূত্রটি মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও তাতে তাম্মাম রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বানোয়াট বহু কিছু বর্ণনা করেছেন। তিনি যেন তা ইচ্ছাকৃতই করেছেন।
من قرأ ربع القرآن فقد أوتي ربع النبوة، ومن قرأ ثلث القرآن فقد أوتي ثلث النبوة، ومن قرأ ثلثي القرآن فقد أوتي ثلثي النبوة، ومن قرأ القرآن فقد أوتي النبوة
موضوع
-
رواه أبو بكر الآجري في " آداب حملة القرآن " (ورقة 135 من مجموع 66 - ظاهرية دمشق) من طريق مسلمة بن علي عن زيد بن واقد عن مكحول عن أبي أمامة الباهلي مرفوعا
قلت: مسلمة بن علي متهم وقد سبق مرارا
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 252) دون جملة الربع وقال: لا يصح، بشر (يعني بن نمير) متروك، وقال يحيى بن سعيد: كذاب
وتعقبه السيوطي في " اللآليء " (1 / 343) بما لا طائل تحته كعادته! فقال
أخرجه ابن الأنباري في كتاب " الوقف والابتداء " والبيهقي في " شعب الإيمان " وبشر من رجال ابن ماجه
قلت: فكان ماذا؟ وابن ماجه معروف بتخريجه للكذابين، وقد مضى قريبا حديث أخرجه ابن ماجه من طريق رجل قال فيه الإمام أحمد: كان من الكذابين الكبار، ثم ساق له السيوطي شاهدا من حديث ابن عمر، وفيه قاسم بن إبراهيم الملطي قال السيوطي: ليس بثقة
قلت: فما الفائدة من سياق حديثه إذن؟ وقد قال فيه الدارقطني: كذاب، وقال الذهبي: أتى بطامة لا تطاق، ثم ساق له حديثا مرفوعا فيه أن النبي صلى الله عليه وسلم رآى ربه ليلة الإسراء، وأنه رأى منه كل شيء حتى التاج قاتله الله ما أجرأه على الله، ثم قال الذهبي: ( وأطم منه. . . )
فذكر هذا الحديث ثم قال: وهذا باطل وضلال كالذي قبله
قلت: ومن هذا وأمثاله يتبين لك الفرق بين الذهبي والسيوطي
ثم ذكر السيوطي شاهدا آخر من طريق تمام بن نجيح عن الحسن مرفوعا وقد سكت عليه السيوطي وهذا من مساوئه، فإنه مع إرساله فيه تمام، قال ابن حبان: روى أشياء موضوعة عن الثقات كأنه المتعمد لها