পরিচ্ছেদঃ
৪৬৪। ঈমান অন্তরে স্থায়ী পর্বতমালার ন্যায় প্রতিষ্ঠিত। তার বৃদ্ধি হওয়া ও কমে যাওয়া কুফরী।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু হিব্বান “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (২/১০৩) উসমান ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে আমর উমুবীর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান এবং (তার অনুসরণ করে) যাহাবী বলেনঃ এ হাদীসটি আবু মুতী হাম্মাদের উপর জাল করেছেন এবং তার থেকে চুরি করেছেন এ শাইখ (উসমান ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে আমর ইবনে উসমান)। তিনি খুরাসানে এসেছিলেন, অতঃপর তাদের নিকট লায়স এবং মালেক হতে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি তাদের উপর হাদীস জাল করতেন। সাবধানতা অবলম্বনের উদ্দেশ্য ছাড়া তার হাদীস লিখাই হালাল নয়। হাফিয ইবনু হাজার তার এ বক্তব্যকে "আল-লিসান" গ্রন্থে সমর্থন করেছেন।
এ আবু মুতী হচ্ছেন সেই বালখী যিনি আবু হানীফা (রহঃ)-এর সাথী। পূর্বের হাদীসে তার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইবনুল জাওযী “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (১/১৩১) হাকিমের বর্ণনায় আবু মুতীর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটি বানোয়াট। আবু মুতী হচ্ছেন হাকাম ইবনু আবদিল্লাহ, তিনি মিথ্যুক। আবূ মুহাযেমও একই রকম। তার থেকে চুরি করেছেন উসমান ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে আমর ইবনে উসমান ইবনে আফফান, তিনিও জালকারী মিথ্যুক। হাকিম বলেনঃ সনদটিতে বহু অন্ধকার রয়েছে এবং হাদীসটি বাতিল। এর জন্য দায়ী আবু মুতী। তার থেকে চুরি করেছেন উসমান, অতঃপর হাম্মাদ হতে বর্ণনা করেছেন।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/৩৮) তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটি ঈমান বাড়ার বিষয়ে বহু সুস্পষ্ট আয়াত বিরোধী । যেমন সূরা ফাতাহের ৪ নং আয়াত এবং সূরা আনফালের ২ নং আয়াত।
الإيمان مثبت في القلب كالجبال الرواسي، وزيادته ونقصه كفر
موضوع
-
أخرجه ابن حبان في " الضعفاء " (2 / 103) في ترجمة عثمان بن عبد الله بن عمرو الأموي من روايته عن حماد بن سلمة عن أبي المهزم عن أبي هريرة قال
لما قدم وفد ثقيف على رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: جئناك نسألك عن الإيمان أيزيد أو ينقص؟ قال ... فذكره
قال ابن حبان وتبعه الذهبي: فهذا وضعه أبو مطيع على حماد، فسرقه هذا الشيخ منه، وكان قدم خراسان فحدثهم عن الليث ومالك، وكان يضع عليهم الحديث لا يحل كتب حديثه إلا على سبيل الاعتبار، وأقره الحافظ في اللسان
وأبو مطيع هذا هو البلخي صاحب أبي حنيفة سبق ذكره في الحديث الذي قبل هذا
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من رواية الحاكم من طريق أبي مطيع حدثنا حماد بن سلمة به، وقال ابن الجوزي: موضوع أبو مطيع الحكم بن عبد الله كذاب، وكذا أبو مهزم، وسرقه منه عثمان بن عبد الله بن عمرو بن عثمان بن عفان وهو أيضا كذاب وضاع، قال الحاكم: إسناده فيه ظلمات، والحديث باطل، والذي تولى كبره أبو مطيع وسرقه منه عثمان فرواه عن حماد
ووافقه السيوطي في " اللآليء " (1 / 38)
قلت: وهذا الحديث مخالف للآيات الكثيرة المصرحة بزيادة الإيمان كقوله تعالى
( ... ليزداد الذين آمنوا إيمانا ... ) (الفتح: 4) فكفى بهذا دليلا على بطلان مثل هذا الحديث وإن قال بمعناه جماعة