৪৬৩

পরিচ্ছেদঃ

৪৬৩। আসমান যে যমীনে পানি (বৃষ্টি) দিবে তাতে উৎপন্ন শষ্যে দশমাংশ, আর যে যমীনে সেচের মাধ্যমে (উট ব্যবহারের দ্বারা) বা বালতি দিয়ে পানি দেয়া হয়েছে তাতে উৎপন্ন শষ্যে বিশমাংশ যাকাত দিতে হবে। উৎপন্ন শষ্য কম হোক আর বেশী হোক কোন পার্থক্য নেই।

হাদীসটি এ বর্ধিত অংশের কারণে في قليله وكثيره জাল।

এটি আবু মুতী আল-বালখী আবু হানীফা (রহঃ) হতে, তিনি আবান হতে, তিনি আবু আইয়াশ হতে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এক ব্যক্তির মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি বানোয়াট। আবু মতী’ বালখীর নাম হাকাম ইবনু আবদিল্লাহ, তিনি আবু হানীফার (রহঃ) সাথী। তার সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি ছিলেন মিথ্যুক। জুযজানী বলেনঃ তিনি ছিলেন মুরজিয়া সম্প্রদায়ের হাদীস জলিকারী নেতাদের একজন। তাকে ইমামগণ দুর্বল বলেছেন। যাহাবী তাকে হাদীস জাল করার দোষে দোষী করেছেন। আবান ইবনু আবী আইয়াশও মিথ্যার দোষে দোষী।

যায়লাঈ হাদীসটি “নাসবুর রায়া” গ্রন্থের মধ্যে (২/৩৮৫) উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ ইবনুল জাওয়ী “আত-তাহকীক” গ্রন্থে বলেনঃ হানাফীরা আবু হানীফা (রহঃ) হতে যে সব হাদীস আবু মুতী বালখী বর্ণনা করেছেন তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ এ সনদটি কোন বস্তুরই সমতুল্য নয়। আবু মুতী সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না। আহমাদ বলেনঃ তার থেকে বর্ণনা করা উচিত নয়। আবু দাউদ বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তার হাদীসকে পরিত্যাগ করেছেন। আবানও নিতান্তই দুর্বল। তাকে শু’বা দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ “আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছে শু’বা তাকে মিথ্যুক বলেছেন। ইমাম বুখারী যে হাদীসটি তার সহীহার মধ্যে ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীস হতে উৎপন্ন শষ্য কম হোক আর বেশী হোক কোন পার্থক্য নেই এ অংশটুকু বাদ দিয়ে বর্ণনা করেছেন, সেটি আলোচ্য হাদীসটি মিথ্যা হওয়ার প্রমাণ বহন করছে। অনুরূপভাবে মুসলিম জাবের (রাঃ) হতে এবং তিরমিযী আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। “ইরওয়াউল গালীল” গ্রন্থে (৭৯৯) আমি এটির তাখরীজ করেছি।

এ বর্ধিত অংশটুকু যে বাতিল তাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। এ বাতিল হওয়াকে আরো শক্তিশালী করছে বুখারী এবং মুসলিমে বর্ণিত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণীঃليس فيما دون خمسة أوسق صدقة "পাঁচ আসাকের নিচে কোন সাদাকা (যাকাত) নেই।" এটিরও "ইরওয়াউল গালীল" গ্রন্থে (৮০০) তাখরীজ করেছি। ইমাম মুহাম্মাদ এ সহীহ হাদীস গ্রহণ করে তার শাইখ আবু হানীফা (রহঃ) এর বিরোধিতা করেছেন। যেমনটি তিনি “কিতাবুল আসার” গ্রন্থে (পৃ. ৫২) এবং "মুওয়াত্তার” মধ্যে (পৃ. ১৬৯) স্পষ্টভাবে বলেছেন।

যা বান্দাদের উপর ওয়াজিব নয় তা ওয়াজিব করে দেয়া হচ্ছে দুর্বল হাদীসের একটি মন্দ দিক। এ হাদীসটি তারও প্রমাণ বহন করছে।

فيما سقت السماء العشر، وفيما سقي بنضح أو غرب نصف العشر في قليله وكثيره
موضوع بهذه الزيادة: في قليله وكثيره

-

رواه أبو مطيع البلخي عن أبي حنيفة عن أبان بن أبي عياش عن رجل عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
قلت: وهذا موضوع، أبو مطيع البلخي واسمه الحكم بن عبد الله صاحب أبي حنيفة قال أبو حاتم: كان كذابا، وقال الجوزجاني: كان من رؤساء المرجئة ممن يضع الحديث، وضعفه سائر الأئمة، وقد اتهمه الذهبي بوضع حديث يأتي عقب هذا، وأبان بن أبي عياش متهم أيضا وقد مضى له أحاديث
والحديث أورده الزيلعي في " نصب الراية " (2 / 385) وقال: قال ابن الجوزي في " التحقيق ": واحتجت الحنفية بما روى أبو مطيع البلخي عن أبي حنيفة ... قال: وهذا الإسناد لا يساوي شيئا، أما أبو مطيع فقال ابن معين: ليس بشيء، وقال أحمد لا ينبغي أن يروى عنه، وقال أبو داود: تركوا حديثه، وأما أبان فضعيف جدا، ضعفه شعبة
قلت: بل كذبه شعبة كما في الميزان وقد تقدم
ومما يدل على كذب هذا الحديث أن البخاري أخرجه في " صحيحه " من حديث ابن عمر دون قوله: " في قليله وكثيره " وكذلك رواه مسلم من حديث جابر والترمذي من حديث أبي هريرة وهو مخرج في " الإرواء " (799) فهذه الزيادة باطلة ويزيدها بطلانا ما في " الصحيحين " وغيرهما عنه صلى الله عليه وسلم " ليس فيما دون خمسة أوسق صدقة " وهو مخرج في " الإرواء " أيضا (800) وبهذا الحديث الصحيح أخذ الإمام محمد خلافا لشيخه أبي حنيفة كما صرح به في " كتاب الآثار " (ص 52)
فهذا أيضا من آثار الأحاديث الضعيفة إيجاب ما لم يوجبه الله على عباده وعلى الرغم من هذا فإننا لا نزال نسمع بعضهم يجهر بمثل هذا الإيجاب أخذا بما تقتضيه المصلحة كما زعموا

فيما سقت السماء العشر، وفيما سقي بنضح او غرب نصف العشر في قليله وكثيره موضوع بهذه الزيادة: في قليله وكثيره - رواه ابو مطيع البلخي عن ابي حنيفة عن ابان بن ابي عياش عن رجل عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت: وهذا موضوع، ابو مطيع البلخي واسمه الحكم بن عبد الله صاحب ابي حنيفة قال ابو حاتم: كان كذابا، وقال الجوزجاني: كان من روساء المرجىة ممن يضع الحديث، وضعفه ساىر الاىمة، وقد اتهمه الذهبي بوضع حديث ياتي عقب هذا، وابان بن ابي عياش متهم ايضا وقد مضى له احاديث والحديث اورده الزيلعي في " نصب الراية " (2 / 385) وقال: قال ابن الجوزي في " التحقيق ": واحتجت الحنفية بما روى ابو مطيع البلخي عن ابي حنيفة ... قال: وهذا الاسناد لا يساوي شيىا، اما ابو مطيع فقال ابن معين: ليس بشيء، وقال احمد لا ينبغي ان يروى عنه، وقال ابو داود: تركوا حديثه، واما ابان فضعيف جدا، ضعفه شعبة قلت: بل كذبه شعبة كما في الميزان وقد تقدم ومما يدل على كذب هذا الحديث ان البخاري اخرجه في " صحيحه " من حديث ابن عمر دون قوله: " في قليله وكثيره " وكذلك رواه مسلم من حديث جابر والترمذي من حديث ابي هريرة وهو مخرج في " الارواء " (799) فهذه الزيادة باطلة ويزيدها بطلانا ما في " الصحيحين " وغيرهما عنه صلى الله عليه وسلم " ليس فيما دون خمسة اوسق صدقة " وهو مخرج في " الارواء " ايضا (800) وبهذا الحديث الصحيح اخذ الامام محمد خلافا لشيخه ابي حنيفة كما صرح به في " كتاب الاثار " (ص 52) فهذا ايضا من اثار الاحاديث الضعيفة ايجاب ما لم يوجبه الله على عباده وعلى الرغم من هذا فاننا لا نزال نسمع بعضهم يجهر بمثل هذا الايجاب اخذا بما تقتضيه المصلحة كما زعموا
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ