পরিচ্ছেদঃ
৩৬১। যদি (রক্তের সম্পর্কের) আত্নীয়ের জন্য হেবা করা হয়, তাহলে তা ফিরিয়ে নেয়া যায় না।
হাদীসটি মুনকার।
এটি দারাকুতনী (পৃঃ ৩০৭), হাকিম (২/৫২) ও বাইহাকী (৬/১৮১) হাসান সূত্রে সামুরা ইবনু জুনদুব হতে মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর হাকিম বলেছেনঃ বুখারীর শর্তানুযায়ী এটি সহীহ।
তার ছাত্র বাইহাকী তার এ কথার বিরোধিতা করে বলেছেনঃ এটির সনদ শক্তিশালী নয়। এটিই সঠিক, কারণ সামুরা হতে হাসান কর্তৃক শ্রবণ সাব্যস্ত হয়েছে কিনা তাতে মতভেদ রয়েছে। তারপরও তিনি মুদাল্লিস বর্ণনাকারী, কীভাবে এটি সহীহ হয়?
যায়লাঈ "নাসবুর রায়া" গ্রন্থে (৪/১১৭) আল্লামা ইবনু আবদিল হাদী হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ এ হাদীসটির বর্ণনাকারী সকলেই নির্ভরশীল, কিন্তু হাদীসটি মুনকার। হাসান সূত্রে সামুরা হতে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা মুনকার হচ্ছে এ হাদীসটি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি সহীহ হাদীস বিরোধীঃ “একমাত্র পিতা কর্তৃক পুত্রকে হিবাকৃত মাল ফিরিয়ে নেয়া ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে হিবাকৃত মাল ফিরিয়ে নেয়া হালাল নয়, কারণ যে হিবাকৃত বস্তু ফিরিয়ে নেয়, সে হচ্ছে ঐ কুকুরের ন্যায় যে খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে বমি করে নিজের বমি নিজেই খায়।” হাদীসটি ইমাম আহমাদ (নং ২১১৯) সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। “সুনান” গ্রন্থের লেখকগণও বর্ণনা করেছেন। অতঃপর এটিকে সহীহ বলেছেন। তিরমিয়ী, ইবনু হিব্বান ও হাকিম ইবনু উমার এবং ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
“ইরওয়াউল গালীল” গ্রন্থের ১৬২২ নাম্বারে এটির তাখরীজ করা হয়েছে।
إذا كانت الهبة لذي رحم لم يرجع فيها
منكر
-
أخرجه الدارقطني (ص 307) والحاكم (2 / 52) والبيهقي (6 / 181) من طريق الحسن عن سمرة بن جندب مرفوعا
وقال الحاكم: صحيح على شرط البخاري، وخالفه تلميذه البيهقي فقال: ليس إسناده بالقوي
وهذا هو الصواب للخلاف المعروف في سماع الحسن وهو البصري من سمرة، ثم هو مدلس وقد عنعنه، فأنى له الصحة؟ وقد نقل الزيلعي في " نصب الراية " (4 / 117) عن صاحب " التنقيح " وهو العلامة ابن عبد الهادي أنه قال: ورواة هذا الحديث كلهم ثقات، ولكنه حديث منكر، وهو من أنكر ما روى عن الحسن عن سمرة
قلت: وهو مخالف للحديث الصحيح: " لا يحل للرجل أن يعطي العطية فيرجع فيها إلا الوالد فيما يعطي ولده، ومثل الذي يعطي العطية فيرجع فيها كمثل الكلب أكل حتى إذا شبع قاء ثم رجع في قيئه " أخرجه أحمد (رقم 2119) بسند صحيح، وأصحاب " السنن " وصححه الترمذي وابن حبان والحاكم من حديث ابن عمر وابن عباس مرفوعا. وهو مخرج في " الإرواء " تحت الحديث رقم (1622)
تنبيه: عزا صديق خان في " الروضة الندية " (2 / 168) هذا الحديث لرواية الدارقطني أيضا من حديث ابن عباس، وهو وهم، فإن حديث ابن عباس عنده حديث آخر غير هذا، وهو (الأتي)