২৯০০

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

(২৯০০) জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, কুফাবাসীরা উমার ইবনে খাত্ত্বাব (রাঃ) এর কাছে সা’দ ইবনে আবী অক্কাস (রাঃ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ক’রে বলল, ’সে ভালভাবে নামায পড়তে জানে না।’ কাজেই তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন এবং (যখন তিনি উমার (রাঃ) এর কাছে হাযির হলেন, তখন) তিনি তাঁকে বললেন, ’হে ইসহাকের পিতা! ওরা বলছে যে, তুমি উত্তমভাবে নামায আদায় কর না।’ জবাবে তিনি বললেন, ’যাই হোক, আল্লাহর কসম! আমি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাযের মত নামায পড়াই, তা থেকে (একটুও) কম করি না। যোহর ও আসরের দুই নামাযের প্রথম দু’ রাকআতে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করি এবং দ্বিতীয় দু-রাকআতকে সংক্ষিপ্ত করি।’

উমার (রাঃ) (এ কথা শুনে বললেন,) ’ইসহাকের পিতা! তোমার সম্পর্কে ঐ ধারণাই ছিল।’ পরে তিনি তাঁর সঙ্গে একজন বা কয়েকজন লোক কূফা নগরীতে প্রেরণ করলেন। যাতে করে কূফা নগরীর প্রতিটি মসজিদে গিয়ে সা’দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সুতরাং প্রত্যেক মসজিদেই তাঁর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে লাগল এবং সকলেই তাঁর প্রশংসা করল। শেষ পর্যন্ত যখন তারা বনু আব্সার মসজিদে উপনীত হল। তখন সেখানে আবূ সা’দাহ উসামাহ ইবনে ক্বাতাদাহ নামক এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, ’যখন আপনারা আমাদেরকে জিজ্ঞাসাই করলেন, তখন (প্রকাশ ক’রে দিচ্ছি শুনুন,) সা’দ সেনা বাহিনীর সঙ্গে (জিহাদে) যান না, নায্যভাবে (কোন জিনিস) বন্টন করেন না এবং ইনসাফের সাথে বিচার করেন না।’

সা’দ তখন (জবাবে) বলে উঠলেন, ’আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তিনটি বদ্দুআ করবঃ হে আল্লাহ! যদি তোমার বান্দা মিথ্যাবাদী হয়, রিয়া (লোকপ্রদর্শন হেতু) ও খ্যাতির জন্য এভাবে দণ্ডায়মান হয়ে থাকে, তাহলে তুমি ওর আয়ু দীর্ঘ ক’রে দাও এবং ওর দরিদ্রতা বাড়িয়ে দাও এবং ওকে ফিতনার কবলে ফেল।’ (বাস্তবিক তার অবস্থা ঐরূপই হয়েছিল।) সুতরাং যখন তাকে (কুশল) জিজ্ঞাসা করা হত, তখন উত্তরে বলত, ’অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি এবং ফিতনায় পতিত হয়েছি; সা’দের বদ্দুআ আমাকে লেগে গেছে।’

জাবের ইবনে সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনাকারী আব্দুল মালিক বিন উমাইর বলেন, ’আমি পরে তাকে দেখেছি যে, সে অত্যন্ত বার্ধক্যের কারণে তার চোখের ভ্রূগুলি চোখের উপরে লটকে পড়েছে আর রাস্তায় রাস্তায় দাসীদেরকে উত্যক্ত করত ও আঙ্গুল বা চোখ দ্বারা তাদেরকে ইশারা করত।’

وَ عَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : شَكَا أَهْلُ الكُوفَةِ سَعْداً يَعنِي : ابنَ أَبِـيْ وَقَّاصٍ إِلَى عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ فَعَزَلَهُ وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَمَّاراً فَشَكَوا حَتّٰـى ذَكَرُوا أَنَّهُ لاَ يُحْسِنُ يُصَلِّي، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَقَالَ : يَا أَبَا إسْحَاقَ إنَّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ أَنَّكَ لاَ تُحْسِنُ تُصَلِّي فَقَالَ : أَمَّا أَنَا وَاللهِ فَإنِّي كُنْتُ أُصَلِّي بِهِمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ ﷺ لاَ أَخْرِمُ عَنْها أُصَلِّي صَلاَتَي العِشَاءِ فَأَرْكُدُ فِي الأُولَيَيْنِ وَأُخِفُّ فِي الأُخْرَيَيْنِ قَالَ : ذٰلِكَ الظَّنُّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ وَأَرْسَلَ مَعَهُ رَجُلاً أَوْ رِجَالاً - إِلَى الكُوفَةِ يَسْأَلُ عَنْهُ أَهْلَ الكُوفَةِ فَلَمْ يَدَعْ مَسْجِداً إِلاَّ سَأَلَ عَنْهُ وَيُثْنُونَ مَعْرُوفاً حَتّٰـى دَخَلَ مَسْجِداً لِبَنِي عَبْسٍ فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالَ لَهُ أُسَامَةُ بْنُ قَتَادَةَ يُكَنَّى أَبَا سَعْدَةَ، فَقَالَ: أَمَا إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّ سَعْداً كَانَ لاَ يَسِيرُ بِالسَّرِيَّةِ وَلاَ يَقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ وَلاَ يَعْدِلُ فِي القَضِيَّةِ قَالَ سَعْدٌ : أَمَا وَاللهِ لأَدْعُوَنَّ بِثَلاَثٍ : اَللّٰهُمَّ إِنْ كَانَ عَبْدُكَ هٰذَا كَاذِباً قَامَ رِيَاءً وَسُمْعَةً فَأَطِلْ عُمُرَهُ وَأَطِلْ فَقْرَهُ وَعَرِّضْهُ لِلْفِتَنِ وَكَانَ بَعْدَ ذٰلِكَ إِذَا سُئِلَ يَقُوْلُ : شَيْخٌ كَبيرٌ مَفْتُونٌ أَصَابَتْنِي دَعْوَةُ سَعْدٍ قَالَ عَبدُ المَلِكِ بنُ عُمَيْرٍ الرَّاوِي عَن جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ : فَأَنَا رَأَيْتُهُ بَعْدُ قَدْ سَقَطَ حَاجِبَاهُ عَلَى عَيْنَيْهِ مِنَ الكِبَرِ وَإِنَّهُ لَيَتَعَرَّضُ لِلْجَوارِي فِي الطُّرُقِ فَيَغْمِزُهُنَّ متفق عَلَيْهِ

و عن جابر بن سمرة رضي الله عنهما قال شكا اهل الكوفة سعدا يعني ابن ابي وقاص الى عمر بن الخطاب فعزله واستعمل عليهم عمارا فشكوا حتى ذكروا انه لا يحسن يصلي فارسل اليه فقال يا ابا اسحاق ان هولاء يزعمون انك لا تحسن تصلي فقال اما انا والله فاني كنت اصلي بهم صلاة رسول الله ﷺ لا اخرم عنها اصلي صلاتي العشاء فاركد في الاوليين واخف في الاخريين قال ذلك الظن بك يا ابا اسحاق وارسل معه رجلا او رجالا الى الكوفة يسال عنه اهل الكوفة فلم يدع مسجدا الا سال عنه ويثنون معروفا حتى دخل مسجدا لبني عبس فقام رجل منهم يقال له اسامة بن قتادة يكنى ابا سعدة فقال اما اذ نشدتنا فان سعدا كان لا يسير بالسرية ولا يقسم بالسوية ولا يعدل في القضية قال سعد اما والله لادعون بثلاث اللهم ان كان عبدك هذا كاذبا قام رياء وسمعة فاطل عمره واطل فقره وعرضه للفتن وكان بعد ذلك اذا سىل يقول شيخ كبير مفتون اصابتني دعوة سعد قال عبد الملك بن عمير الراوي عن جابر بن سمرة فانا رايته بعد قد سقط حاجباه على عينيه من الكبر وانه ليتعرض للجواري في الطرق فيغمزهن متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল