পরিচ্ছেদঃ
৭২৯। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবীর তাহরীমা বলতেন, তখন শুরুর দু’আ (সানা) পড়তেন, তারপর বলতেনঃ
"যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, তাঁর দিকে একমুখী ও আত্মসমর্পণকারী হয়ে ফিরলাম, আমি মুশরিক নই, আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু সর্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমিই প্ৰথম আত্মসমৰ্পণকারী। হে আল্লাহ, (তুমিই বাদশাহ) তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তুমি আমার প্রতিপালক, আমি তোমার দাস, আমি নিজের ওপর যুলম করেছি, আমি নিজের গুনাহর কথা স্বীকার করছি। সুতরাং আমার সকল গুনাহ মাফ করে দাও, তুমি ছাড়া তো কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না। আমাকে সর্বোত্তম চরিত্র অর্জনের পথ দেখাও। তুমি ছাড়া তো সর্বোত্তম চরিত্রের পথ আর কেউ দেখাতে পারে না। আমার কাছ থেকে খারাপ চরিত্র দূর করে দাও। আমার কাছ থেকে খারাপ চরিত্র তুমি ছাড়া আর কেউ দূর করতে পারে না। তুমি বরকতময় ও মহান। তোমার নিকট ক্ষমা চাই ও তাওবা করি।"
আর যখন তিনি রুকু দিতেন বলতেনঃ
হে আল্লাহ্, তোমার জন্যই রুকু করলাম, তোমার উপরই ঈমান আনলাম তোমার নিকট আত্মসমৰ্পণ করলাম, আমার কান, চোখ, মগজ, হাড়গোড় ও ধমনী সবই তোমার অনুগত।
আর রুকু থেকে মাথা তুলে বলতেনঃ
সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ। হে আমাদের প্রতিপালক, তোমার জন্য আকাশ, পৃথিবী ও তার মাঝখানে যত জায়গা রয়েছে, তার পূর্তি পরিমাণ এবং তারপর আর যে জিনিস তোমার ইচ্ছা তার পূর্তি পরিমাণ প্রশংসা।
আর যখন সিজদায় যেতেন বলতেনঃ
হে আল্লাহ, তোমার নিকট আত্মসমৰ্পণ করলাম। আমার মুখমণ্ডল আল্লাহর সামনে সিজদায় নত হলো, যিনি তা সৃষ্টি করেছেন, তাকে রূপ দান করেছেন এবং সুন্দর রূপ দান করেছেন। তার কান ও চোখ খুলে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ শ্রেষ্ঠ স্ৰষ্টা বরকতময়।”
তারপর সালাম ফিরিয়ে যখন নামায শেষ করতেন তখন বলতেনঃ
হে আল্লাহ, আমার আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, গোপন গুনাহ, প্ৰকাশ্য গুনাহ, অপচয়ের গুনাহ এবং যে গুনাহ তুমি আমার চেয়েও ভালো জান- সবই মাফ করে দাও। তুমি অনাদি, তুমি অনন্ত। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই।
[মুসলিম ৭৭১, ইবনু খুযাইমা 8৬২, ৪৬৩, ৪৬8, ৫৮8, ৬০৭, ৬১২, ৬৭৩, ৭২৩, ৭8৩; মুসনাদ আহমাদ ৭১৭]
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمَاجِشُونُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْفَضْلِ، وَالْمَاجِشُونُ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ رَافِعٍ، عَنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا كَبَّرَ اسْتَفْتَحَ ثُمَّ قَالَ: " وَجَّهْتُ وَجْهِي لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ، وَالْأَرْضَ حَنِيفًا مُسْلِمًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ - وقَالَ أَبُو النَّضْرِ: وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ - اللهُمَّ لَا إِلَهَ إِلا أَنْتَ، أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِي، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا، لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلاقِ، لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إِلا أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا، لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلا أَنْتَ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " وَكَانَ إِذَا رَكَعَ قَالَ: " اللهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ: " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " وَإِذَا سَجَدَ قَالَ: " اللهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُوَرَهُ، فَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، فَتَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " فَإِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلاةِ قَالَ: اللهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَسْرَفْتُ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لَا إِلَهَ إِلا أَنْتَ
-
إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الصحيح. أبو سعيد: هو عبد الرحمن بن عبد الله بن عبيد البصري مولى بني هاشم، والماجشون: هو يعقوب بن أبي سلمة، والأعرج: هو عبد الرحمن بن هرمز
وأخرجه ابن خزيمة (463) ، والطحاوي في "شرح معاني الآثار" 1/199 من طريق أحمد بن خالد الوهبي، عن عبد العزيز الماجشون، بهذا الإسناد. وقرن الطحاوي بأحمد بن خالد عبدَ الله بن صالح
وأخرجه عبد الرزاق (2567) و (2903) ، وابن ماجه (1054) ، وابن خزيمة (464) و (673) ، وأبو عوانة 2/102، والطحاوي في "شرح مشكل الآثار" 1/488، و"شرح معاني الآثار" 1/239، وابن حبان (1771) و (1772) و (1774) ، والدارقطني 1/287، والبيهقي 2/33 و74 من طريق موسى بن عقبة، عن عبد الله بن الفضل، به
وأخرجه الطيالسي (152) ، وابن أبي شيبة 1/231-232 و248، والدارمي (1238) و (1314) ، ومسلم (771) (202) ، وأبو داود (1509) ، والترمذي (266) و (3422) ، والنسائي 2/129- 130 و192 و220، وابن خزيمة (462) و (612) و (743) ، وأبو يعلى (285) و (574) ، وابن الجارود (179) ، وأبو عوانة 2/100 و101، والطحاوي في "شرح معاني الآثار" 1/199، والد ارقطني 1/296 من طرق عن عبد العزيز بن عبد الله الماجشون، عن يعقوب بن أبي سلمة الماجشون، به. وقرن الترمذي في الموضع الثاني بعبد العزيز يوسفَ بن يعقوب الماجشون، وقال: حسن صحيح
وأخرجه مسلم (771) (201) ، والترمذي (3421) ، والبزار (536) ، وابن خزيمة (723) ، وأبو يعلى (575) ، والبيهقي 2/32، والبغوي (572) من طريق يوسف بن يعقوب بن أبي سلمة الماجشون، عن أبيه، به. وسيأتي برقم (803) و (804) و (805) و (960)
قوله: "ظلمت نفسي"، قال السندي: قاله تشريعاً للأمة، وتعظيماً لحق الرب، وبياناً لعجز العبد عن أداء حقه
واهدني: أريدَ به التثبيت والزيادة، وفيه بيان دوام حاجة العبد إلى فضل الرب تبارك وتعالى، وأنه لولا التثبيت وصرف السوء تعالى لوقع العبد في السوء