২৫০৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২৫০৮-[৪] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক ’উমরা হতে অপর ’উমরা পর্যন্ত সময়ের জন্য (গুনাহের) কাফফারাহ স্বরূপ আর কবূলযোগ্য হজের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزاءٌ إِلا الجنَّةُ»

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «العمرة إلى العمرة كفارة لما بينهما والحج المبرور ليس له جزاء إلا الجنة»

ব্যাখ্যা: (كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا) ‘‘দু’ উমরা-এর মাঝের গুনাহ মোচনকারী’’। হাদীসের এ অংশটুকুতে ‘উমরা-এর ফাযীলাত বুঝানো হয়েছে। আর তা হলো এক ‘উমরা থেকে অপর ‘উমরা-এর মাঝখানে কোন গুনাহের কাজ হয়ে থাকলে ‘উমরা-এর কারণে তা মোচন হয়ে যাবে। ইবনু ‘আবদুল বার বলেনঃ এখানে গুনাহ দ্বারা সগীরাহ্ গুনাহ উদ্দেশ্য। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ এ হাদীসটি বেশী বেশী ‘উমরা করা মুস্তাহাব হওয়ার দলীল।

(الْحَجُّ الْمَبْرُوْرُ) ‘মাকবূল হজ্জ/হজ’’। ইবনুল ‘আরাবী বলেনঃ যে হজ্জের পরে গুনাহের কাজ করা হয়নি তাই হজে মাবরুর তথা মাকবূল হজ্জ/হজ।

‘আলিমগণ বলেনঃ হজ্জে মাবরুর-এর শর্ত হলো হজ্জে ব্যয়কৃত মাল হালাল পন্থায় অর্জিত হতে হবে। হারাম পন্থায় অর্জিত মাল দ্বারা সম্পাদিত হজ্জ  হজ্জে মাবরুর নয়। যদিও এ হজ্জ দ্বারা তার ওপর নির্ধারিত ফরয হজ্জ সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য কিন্তু এ হজ্জ/হজ দ্বারা তার কোন সাওয়াব অর্জিত হবে না। এটাই ইমাম আবূ হানীফা, মালিক ও শাফি‘ঈর অভিমত। পক্ষান্তরে ইমাম আহমাদ বলেনঃ হারাম মাল দ্বারা সম্পাদিত হজ্জের মাধ্যমে তার ওপর নির্ধারিত ফরয হজ্জ/হজ সম্পাদন হবে না।

(لَيْسَ لَه جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةُ) ‘‘জান্নাতই তার একমাত্র প্রতিদান’’। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তার শুধুমাত্র আংশিক গুনাহ ক্ষমা হবে না বরং অবশ্য সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)