২৪১৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে

২৪১৪-[৩৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে ঘুম হতে উঠে বলতেন,

"আস্‌বাহনা- ওয়া আস্‌বাহাল মুলকু লিল্লা-হি ওয়াল হাম্‌দুলিল্লা-হি ওয়াল কিব্‌রিয়া-উ ওয়াল ’আযামাতু লিল্লা-হি ওয়াল খলক্বু ওয়াল আমরু ওয়াল্ লায়লু ওয়ান্ নাহা-রু ওয়ামা- সাকানা ফীহিমা- লিল্লা-হি আল্ল-হুম্মাজ্’আল আও্ওয়ালা হা-যান্ নাহা-রি সলা-হান ওয়া আওসাত্বাহূ নাজা-হান ওয়া আ-খিরাহূ ফালা-হান ইয়া- আর্‌হামার্ র-হিমীন"

(অর্থাৎ- আমরা ভোরে এসে উপনীত হলাম, আর ভোরে এসে উপনীত হলো আল্লাহরই উদ্দেশে আল্লাহর রাজ্য। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। আল্লাহরই জন্য সব অহংকার ও সম্মান। সমগ্র সৃষ্টি ও কর্তৃত্ব, রাত ও দিন এবং এতে যা বসবাস করে সবই আল্লাহর। হে আল্লাহ! তুমি এ দিনের প্রথমাংশকে কল্যাণকর করো, মধ্যাংশকে সাফল্যের ওয়াসীলাহ্ করো, আর শেষাংশকে সাফল্যময় করো। হে সর্বাধিক রহমকারী।’’ (নাবাবী কিতাবুল আযকার- ইবনুস্ সুন্নী’র বর্ণনার দ্বারা)[1]

وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَصْبَحَ قَالَ: «أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَالْكِبْرِيَاءُ وَالْعَظَمَةُ لِلَّهِ وَالْخَلْقُ وَالْأَمْرُ وَاللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَمَا سَكَنَ فِيهِمَا لِلَّهِ اللَّهُمَّ اجْعَلْ أَوَّلَ هَذَا النَّهَارِ صَلَاحًا وَأَوْسَطَهُ نَجَاحًا وَآخِرَهُ فَلَاحًا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ» . ذَكَرَهُ النَّوَوِيُّ فِي كِتَابِ الْأَذْكَارِ بِرِوَايَةِ ابْنِ السّني

وعن عبد الله بن ابي اوفى قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اصبح قال اصبحنا واصبح الملك لله والحمد لله والكبرياء والعظمة لله والخلق والامر والليل والنهار وما سكن فيهما لله اللهم اجعل اول هذا النهار صلاحا واوسطه نجاحا واخره فلاحا يا ارحم الراحمين ذكره النووي في كتاب الاذكار برواية ابن السني

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা কারী (রহঃ) বলেন, আর এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

(قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُوْنَ) (أُوْلٰئِكَ هُمُ الْوَارِثُوْنَ * الَّذِيْنَ يَرِثُوْنَ الْفِرْدَوْسَ)

অর্থাৎ- ‘‘ঈমানদারগণ সফল হয়েছেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা শীতল ছায়াময় জান্নাতের উত্তরাধিকার লাভ করবে।’’ (সূরা আল মু’মিনূন ২৩ : ১, ১০, ১১)

আর উল্লেখিত দু‘আর শেষে (يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ) ‘‘ইয়া- আরহামার্ র-হিমীন’’ উল্লেখ প্রসঙ্গে ‘আল্লামা আল কারী (রহঃ) বলেনঃ উল্লেখিত দু‘আ এ বাক্য দ্বারা এজন্যই শেষ করা হয়েছে, কারণ এটি দ্রুত দু‘আ কবূলের কারণ। যেমনটি হাদীসে এসেছে এবং ইমাম হাকিম (রহঃ) তাঁর মুসতাদরাকে আবী ‘উমামাহ্ থেকে মারফূ‘ভাবে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি সহীহ বলেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার জন্যই রাজত্ব। যে ব্যক্তি বলবেঃ ‘‘ইয়া- আরহামার্ র-হিমীন’’। অতঃপর এটা তিনবার বলবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলবেন- নিশ্চয় দয়াবানদের দয়াবান তোমার সামনে আগমন করেছে, অতএব তুমি চাও।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলোঃ এখানে তিন সংখ্যাটি নির্ধারণ করা হয়েছে এ কারণে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি এটা তিনবার বলে সে তার অন্তর ও কামনা রবের নিকট উপস্থিত করে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)