২৪১৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে

২৪১৩-[৩৩] ’আবদুর রহমন ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আমার পিতা! আপনাকে প্রতিদিন ভোরে বলতে শুনি,

’’আল্ল-হুম্মা ’আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্ল-হুম্মা ’আ-ফিনী ফী সাম্’ঈ, আল্ল-হুম্মা ’আ-ফিনী ফী বাসারী লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্‌তা’’

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাকে শারীরিকভাবে নিরাপত্তায় রাখো, আমাকে শ্রবণশক্তিতে নিরাপত্তায় রাখো। হে আল্লাহ! আমাকে দৃষ্টিশক্তিতে নিরাপদে রাখো। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই।)

এ দু’আ ভোরে তিনবার ও বিকালে তিনবার বলেন। তখন তার পিতা বললেন, হে বৎস! আমি এ বাক্যগুলো দিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দু’আ করতে শুনেছি। অতএব আমি তাঁর সুন্নাত পালন করাকে পছন্দ করি। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي: يَا أَبَتِ أَسْمَعُكَ تَقُولُ كُلَّ غَدَاةٍ: «اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ» تُكَرِّرُهَا ثَلَاثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلَاثًا حِين تمسي فَقَالَ: يَا بُنَيَّ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو بِهِنَّ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أستن بسننه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عبد الرحمن بن ابي بكرة قال قلت لابي يا ابت اسمعك تقول كل غداة اللهم عافني في بدني اللهم عافني في سمعي اللهم عافني في بصري لا اله الا انت تكررها ثلاثا حين تصبح وثلاثا حين تمسي فقال يا بني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يدعو بهن فانا احب ان استن بسننه رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে উল্লেখিত জিকিরে শরীর উল্লেখ করার পর আলাদাভাবে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ এ দু’টি তো শরীরের সাথে সম্পৃক্ত, (অতএব আলাদাভাবে তা উল্লেখ করার কারণ কি?)

এর কারণ হলোঃ শ্রবণশক্তিটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর নাযিলকৃত আয়াতে কারীমা দ্বারা পাওয়া যায়। আর চক্ষু এটিও আল্লাহর আয়াতে পাওয়া যায়, যা দিগন্তের ন্যায় প্রমাণিত। অতএব এ দু’টি কুরআনুল কারীমে পাওয়ার কারণেই একত্র করে উল্লেখ করা হয়েছে (وتكررها); আবূ দাঊদ, মুসনাদে আহমাদ, আল আদাবুল মুফরাদে (تعيدها) উল্লেখ রয়েছে। ‘আল্লামা নাবাবী (রহঃ) তাঁর ‘‘আযকার’’ ও ‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) তাঁর ‘‘তুহফাতু আয্ যাকিরীন’’-এ অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)