২২৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব

২২৯৭-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় একশ’বার পড়বে ’সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী’ (অর্থাৎ- আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর প্রশংসার সাথে)- কিয়ামতের দিন তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ বাক্য নিয়ে কেউ উপস্থিত হতে পারবে না, সে ব্যক্তি ব্যতীত যে এর সমপরিমাণ বা এর চেয়ে বেশি পড়বে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ ثَوَابُ التَّسْبِيْحِ وَالتَّحْمِيْدِ وَالتَّهْلِيْلِ وَالتَّكْبِيْرِ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ وَحِينَ يُمْسِي: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ لَمْ يَأْتِ أَحَدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلَّا أَحَدٌ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ عَلَيْهِ)

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قال حين يصبح وحين يمسي سبحان الله وبحمده ماىة مرة لم يات احد يوم القيامة بافضل مما جاء به الا احد قال مثل ما قال او زاد عليه

ব্যাখ্যা: (مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ وَحِينَ يُمْسِىْ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِه مِائَةَ مَرَّةٍ) কারী বলেন, অর্থাৎ- সকাল সন্ধ্যায় যে ব্যক্তি এ তাসবীহ এর কতক সকালে এবং কতক সন্ধায় পাঠ করবে অথবা এগুলোর সবটুকু উভয় সময়ে পাঠ করবে আর এ অর্থটিই সর্বাধিক স্পষ্ট।

(إِلَّا أَحَدٌ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ عَلَيْهِ) লাম্‘আত গ্রন্থকার বলেন, অর্থ বর্ণনাতে কৌশল অবলম্বন করা আবশ্যক, অর্থাৎ- এভাবে বলা (তার মত এবং তার অপেক্ষা উত্তম ‘আমল কেউ করতে পারে না তবে যে ব্যক্তি তার মতো তাসবীহ পাঠ করবে সে তার মতো সাওয়াব লাভ করবে অথবা যে ব্যক্তি তার অপেক্ষা বেশি পাঠ করবে সে তার অপেক্ষা বেশি সাওয়াব লাভ করবে। আর আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।

ইমাম ত্বীবী বলেন, উল্লেখিত তাসবীহ পাঠকারী যে ‘আমল করবে তা সর্বোত্তম ‘আমল ঐ সকল ‘আমল অপেক্ষা যা তাসবীহ পাঠকারী ছাড়া অন্য কেউ করবে। তবে যে ব্যক্তি তাসবীহ পাঠকারীর মতো ‘আমল করবে বা তার অপেক্ষা বেশি ‘আমল করবে তার কথা আলাদা।

এখন কেউ যদি বলে বৃদ্ধি করা কিরূপে বৈধ অথচ বিদ্বানগণ বলেছে, সংখ্যার ক্ষেত্রে শারী‘আতের সীমারেখা অতিক্রম করা বৈধ না? উত্তরে আমরা বলবঃ যখন হাদীস বৃদ্ধি পাওয়ার ধরণটি সুস্পষ্টভাবে বিবৃত হল তখন জানা গেল যে, এটি সে পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত না যেমন সালাতের রাক্‘আত বা অনুরূপ কিছুর সংখ্যা। সুতরাং সংখ্যাতে একেবারেই বৃদ্ধি করা বৈধ হবে না বিষয়টি এমনটি নয়। অথবা হাদীসে বৃদ্ধি করা থেকে কল্যাণকর কাজে বৃদ্ধি করা উদ্দেশ্য। অনুরূপ লাম্‘আতে আছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)