২২৪২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৪২-[২০] মালিক ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন আল্লাহর কাছে দু’আ করবে, তখন হাতের ভিতরের (তালুর) দিক দিয়ে দু’আ করবে, হাতের উপরের দিক (পিছন দিক) দিয়ে দু’আ করবে না।[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ مَالِكِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ بِبُطُونِ أَكُفِّكُمْ وَلَا تَسْأَلُوهُ بِظُهُورِهَا»

وعن مالك بن يسار قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا سالتم الله فاسالوه ببطون اكفكم ولا تسالوه بظهورها

ব্যাখ্যা: ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, দু‘আর ক্ষেত্রে হস্তদ্বয়ের ভিতরের পিঠের মাধ্যমে দু‘আ করতে বলা হয়েছে আর উপরের পিঠের মাধ্যমে দু‘আ করতে নিষেধ করা হয়েছে, এর কারণ হলো কেউ যখন কিছু চায় তখন সে উপরের পিঠ নয় বরং ভিতরের পিঠেই চায় এবং সে চায় তা পূর্ণ করে দেয়া হয়। সুতরাং নিয়ম হচ্ছে দু’হাতকে আকাশের দিকে উঠিয়ে দু‘আ করা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণই এ ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল দিতে পারে।

পূর্বের হাদীসও অত্র হাদীসের মধ্যকার একটি সংঘর্ষ ও তার সমাধান।

পূর্বে সায়িব বিন খল্লাদ তার পিতা থেকে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন সেখানে রয়েছে যে, নিশ্চয়ই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন কিছু চাইতেন তখন হাতের মধ্যপিঠ তার দিকে করতেন আর কোন বিপদ থেকে আশ্রয় চাইলে বাহির পিঠ তার দিকে করতেন আর অত্র হাদীসে শুধুমাত্র মধ্যপিঠের আদেশ করলেন।

এর সমাধানঃ

১. সায়িব বিন খল্লাদ তার পিতা থেকে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তার সানাদে ইবনু লাহ্ই‘আহ্ রয়েছেন, যিনি য‘ঈফ।

২. বাহির পিঠের মাধ্যমে দু‘আর যে কথা বলা হয়েছে তা শুধুমাত্র ইসতিসকা তথা বৃষ্টির জন্য দু‘আ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট। যেমনঃ সহীহ মুসলিমে আনাস  থেকে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টির জন্য দু‘আ করলেন হাতের বাহির পিঠ আকাশের দিকে করলেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)