২২৪১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৪১-[১৯] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা দু’আ কবূল হওয়ার দৃঢ়তা ও নিশ্চয়তা মনে রেখেই আল্লাহ তা’আলার নিকট দু’আ কর। জেনে রেখ, আল্লাহ তা’আলা অবহেলাকারী আস্থাহীন মনের দু’আ কবূল করেন না। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ادْعُوا اللَّهَ وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالْإِجَابَةِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حديثٌ غَرِيب

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ادعوا الله وانتم موقنون بالاجابة واعلموا ان الله لا يستجيب دعاء من قلب غافل لاه رواه الترمذي وقال هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: (وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالْإِجَابَةِ) অর্থাৎ- দু‘আ করার মুহূর্তে দু‘আকারীর অবস্থা এমন হতে হবে যে, সে দু‘আ কবূল হওয়ার যতগুলো শর্ত রয়েছে সৎকাজের আদেশ অসৎকাজের নিষেধ সহ ইত্যাদি সৎকর্মের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে কায়মনোবাক্যে এ বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে ধারণ করে যে, আমার দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা কবূল করবেন।

এমনটাই মতামত পেশ করেছেন জগদ্বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ‘আল্লামা তুরবিশতী (রহঃ)।

(مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ) অর্থাৎ- আল্লাহর স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দু‘আর আদবসমূহ বজায় রেখে দু‘আ করেনি বরং দু‘আর মধ্যে অনেক আদব সে ভঙ্গ করেছে।

‘আল্লামা আল মাযহার (রহঃ) বলেন, হাদীসটির অর্থ হলো, দু‘আকারী তার দু‘আর ব্যাপারে এ বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে স্থাপন করবে যে তার রব তার দু‘আ কবূল করবেন, কেননা দু‘আ কবূল না করে ফিরিয়ে দেয়া হয় মূলত তিনটি কারণে একটি হয়তো অপরাগতা নতুবা আহবানকৃত বিষয়টি অমর্যাদাকর হওয়া অথবা আহবানকৃত বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা- এগুলোর সবটাই আল্লাহর জন্য অবান্তর, কেননা তিনি সবই জানেন এবং সব কিছুই করতে সক্ষম বান্দার দু‘আ কবূল করতে তাকে কেউ বাধাদানকারী নেই। সুতরাং দু‘আকারী যখন এ কথা দৃঢ়তার সাথে জানতে পারবে যে, তার রব তার দু‘আ কবূল করতে সক্ষম তখন দু‘আ কবূল হওয়ার ব্যাপারে সে দৃঢ় থাকবে।

একটি প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ দু‘আকারী কিভাবে দু‘আ কবূলের ব্যাপারে দৃঢ় হবে কেননা দৃঢ়তার দাবী হলো তা কবূল হবেই অথচ দু‘আর ভিতর কিছু আছে কবূল হয় আর কিছু আছে কবূল হয় না?

উত্তরঃ দু‘আকারী দু‘আ করে কখনো বঞ্চিত হয় না হয়তো তার দু‘আ অনুপাতে কল্যাণ দেয়া হয় নতুবা তার অনিষ্ট দূরীভূত করা হয়। একটি না একটি পাবেই।

অথবা, তার প্রতিদান আখিরাতের জন্য জমা করে রাখা হয়। কেননা, দু‘আ হলো একটি স্বতন্ত্র ‘ইবাদাত।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)