২১৬৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২১৬৭-[৫৯] ’উসমান ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু আওস আস্ সাকাফী (রহঃ) তাঁর দাদা আওস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির মাসহাফ ছাড়া (অর্থাৎ- কুরআন দেখা ছাড়া) মুখস্থ কুরআন পড়া এক হাজার গুণ মর্যাদা সম্পন্ন। আর কুরআন মাসহাফে পড়া (অর্থাৎ- কুরআন খুলে দেখে দেখে পড়া) মুখস্থ পড়ার দু’ গুণ থেকে দু’ হাজার গুণ পর্যন্ত মর্যাদা রাখে। (বায়হাক্বী- শু’আবূল ঈমান)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ الثَّقَفِيِّ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قِرَاءَةُ الرَّجُلِ الْقُرْآنَ فِي غَيْرِ الْمُصْحَفِ أَلْفُ دَرَجَةٍ وَقِرَاءَتُهُ فِي الْمُصحف تضعف عل ذَلِك إِلَى ألفي دَرَجَة» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان

وعن عثمان بن عبد الله بن اوس الثقفي عن جده قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قراءة الرجل القران في غير المصحف الف درجة وقراءته في المصحف تضعف عل ذلك الى الفي درجة رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা: না দেখে মুখস্থ কুরআন তিলাওয়াতকারীর মর্যাদা বা সাওয়াব এক হাজার গুণ, কিন্তু দেখে কুরআন পাঠের সাওয়াব হলো তার দ্বিগুণ অর্থাৎ- দু’ হাজার গুণ। এটা এজন্য যে, কিতাবের দিকে তাকে তাকাতে হয়, নযর করতে হয়, তা বহন করতে হয়, নাড়াচাড়া করতে হয় ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেছেন, এটা এজন্য যে, মুখস্থ পড়ার চেয়ে দেখে পড়া কঠিন এবং এতে অন্তর অধিক ভীত হয়। ইমাম নাবাবী তার আল আযকার গ্রন্থে বলেছেনঃ ‘‘আমাদের সাথীগণ কুরআনুল কারীমকে মুখস্থ পড়ার চেয়ে দেখে পড়া উত্তম মনে করেন; সাহাবী তথা সালাফে সালিহীনদের প্রসিদ্ধ মত এটাই। অবশ্য এটা মুত্বলাক বা সাধারণ কথা নয়, কেননা যদি মুখস্থ পাঠকারী আল কুরআনের অর্থ অনুধাবন পূর্বক, তাতে গভীর চিন্তা-ভাবনাপূর্বক এবং অন্তরের দৃঢ়তা ও স্থিরতা নিয়ে মুখস্থ তিলাওয়াত করেন তবে তা অবশ্যই উত্তম। কিন্তু সমান সমান গুণাবলী নিয়ে যদি কুরআন দেখে দেখে পাঠ করা হয় তবে তা নিঃসন্দেহে আরো উত্তম।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)